Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ট্রাম্প না হ্যারিস- বিশ্বনেতাদের কে কোন পক্ষে

(বাঁ থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, শি জিনপিং, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও নরেন্দ্র মোদী।
(বাঁ থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, শি জিনপিং, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও নরেন্দ্র মোদী।
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্বের মানুষ। আর দুদিন পরেই সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রধান দুই প্রার্থীর কারণে এবারের নির্বাচন ঘিরে মানুষের কৌতূহল একটু বেশি।   

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেও নির্বাচিত হয়েছিলেন, ২০১৬ সালে, হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে। এরপর ২০২০ সালে তিনি হেরে যান জো বাইডেনের কাছে। পরাজয়ের গ্লানি ভালোভাবে নেননি ট্রাম্প। ক্ষমতা ছাড়তে চাইছিলেন না।

ট্রাম্পের উসকানিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়ে বসে তার সমর্থকরা। তার আগে ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মামলাও ঠুকেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হোয়াইট হাউসের মায়া তাকে ছাড়তেই হয়।  

এ বছর ট্রাম্পের আরেকটি ঘটনা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে বিশ্বব্যাপী। পেনসিলভেনিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘটনা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনয়ন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। কিন্তু ভোটের আগেই ট্রাম্পের কাছে হেরে বসেন তিনি।

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিপক্ষের কাছে বাইডেনকে ধরাশায়ী হতে দেখে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাকে সাফ জানিয়ে দেয়, আপনার বয়স হয়েছে। ভোটে দাঁড়ানো বা দেশ পরিচালনা করার মতো সামর্থ্য আপনার নেই। আপনার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই ভোটে দাঁড়াক।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন বাইডেন। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ভোটযুদ্ধের ময়দানে আবির্ভূত হন কমলা।                                                                    

এই দুজন আলোচিত প্রার্থীর মধ্যে শেষ হাসি কে হাসবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ গোলার্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের রায় শেষ পর্যন্ত কার পক্ষে যাবে, এনিয়ে হিসাব-নিকাশ যেমন চলছে, তেমনি বিশ্বনেতারা কাকে হোয়াইট হাউসে দেখতে চান, তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।            

ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারাতে ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

ভ্লাদিমির পুতিন

রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন যদিও বলেছেন, কমলা হ্যারিস তার পছন্দ, কিন্তু তার সেই কথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা। কারণ তাদের ধারণা, পুতিনের পছন্দ আসলে ট্রাম্প।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা চাথাম হাউসের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো টিমোথি এশ আল জাজিরাকে বলেন, “বেশ কয়েকটি কারণে পুতিনের সমর্থন আছে ট্রাম্পের প্রতি।

“প্রথমত, পুতিন মনে করেন, ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি নমনীয়। নির্বাচিত হলে রাশিয়ার সঙ্গে লড়তে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া কমাবে ট্রাম্প। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর হোয়াইট হাউসের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেবেন তিনি।”

টিমোথি এশ বলেন, “আমার মনে হয়, ট্রাম্পের মধ্যে নিজেকে দেখতে পান পুতিন। দুজনই কর্তৃত্ববাদী, সোশিওপ্যাথ। পুতিন সম্ভবত ট্রাম্পকে বুঝতে পারেন।”

অন্যদিকে রুশ বিশ্লেষকদের ভাষ্য, মস্কোর কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, ট্রাম্প বা কমলা যেই জিতুক, রাশিয়ার প্রতি বিদ্বেষ থেকে কখনও বের হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে পুতিন তার সম্পর্কে বলেছিলেন, “নিঃসন্দেহে তিনি মেধাবী ও প্রতিভাবান ব্যক্তি।”  

সে বছরের জুলাইয়ের পুতিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। তারা বলেছিলেন, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারাতে ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিলেন পুতিন।

তারা যে ভুল বলেননি, তা ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাতে বলা হয়, ওই নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া।

পরেরবার অর্থাৎ ২০২০ সালের নির্বাচনেও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।   

এ বছরের জুলাই মাসেও একই অভিযোগ আসে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আগের নির্বাচনগুলোতে রাশিয়া যে অবস্থান নিয়েছিল, সেখান থেকে তারা সরে এসেছে, এমনটা আমরা দেখছি না।”     

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কারও প্রতি সমর্থন জানাননি।

রাশিয়ার মতো চীনের ক্ষেত্রেও ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয়কেই বিভিন্ন সময়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে নেমেছিল ট্রাম্প।

সে বছর আড়াইশো বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি করা চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর প্রতিক্রিয়ায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়েছিল চীন।  

নির্বাচিত হলে ট্রাম্প এই অবস্থান থেকে সরে আসবে, তা মনে করছেন না আল জাজিরার এক্সপ্লেইনার সারাহ শামীম।

তার মতে, বিশ্বব্যাপী চীনের প্রভাব যে হারে বাড়ছে, তাতে ডেমোক্রেটরাও দেশটির বিরোধিতা অব্যাহত রাখতে পারে।

২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্পের চীন নীতি থেকে সরে আসেননি বাইডেন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আগের মতোই আছে। বরং এবারের নির্বাচনের দুই মাস আগে চীনের নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

কমলা হ্যারিস নির্বাচিত হলে, ধারণা করা হচ্ছে, তিনিও বাইডেনের চীন নীতি অনুসরণ করে চলবেন।   

নির্বাচিত হলে চীনের প্রতি আচরণ কেমন হবে, সে বিষয়ে ট্রাম্প বা হ্যারিস কেউই বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তবে ক্ষমতায় থাকার সময় চীনের প্রতি যতই বাণিজ্য যুদ্ধের ডাক দিক না কেন, সি চিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক যে ভালো, তা বলতে বা দেখাতে কার্পণ্য করেন না ট্রাম্প।

যেমন, এ বছরের জুলাইয়ে  হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পাওয়ার পর ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমরা ওপর হত্যাচেষ্টা হয়েছে, এটা শোনার পর সি আমাকে খুব সুন্দর একটা চিরকুট লিখেছে। তিনি অনেক ভালো মানুষ।”

তবে প্রেসিডেন্ট শি প্রকাশ্যে ট্রাম্প বা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন না জানালেও চীনের কর্মকর্তারা হ্যারিসের দিকে কিছুটা ঝুঁকে আছে, এমন খবর পাওয়া গেছে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের সাবেক ডিন জা জিনগুয়াকে উদ্ধৃত করে এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

চাথাম হাউসের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো টিমোথি এশেরও একই মত। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “শি সম্ভবত হ্যারিসকে চান। ইরান যেমনটা চায়।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও প্রকাশ্যে ট্রাম্প বা হ্যারিস কারও প্রতিই সমর্থন জানাননি। তবে অনেকের বিশ্বাস, তার পাল্লা ভারী ট্রাম্পের দিকে।

ট্রাম্পের শাসনামলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলি-আমেরিকান কাউন্সিলে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমার মতো ভালো বন্ধু হোয়াইট হাউসে এর আগে পায়নি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল।”    

পরের বছর নেতানিয়াহুও এক বক্তব্যে বলেছিলেন, “হোয়াইট হাইসে ট্রাম্পই ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু।”    

দুজনের এই প্রগাঢ় বন্ধুত্বে ছেদ ঘটে ২০২১ সালে। ট্রাম্পকে হারিয়ে বাইডেন সেবছর শপথ নিলে তাকে অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু। এতে ক্ষেপে যান ট্রাম্প। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, নেতানিয়াহু তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

অবশ্য ওই ঘটনার পর ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসাবে এ বছরের জুলাইয়ে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বাড়ি মার-এ-লাগোতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু।

এরপর ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন নেতানিয়াহু। সেটি আবার ট্রাম্প নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে রিপোস্ট করেন।

অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসনও নেতানিয়াহুর সঙ্গে সখ্য বজায় রেখে চলেছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে নেতানিয়াহু সরকারকে সব ধরনের কূটনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।     

নেতানিয়াহুকে ডাকনামে সম্বোধন করে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেছেন, “ইসরায়েলকে আমি যা দিয়েছি, তা অন্য কোনও সরকার দেয়নি। কেউই না। আমার ধারণা, বিবি (নেতানিয়াহু) তা মনে রাখবেন।” 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নরেন্দ্র মোদী    

২০১৬ সালে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার বাইডেনের ক্ষেত্রেও তিনি একই কাজ করেন।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা চাথাম হাউসের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো চেতিগ বাজপেয়ী এক নিবন্ধে বলেন, “আমরা মনে হয় না, ট্রাম্প ও কমলা-এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কাউকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বেশি পছন্দ করেন।

“ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান পার্টি উভয় দলই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত রাখতে চায়। উভয় দলই ভারতকে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে। যেভাবে তারা চীনকে দীর্ঘমেয়াদী শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে।”    

নিবন্ধে আরও বলা হয়, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের তিনটি প্রধান ভিত্তি হচ্ছে-বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারত, ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের উদীয়মান অর্থনীতি।

ইউরোপীয় ও ন্যাটো নেতা

ইউরোপীয় নেতাদের বড় অংশই কমলা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে চান।

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি হ্যারিসকে ভালো জানি। তিনি নিশ্চিতভাবে একজন দক্ষ প্রেসিডেন্ট হবেন।”

ট্রাম্প বহুবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো থেকে বের হওয়ার হুমকি দিয়েছেন। যদিও পলিটিকোর প্রতিবেদন বলছে, ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ট্রাম্পের ন্যাটো ত্যাগ করার সম্ভাবনা কম।        

এই সম্ভাবনা না থাকলেও ন্যাটো ঘিরে ট্রাম্পের সমালোচনা থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচিত হলে ন্যাটোর মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে বলবেন ট্রাম্প।

কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট দেখতে চান জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।

দক্ষিণ কোরিয়া

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল স্পষ্ট করে ট্রাম্প-হ্যারিস কারও প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেননি। তবে দুই দেশের সম্পর্ক বাইডেনের আমলে মজবুত হয়।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ব্রুকিংসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাম্পের আমলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তারা তাদের প্রতিরক্ষায় ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর দেখাশোনায় পর্যাপ্ত ভূমিকা রাখছে না। যদিও উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে ওই অঞ্চলে সম্মুখসারিতে যোদ্ধা পাঠিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রভাষক এডওয়ার্ড হাওয়েল আল জাজিরাকে বলেন, “উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকির ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কিছু না করলেও সিওল ও টোকিওর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগ দেয় বাইডেন প্রশাসন।” 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত