Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভারতে ভোটের চূড়ান্ত ফলে কে কোন অবস্থানে

Untitled design (1)
[publishpress_authors_box]

ভারতের লোকসভার ৫৪৩টি আসনের সবগুলোর ফলই ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত ফলে দেখা যাচ্ছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে জয় পেয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল বিজেপি। ২৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে দলটি। 

অর্থাৎ টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারত শাসন করতে যাচ্ছে বিজেপি। যদিও আগের দুবারের মতো এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়তে হবে তাদের।

গত এক দশকে এই প্রথম বিজেপিকে সরকার গঠনে তাদের জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে দরকার ২৭২টি আসন। সেখানে বিজেপির ৩২টি আসনে টান পড়েছে।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যথাক্রমে ২৮২ ও ৩০৩টি আসনে জয়ী হয়ে এককভাবে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।   

বিজেপির পর সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। ৯৯টি আসনে জয়ী হয়েছে রাহুল গান্ধীর এই দল। আগের নির্বাচনে তারা ৫২টি আসনে পেয়েছিল।

বিজেপির কাছে হারলেও লোকসভায় আসন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই উল্লসিত ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এই দলের নেতারা।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল বলছে, লোকসভার ৩৭টি আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার শরিক এই দল এবারের নির্বাচনে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হিসেবে বিবেচিত উত্তর প্রদেশ। একসময় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির দাপট এই রাজ্যে থাকলেও গত দুটি নির্বাচনে বিজেপি ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছিল রাজ্যটিকে। সেখানে এবার ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৭টি আসনে জয় পেয়ে বিজেপিকে পেছনে ফেলেছে সমাজবাদী পার্টি।

বিজেপির প্রথম সারির নেতা যোগী আদিত্যনাথের এই রাজ্যে দলটি ৩৩টি আসনে জয় পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে।

সমাজবাদী পার্টির পর পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভার ২৯টি আসনে জয় পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে।  

এরপর তামিলনাড়ুর দ্রাবিড়া মুনেত্রা কড়গম-ডিএমকে ২২ আসন, অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টি-টিডিপি ১৬ আসন ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ) লোকসভার ১২টি আসনে জয় পেয়েছে।

উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা ৯, শারদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ৮, একনাথ শিন্ডের শিব সেনা ৭ ও রাম বিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি ৫টি আসনে জয় পেয়েছে।

এছাড়া জগন মোহন রেড্ডির যুবজনা শ্রমিকা রাইথু কংগ্রেস পার্টি, তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও সিপিএম ৪টি করে আসনে জিতেছে।

অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে হারিয়েছে এবার।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা তিনটি করে আসনে জয়ী হয়েছে।

জনসেনা পার্টি, সিপিআই (এমএল), জনতা দল (সেক্যুলার),  বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচি, সিপিআই, রাষ্ট্রীয় লোক দল ও জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে।

ভারতের লোকসভায় এবার একটি করে আসনে বসতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে আছে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল, অসম গণ পরিষদ, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার), কেরালা কংগ্রেস, রেভ্যুলুশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, ভয়েস অব দ্য পিপল পার্টি, জোরাম পিপলস মুভমেন্ট, শিরোমণি আকালি দল, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক দল, ভারত আদিবাসী পার্টি, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা, মারুমালারচি দ্রাবিড়া মুনেত্রা কড়গম, আজাদ সমাজ পার্টি, আপনা দল, এজেএসইউ পার্টি ও অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন।

এছাড়া ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় জায়গা করে নিয়েছেন।

জোটের অবস্থা

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে আছে ৪১টি দল। তাদের আসন দাঁড়িয়েছে ২৯৩টিতে।

এসব দলের মধ্যে বিজেপি ছাড়া তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি, জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি, শিব সেনা ৭টি, লোক জনশক্তি পার্টি ৫টি, জনসেনা পার্টি ২টি, রাষ্ট্রীয় লোক দল ২টি, জনতা দল (সেক্যুলার) ২টি, আপনা দল ১টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ১টি, অসম গণ পরিষদ (১টি), সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা ১টি, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল ১টি ও হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) ১টি আসন পেয়েছে।

ভারতের লোকসভায় এবার আসন সংখ্যা বেড়েছে রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেসের।

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ায় আছে ২৮টি দল। জোটগতভাবে তাদের আসন ২৩২টি।

তাদের মধ্যে কংগ্রেস ছাড়া সমাজবাদী পার্টি ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, দ্রাবিড়া মুনেত্রা কড়গম (ডিএমকে) ২২টি, উদ্ধব ঠাকরের শিব সেনা ৯টি, সিপিএম ৪টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ৪টি, আম আদমি পার্টি ৩টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ৩টি, সিপিআই ২টি, সিপিআই (এমএল) ২টি, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স ২টি, বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচি ২টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ১টি, রেভ্যুলুশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি ১টি, কেরালা কংগ্রেস ১টি ও মারুমালারচি দ্রাবিড়া মুনেত্রা কড়গম ১টি আসনে জয় পেয়েছে।   

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত