Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ভিক্টোরিয়া থেকে ভিক্টোরিয়া, সঙ্গে ইহুদি যোগ

স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে কিয়ার স্টারমার।
স্ত্রী ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে কিয়ার স্টারমার।
[publishpress_authors_box]

উনিশ শতকজুড়ে যুক্তরাজ্যে রানি ভিক্টোরিয়ার শাসন একটি যুগেরও প্রতিনিধিত্ব করে; রাজা-রানির শাসন সীমিত হয়ে আসার মধ্যে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতা কাঠামোয় এলেন নতুন এক ভিক্টোরিয়া।

এই ভিক্টোরিয়া দেশটির লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের স্ত্রী। ১৪ বছর বাদে দলটি ক্ষমতায় ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী হলেন কিয়ার স্টারমার, তার স্ত্রী হিসাবে নতুন ফার্স্ট লেডি ভিক্টোরিয়া।

রানির নামের সঙ্গেও অদ্ভুত মিল খুঁজে পাওয়া যায় নতুন ফার্স্ট লেডির। রানির নাম ছিল ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ড্রিনা, সেখানে ফার্স্ট লেডির নাম ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার।

স্টারমার দম্পতির মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের সরকার প্রধানের সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এই প্রথম কোনও ইহুদি পরিবারের প্রবেশ ঘটছে।

এখানেও রানি ভিক্টোরিয়া যুগের একটি ঘটনা আসবে আলোচনায়। কেননা, তখনও একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, যিনি এসেছিলেন ইহুদি পরিবার থেকে।

রানি ভিক্টোরিয়া।

লেবার নেতা স্টারমার নিজে নাস্তিক হলেও তার পরিবারে ইহুদি ধর্মের কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়।

সাবেক আইনজীবী ভিক্টোরিয়া পোলিশ বংশদ্ভুত এক ইহুদি ব্যক্তির সন্তান। ভিক্টোরিয়ার বাবা জন্মসূত্রে ইহুদি ছিলেন। আর তার মা বিয়ের পর খ্রিস্টান থেকে ইহুদি হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে তার বাবা-মা যুক্তরাজ্যে এসে বসবাস শুরু করেন।

১৯৬৩ সালে উত্তর লন্ডনে ভিক্টোরিয়ার জন্ম, বেড়ে ওঠাও সেখানে। তার বাবা ছিলেন অর্থনীতির শিক্ষক, মা ছিলেন চিকিৎসক।

ভিক্টোরিয়া নিজে কার্ডিফ ইউনিভার্সিটিতে আইন ও সমাজবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। কিয়ার স্টারমার নিজেও পেশায় আইনজীবী। সেই সূত্রেই ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে তার পরিচয়।

তবে ভিক্টোরিয়া এখন যুক্তরাজ্যের জাতীয় জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা (এনএইচএস) বিভাগে পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন।

২০০৭ সালে তারা বিয়ে করেন এবং তাদের দুটি সন্তান; একটি ১৬ বছর বয়সী ছেলে এবং অন্যটি ১৩ বছর বয়সী মেয়ে।

এই দম্পতি এখন তাদের সন্তানদেরও ইহুদি বিশ্বাসেই বড় করছেন এবং তারা লন্ডনের সেন্ট জনস উডের উদারপন্থী ইহুদি সিনাগগের সদস্য। এটি যুক্তরাষ্ট্রের রিফর্ম জুডাইজম আন্দোলনের মতো ইহুদি ধর্মের একটি প্রগতিশীল ঘরানার উপাসনালয়।

সিনাগগটি ইহুদি ঐতিহ্যের আধুনিক ব্যাখ্যা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করে। সমাজের সব শ্রেণি ও মতের ইহুদিদের মধ্যে ঐক্যের কথা বলে।

সিনাগগটি নিজেকে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অ-ইহুদি অংশীদারদেরও স্বাগত জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং সাম্যবাদী সম্প্রদায়’ হিসাবে নিজেদের বর্ণনা করে।

এই অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি স্টারমারের মূল্যবোধের সঙ্গেও মিলে যায়। তার দল লেবার পার্টিও আর্থ-সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি লালন করে, যদিও সেটা কোনও ধর্মের ভিত্তিতে নয়।

স্টারমারের আসনে ভোটের প্রচারপত্রে স্ত্রীর ছবিও ছিল; যদিও ভিক্টোরিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হননি। এমনকি তার স্বামীর নির্বাচনী প্রচারের পুরো সময়জুড়েই তিনি নীরব ছিলেন, গণমাধ্যমে কোনও কথাই বলেননি। রাজনীতিতে আসারও কোনও আগ্রহ নেই তার।

স্টারমার পরিবারে ধর্মচর্চা

নির্বাচনের আগে কিয়ার স্টারমার প্রায়ই তার পরিবারে ইহুদি ধর্ম চর্চা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি জানান, ইহুদি ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি শুক্রবার রাতে পরিবারের সবার একসঙ্গে খাবার খাওয়া তার পরিবারের একটি অবশ্য পালনীয় নিয়ম। ইহুদি ধর্মে একে শাব্বাত বলা হয়।

নিজে নাস্তিক হলেও কিয়ার স্টারমার বলেন, তিনি তার সন্তানদের এমনভাবে বড় করতে আগ্রহী, যাতে তারা তাদের নানার পরিবারের ধর্ম বিশ্বাসকে স্বীকৃতি দেয়। আর এ কারণেই তিনি নিয়মিতই শাব্বাতের ডিনার করেন।

স্টারমার তার পরিবারের ঐতিহ্য সম্পর্কে বলেন, “প্রতি সপ্তাহে একটি চাল্লাহ হয় এবং আমরা কিদ্দুশ বলি।”

চাল্লাহ হল শাব্বাতের সময় খাওয়ার জন্য তৈরি করা বিশেষ এক ধরনের রুটিজাতীয় খাবার। আর কিদ্দুশ হল শাব্বাতের আগে মদ বা আঙ্গুরের জুস খেতে খেতে আবৃত্তি করার জন্য ধর্মীয় প্রার্থনা বচন।

ভোটের এক সপ্তাহ আগে রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক প্রতিদ্বন্দ্বী স্টারমারের সমালোচনা করেন এই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী হলে স্টারমারকে প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজে পাওয়া যাবে না। এর পাল্টায় স্টারমার সুনাকের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগও তুলেছিলেন।

স্টারমার পরিবার উদারপন্থী ইহুদি সিনাগগের অনুসারী।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ভিক্টোরিয়া স্টারমারের ধর্ম বিশ্বাস রাজনৈতিক আলোচনায় উঠে আসে। স্টারমার বলেছিলেন, “আমার স্ত্রীর পরিবারের অর্ধেক ইহুদি, তারা হয় এখানে বা ইসরায়েলে থাকে।”

হামাসের হামলায় হতাহতের কথা বলতে গিয়ে স্টারমার বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! আমার স্ত্রীর পরিবারের কেউই হামলার শিকার হয়নি। তবে কোনও সন্দেহ নেই যে, তারা ওই হামলায় মানসিকভাবে অনেক আঘাত পেয়েছেন।”

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই স্টারমার যুক্তরাজ্যেও ইহুদি বিদ্বেষ বেড়ে চলেছে মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা এখানে ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে আছি এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমরা ইসরায়েলের পাশে আছি।”

হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করতে অস্বীকার করার জন্য স্টারমার বিবিসিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আমরা যা দেখছি তা স্পষ্টতই সন্ত্রাসবাদ।” ১১ অক্টোবর তিনি বলেন, “ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং হামাস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী।”

ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তার পরিবারও বিদ্বেষের শিকার হয়েছে। তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থী গোষ্ঠীগুলো তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছে।

এপ্রিল মাসে একটি আদালতে অভিযোগ করা হয় যে, স্টারমারের উত্তর লন্ডনের বাড়ির সামনে ফিলিস্তিন সমর্থকরা বিক্ষোভ করার সময় ভিক্টোরিয়া স্টারমার তার নিজের বাড়ি থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।

তার আইনজীবী বলেন, তাকে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। কারণ বিক্ষোভকারীরা বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ায় ভিক্টোরিয়া আতঙ্কিত এবং ভীত হয়ে পড়েছিলেন।

ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই

ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ানো স্টারমারের ‘বদলে যাওয়া’ লেবার পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।

স্টারমার ইসরায়েলের শ্রমিক বন্ধুদের কাছেও এই বার্তা দেন যে ইহুদি বিদ্বেষ লেবারদের ঐতিহ্যবিরোধী।

তবে তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থনের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের গাজায়ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং শান্তি চান।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নিয়ে আলোচনা করে স্টারমার শান্তি প্রস্তাব এবং একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমাদের শান্তি প্রস্তাব এবং একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে ফিরে যেতে হবে। তবে হামাস যা করেছে, তা স্পষ্টভাবেই সেই সমাধানকে আরও দূরে ঠেলে দিয়েছে।”

স্টারমারের কারণে এবার ইহুদি ভোটারদের মধ্যে লেবারদের প্রতি সমর্থন অনেক বেড়েছে বলে মনে করা হয়; যদিও রক্ষণশীলরাই এখনও বেশিরভাগ ইহুদির সমর্থন পায়। এখনও স্টারমারের চেয়ে ঋষি সুনাকের ইহুদি সমর্থকই বেশি।

ইসরায়েলের প্রতি কিয়ার স্টারমারের সমর্থনের প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিন সমর্থকরা তার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল।

স্ত্রীর ধর্ম বিশ্বাসকে ডাউনিং স্ট্রিটে নিয়ে আসার পরও কিয়ার স্টারমারকে যুক্তরাজ্যের ইহুদিদের সমর্থন এবং বিশ্বাস অর্জনের জন্য আরও সংগ্রাম করতে হবে।

কারণ গত এক দশকে লেবার পার্টি ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগে ব্যাপকভাবে সমালোচনা ও বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে।

জেরেমি করবিনের নেতৃত্বের সময় দলের অভ্যন্তরে ইহুদি বিদ্বেষী আচরণ এবং বক্তৃতার অসংখ্য ঘটনা এবং অভিযোগের খবর পাওয়া যায়।

এতে দলটি ইহুদি সম্প্রদায় এবং তার বাইরে থেকে তদন্ত ও ব্যাপক নিন্দার মুখোমুখি হয়। সমতা ও মানবাধিকার কমিশন (ইএইচআরসি) ২০২০ সালে এই সমস্যাগুলোকে পর্যাপ্তভাবে মোকাবেলা করতে লেবার পার্টির ব্যর্থতার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ থেকে লেবার পার্টি ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক অনাস্থার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির নেতা হওয়ার পর দল থেকে ইহুদি বিদ্বেষের মূলোৎপাটনে সচেষ্ট হন এবং আস্থা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি ঘোষণা করেন, দলের মধ্যে এই ধরনের আচরণের প্রতি কোনও সহনশীলতা দেখানো হবে না।

এমনকি দলের সাবেক প্রধান করবিনকেও তিনি ছাড় দেননি। করবিন দলে ইহুদি বিদ্বেষ নিয়ে তদন্তের ফলাফলকে ‘নাটকীয়ভাবে বাড়াবাড়ি’ বলার পর স্টারমার তাকে পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বরখাস্ত করেন।

তবে অতি সম্প্রতি তিনি বলেন যে, “প্রথম এবং সবচেয়ে মৌলিক জিনিসটি হচ্ছে যুদ্ধবিরতি, যাতে জিম্মিদের বের করে আনা যায়।”

এসময় তিনি ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতিও তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেই বলেন, “আমি ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, এমন ছাড় দিতে বাধ্য করব না। ইসরায়েলেরও শান্তিতে এবং নিরাপদে বসবাসের অধিকার আছে।”

ডাউনিং স্ট্রিটে ইহুদি

স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রশ্নের উত্তর অনেকে খুঁজছেন যে ডাউনিং স্ট্রিটে এর আগে কি কখনও কোনও ইহুদি ছিলেন।

১০ ডাউনিং স্ট্রিটের নতুন বাসিন্দা স্টারমার দম্পতি।

বিষয়টি নির্ভর করছে এখন বেঞ্জামিন ডি’ইজরায়েলিকে ইহুদি হিসেবে গণ্য করা হবে কি না? তিনি উনিশ শতকে রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে রক্ষণশীল দল থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।

বেঞ্জামিন ডি’ইজরায়েলি ইতালি থেকে আসা ইহুদি বংশোদ্ভুত পরিবারের ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। কিন্তু তার বাবা আইজ্যাক ডি’ইসরায়েলি বহু বছর ধরে রাবাইদের সঙ্গে বিরোধের পর তার সিনাগগ ছেড়ে চলে আসেন।

এরপর তিনি তার সন্তানদের ১৮১৭ সালে চার্চ অব ইংল্যান্ডে ব্যাপটাইজ করিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করান। সেসময় বেঞ্জামিন ডি’ইজরায়েলির বয়স ছিল ১২ বছর।

১৮৫৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ইহুদিরা নিষিদ্ধ ছিল। তবে বেঞ্জামিন ডি’ইসরায়েলি ধর্মান্তরিত হওয়ায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রবেশ করতে পারেন।

তিনি ১৮৩৭ সালে প্রথম ব্রিটিশ এমপি হন। ১৮৬৮ সালে তিনি প্রথম যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন এবং পুনরায় ১৮৭৪ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ডি’ইজরায়েলি বারবার ইহুদিদের একটি উচ্চতর জাতি হিসাবে অভিহিত করতেন, সেজন্য একজন পণ্ডিত তাকে ইহুদিপ্রেমী বলে মন্তব্য করেছিলেন।

তাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক উপহাস এবং কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল। সংবাদপত্রে তাকে ‘প্রধান রাবাই বেঞ্জামিন’ এবং একজন ‘ঘৃণ্য ইহুদি’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল এবং তার নাককে বিকৃত করে ব্যঙ্গাত্মক ছবিও ছাপা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র : দ্য ইনডিপেনডেন্ট, সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, জুইশ ক্রনিকল, দ্য জেরুজালেম পোস্ট, টাইমস অব ইসরায়েল, দ্য ফরোয়ার্ড

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত