২০০৫ সালে আমেরিকায় মুক্তি পায় ‘ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন’। তাইওয়ানি পরিচালক অ্যাং লি এই সিনেমার জন্য অস্কার থেকে বাগিয়ে নেন ‘বেস্ট ডিরেক্টর’ পুরস্কার। তিনিই ছিলেন অস্কারে এই বিভাগে পুরস্কার পাওয়া প্রথম কোনো এশীয় নির্মাতা।
এছাড়াও সেরা চিত্রনাট্য লেখক এবং সংগীতের জন্যও অস্কার আদায় করে নেয় ‘ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন’।
প্রায় দুই দশক আগের এই এই সিনেমার নাম এখন নিষিদ্ধের তালিকায় তুলেছে রাশিয়া।
এরই মধ্যে রাশিয়ার মিডিয়া ওয়াচডগ রোসকোমনাডজো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে থাকা সিনেমার পাইরেটেড সংস্করণ ব্লক করে দিয়েছে।
রাশিয়ার এলজিবিটিকিউ নিয়ে আইনের পর একাধিক সিনেমা ও টিভি সিরিজ নিয়ে তালিকা করেছে রোসকোমনাডজো।
২০২৩ সালের নভেম্বরে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট এলজিবিটিকিউ আন্দোলনকে ‘চরমপন্থী’ উল্লেখ করে অবৈধ ঘোষণা দেয়।
২০১০ সালের গোড়া থেকেই ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’ নিয়ে জোর দিতে শুরু করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সমকামীতা নিয়ে দুই যুগ ধরে রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকা পুতিন বলেছেন, যতক্ষণ না প্রকাশ্যে কিছু করছে অথবা সন্তান সংক্রান্ত বিষয় এতে জড়াচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তিগত পরিসরে সমকামীরা যা করবেন তা তাদেরই বিষয়।
তবে ’চিরাচরিত যৌনাচারের’ বাইরে অন্য কোনো সম্পর্কের বিরুদ্ধেও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি এরমধ্যে।
আর-রেটিং দেওয়া ‘ব্রোকব্যাক মাউন্টেইন’ সিনেমা দুই কাউবয়ের ভালোবাসার গল্প।
এনিস ও জ্যাক দুজন অন্তরঙ্গ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে তারা বিয়ে করে দুজনকে নারীকে। এরপর থেকেই এনিস ও জ্যাকের সম্পর্ক যেন আরও জটিল হয়ে ওঠে।
দুই পুরুষের সমকাম নিয়ে এই কাহিনী লিখেছেন এ্যানি প্রোউলক্স। সমকামী দুই পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিথ লেজার এবং জেইক ইলেনহল।
এই সিনেমার আইএমডিবি রেটিং ৭.৭/১০।