মুখশ্রীতে ‘নারী সুলভ বৈশিষ্ট্যে’র প্রকটতার কারণেই ঐশ্বরিয়া রাই নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট জয়ী এই বিশ্বসুসন্দরীর চেহারার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করেছে সম্প্রতি কোভস স্টুডিও এই দাবি করেছে।
উন্নত এআই অ্যালগরিদম এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে বৈশিষ্ট্য এবং অনুপাত বিশ্লেষণ করে মুখের সৌন্দর্য বিশ্লেষণ করে থাকে কোভস স্টুডিও। বিশ্লেষণের সময় মানুষের মুখশ্রী কী কারণে নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সেটি বোঝার চেষ্টা করা হয়। কসমেটিক সার্জারি এবং সৌন্দর্য পরামর্শদাতা পেশাদাররাও কোভস এর বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করেন।
কোভস বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয়, যেখানে তারা অনেক মুখের বিশ্লেষণের ভিডিও আপলোড করে।
সম্প্রতি একটি ফেসিয়াল অ্যানালাইসিস টুল ব্যবহার করে ঐশ্বরিয়ার মুখের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে কোভস দেখায়, তার মুখের নারীসুলভ বৈশিষ্ট্যই প্রধান কারণ- যার জন্য তিনি সবচেয়ে সুন্দর মুখগুলোর মধ্যে স্বতন্ত্র।
স্টুডিওর সাম্প্রতিক পোস্টে, একটি ভিডিওতে ঐশ্বরিয়ার মুখের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। ভয়েসওভারে বলা হয়, ঐশ্বরিয়ার সৌন্দর্যের ধরন মূলত সাহিত্যে যে ধরনের মুখশ্রীকে সুন্দর বলে বর্ণনা করা হয়- সেই রকম। বিশ্লেষণে তার ‘বাঁকানো ভ্রু’, ‘নিচু হেয়ারলাইন’, ‘ভরাট ঠোঁট এবং ব্যতিক্রমীভাবে ‘বড় চোখ’ এর দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তার চেহারায় একটি ‘খাড়া, সমতল কপাল’ রয়েছে, যা ‘মুখের নারীসুলভতা’ নামে পরিচিত বৈশিষ্ট্যটি তৈরি করতে সাহায্য করে।
কোভস এর ভিডিওতে ‘মুখের নারীসুলভতা’ নারীদের সৌন্দর্যের ‘ভিত্তিপ্রস্তর’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
পোস্টটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন ভক্ত মন্তব্য করেছেন, “তিনি এখনও সবচেয়ে সুন্দরী।” দ্বিতীয় একজন ভক্ত বলেছেন, “এই নারী আইকনিক হয়ে থাকবেন।” একজন ভক্ত যোগ করেছেন, “এই নারী একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর।” একটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, “তিনি সবচেয়ে সফল মিস ওয়ার্ল্ড, তিনি লরিয়ালের মুখ এবং কান-এর রানী, তার ক্যারিয়ার অন্যতম সেরা, শুধু তার মুখই তাকে সুন্দর করে তোলে না, তিনি একজন দক্ষ অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, একজন দয়ালু মানুষ যিনি সমাজের জন্য অসাধারণ কাজ করেছেন, তিনি অন্য মানুষের সাথে যেভাবে আচরণ করেন, যেভাবে তার সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন, যেভাবে তিনি একজন সত্যিকারের মানুষের সারমর্ম বোঝেন, সেটাই তাকে সবচেয়ে সুন্দর মানুষ করে তোলে।”
বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার পর ১৯৯৭ সালে মণি রত্নম পরিচালিত তামিল ছবি ইরুভারের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন ঐশ্বরিয়া। তিনি একই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত তার প্রথম বলিউড ছবি ‘অউর পেয়ার হো গ্যায়া’তেও অভিনয় করেন। হাম দিল দে চুকে সানাম, দেবদাস এবং যোধা আকবরের মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি লরিয়ালের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর এবং প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে আসছেন।


