রোজা শুরুর আগে খেজুরের দাম নির্ধারণ করে একটি আদেশ জারি করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে সাধারণ মানের খেজুরকে নিম্নমানের খেজুর হিসেবে উল্লেখ করে তার দাম ঠিক করে দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে মন্ত্রণালয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ওই চিঠি সংশোধন করে ‘নিম্নমানের খেজুর’ এর জায়গায় ‘সাধারণ মানের খেজুর’ লিখে নতুন চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবার সেই ভুলের জন্য সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষমাও চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের ভুলের কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে। আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলব যে বড়ই ভুল। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ‘ই…’ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।”
দ্রুত কাজ করতে গেলে কিছু ভুলত্রুটি হয়ে যায় উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের (ব্যবসায়ীদের) বলেছিলাম ,স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল। তাই তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টার কথা এবং ভোক্তার অধিকার রক্ষায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যেভাবে কাজ করছে তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেন তিনি।
বলেন, “এরমধ্যে আমাদের ছোটখাটো ভুল হয়, সেটাকে হাইলাইট না করে আমি সবসময় বলি এফোর্টগুলোকে যদি একটু হাইলাইট করা হয়, যে সমস্যাগুলো আছে সেগুলো আমাকে বলা হয় তাহলে চলে যাবে।”
সাধারণ মানের যে খেজুরের নামকরণ নিয়ে বিতর্ক ওঠে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তার দাম প্রতি কেজি ১৫০-১৬৫ টাকা বেধে দিয়েছে। এছাড়া বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
তবে প্রতিমন্ত্রী ক্ষমা চাইলেও নিম্নমানের খেজুর বাজারে আছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের আরেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিম্নমানের খেজুর বলতে কী বোঝানো হয়েছে, সাংবাদিকরা তা জানতে চান দলটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে আছে। এটা তো সত্য কথা। সরকার তো নিম্ন মানের খেজুরকে ভালো খেজুর বলে চালিয়ে দিতে চায়নি।”