Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা গেল

হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্টেজ থেকে সরিয়ে নেয় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : এপি
হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্টেজ থেকে সরিয়ে নেয় সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। ছবি : এপি
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার শিকার হয়েছে। হামলাকারীর ছোড়া গুলি তার ডান কানের ওপরের অংশ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই হামলার শিকার হন ট্রাম্প। পরে ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হন হামলাকারী।

যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো ব্যক্তির নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ২০ বছর বয়সী এই তরুণের বাড়ি পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বেথেল পার্ক এলাকায়।

ট্রাম্পের ওপর হামলার পর এক বিবৃতিতে এফবিআই এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, “হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। কারও কাছে এ ঘটনা সম্পর্কিত কোনও তথ্য কিংবা ছবি বা ভিডিও থাকলে তারা এগুলো দিয়ে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”

তবে তরুণ টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস কেন ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন সে বিষয় এফবিআইয়ের বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে এক প্রেস কনফারেন্সের এফবিআইয়ের কর্মকর্তা কেভিন রোজেক জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবেই দেখছে এফবিআই।

শনিবার সন্ধ্যার হামলায় ট্রাম্পের কানে গুলি লাগলেও এ ঘটনায় তার সমাবেশে আসা এক ব্যক্তি নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার মধ্যেই হঠাৎ গুলির শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে কানে হাত দিয়ে নিচে বসে পড়েন ট্রাম্প। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত তাকে ঘিরে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর ট্রাম্প উঠে দাঁড়ান। সে সময় ট্রাম্পের ডান কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। রক্ত লেগেছিল তার মুখেও।

মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন ট্রাম্প। ডান হাতের মুঠি শক্ত করে উপরের দিকে ছুড়ে দিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট।’

যু্ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহিংসতার কোনও জায়গা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি জানিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নিরাপদ আছেন। ঘটনাটি সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ‘ভালো আছেন’ বলে জানিয়েছে তার প্রচার দলও। ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত