সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহীদের জোট। একইসঙ্গে তারা বলছে, উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
বিদ্রোহীদের দাবির পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোও বলছে, বিমানে করে দেশ ছেড়েছেন বাশার আল আসাদ। তবে তিনি কোথায় গেছেন সে খবর এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি কেউ।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে।
সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে প্রেসিডেন্টের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য থাকতে পারে– এমন ধারণা ভিত্তিতে বিদ্রোহীরা এসব বাহিনীর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এর আগে বিদ্রোহীরা দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট দপ্তরের বরাতে বিবিসি জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট তার কার্যালয়েই রয়েছেন এবং দাপ্তরিক কাজ করছেন।
তবে বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলে নিয়ে প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগ করেছে বলে দাবি করার পর থেকে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ‘মিলিটারি অপারেশন্স কমান্ড’ নামে নতুন একটি জোট গড়ে তোলার পর নভেম্বরে শেষ দিকে আলেপ্পোতে হামলা চালায়। তাদের হামলা টিকতে না পেরে সরকারি বাহিনী পিছু হটলে দ্রুততার সঙ্গে শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয় বিদ্রোহীরা।
এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বিদ্রোহীরা দেরা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। একইদিন তারা গুরুত্বপূর্ণ হোমস নগরীতেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
হোমস দখলের পরপরই বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কের দিকে আগাতে শুরু করে এবং রবিবার সকাল নাগাদ তারা দামেস্কে ঢুকে পড়ে। তবে রাজধানীতে ঢুকতে গিয়ে বিদ্রোহীদের কোনও ধরনের সামরিক বাধার মুখে পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছে তারা।
রাজধানী দখলে নিয়েই বিদ্রোহীরা বাশার আল আসাদের শাসনের অবসান ঘোষণা করে জানায়, প্রেসিডেন্ট বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, নভেম্বরের শেষ দিকে বিদ্রোহীরা হামলা শুরুর পরপরই সম্ভাব্য বিপদ আচ করতে পেরে পরিবারের সদস্যদের রাশিয়ায় পাঠিয়ে দেয় প্রেসিডেন্ট আসাদ।
সেই পথ ধরে আসাদ নিজেও রাশিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া বা সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোয় নিশ্চিত করে তা বলা যাচ্ছে না।