আবু বকরের মা রোকসানা বেগমের বয়স ৬৫ বছর। ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা ও নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন। দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু তাতে রোকসানা বেগমের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। আবু বকর তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মাকে পাশের দেশ ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাবেন।
কিন্তু গত ৫ আগস্ট দেশে ক্ষমতার পালাবদলের বাংলাদেশিদের ভারতের ভিসা পেতে জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেখানে রোকসানা বেগমকে আপাতত নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আবু বকরকে এশিয়ার আরেক দেশ থাইল্যান্ডের হাসপাতালের খোঁজ-খবর নিতে হচ্ছে। ভারতে গেলে খরচ কম হলেও থাইল্যান্ডে গেলে খরচ বেশি হবে, তা জেনেই সে পথে হাঁটছেন তিনি।
ইলিয়াস হোসেনের মেয়ের জন্ম ঢাকার একটি নামি হাসপাতালে। জন্মের পর মেয়ের যাবতীয় চেকআপ করা হবে-সেখান থেকে এমন প্যাকেজ নিয়েছিলেন তিনি। সেই প্যাকেজের মধ্যে হার্টের চিকিৎসাও ছিল।
মেয়ের সব ঠিক আছে, বাসায় ফেরার ছাড়পত্র দেওয়া হলো। পরের বছর গ্রামে গেলে একদিন হঠাৎ বমি করে মেয়েটা। সেখানকার চিকিৎসক দেখে জানান, হার্টে সম্ভবত সমস্যা রয়েছে।
ঢাকায় শিশু হাসপাতালে গেলে তারা ইলিয়াসকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মেয়েকে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে এক চিকিৎসক তার মেয়ের দ্রুত অস্ত্রোপচার করা লাগবে বলে জানান। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েন ইলিয়াস হোসেন ও তার স্ত্রী।
এরপর আরেক চিকিৎসকের কাছে গেলে মেয়েকে ওষুধ দেওয়া হয়। ফলোআপে রাখা হয়। তিনিও অস্ত্রোপচারের কথা বলেন, যাতে খরচ পড়বে ২ লাখ টাকা। আরও ৫ লাখ টাকা সঙ্গে রাখতে বলেন ওই চিকিৎসক। অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে হৃৎপিণ্ডের ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেক্ষেত্রে এই বাড়তি ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন পড়বে বলে জানান তিনি।
মেয়ের হৃৎপিণ্ডের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে কোনও কারণে ভরসা পাচ্ছিলেন না ইলিয়াস। তাই তিনি ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই তার চিকিৎসা হয়। মেয়ে এখন সুস্থ আছে বলে জানান তিনি।
মেয়ের অস্ত্রোপচার দেশে না করে ভারতে করার কারণ জানতে চাওয়া হলে ইলিয়াস বলেন, “আমি মেয়ের চিকিৎসা দেশেই করাতে চেয়েছি। কিন্তু এখানকার চিকিৎসকদের আমার আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। আস্থার সংকটে পড়ে তাই দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।
“ভারতে অস্ত্রোপচার ভালো হয়েছে। পোস্ট অপারেটিভ রুমে একজন রোগীর জন্য একজন নার্স ডেডিকেটেড ছিল, সুন্দর ব্যবস্থাপনা।”
তবে মেয়ের অস্ত্রোপচার ঠিকঠাক হলেও দেশে ফিরতে পারছেন না ইলিয়াস, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে।
এমন পরিস্থিতিতে পুরনো প্রশ্ন আবার নতুন করে উঠেছে, দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা চিকিৎসা নিতে যান কেন? স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন উন্নত করা যায়নি?
এসব প্রশ্নের উত্তরও মোটামুটি সবার জানা। যারা চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন, তারা সবাই বলেন, দেশের বাইরে চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ উন্নত ও আধুনিক। চিকিৎসকদের ব্যবহার ভালো। রোগীদের তারা পর্যাপ্ত সময় দেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিশাল তালিকা ধরিয়ে দেন না। হাসপাতালে ভোগান্তি কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সিরিয়ালে বসে থাকা লাগে না। ওষুধ আর টেস্ট বাণিজ্যের দাপট সেখানে দেখা যায় না।
বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যাওয়ার এসব কারণ সম্পর্কে কোনও দ্বিমত নেই দেশের সাধারণ চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
তারা অকপটেই স্বীকার করেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। জনবল কম। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে।
তাদের মতে, নির্ভুল রোগ নির্ণয়, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের আচরণ পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি কমানো গেলে দেশেই বিশ্বমানের সেবা দেওয়া সম্ভব।
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের নাগরিক।
কোন অসুখ সারাতে দেশের বাইরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের তিন বছর আগের এক গবেষণা বলছে, ১২টি রোগের চিকিৎসায় মানুষ দেশের বাইরে যায়। এসব রোগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ক্যান্সার। ২১ শতাংশ ক্যান্সার রোগী দেশের বাইরে চিকিৎসা নেন।
এরপর রয়েছে হৃদরোগ (১৮ শতাংশ), কিডনি রোগ (১৪ দশমিক ৫ শতাংশ)। এই কিডনি রোগীদের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের রোগীই বেশি।
এছাড়া অর্থোপেডিক সার্জারির জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। লিভার ও লিভার ক্যান্সারের রোগী ১১ শতাংশ, স্নায়ুর রোগী ৯ শতাংশ, পরিপাকতন্ত্র ও প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগা রোগী ৬ শতাংশ, নাক-কান-গলার রোগী ৫ শতাংশ। পাশাপাশি জেনারেল সার্জারি ও ৪ শতাংশ স্ত্রীরোগে আক্রান্তরা দেশের বাইরে চিকিৎসা নেন।
তবে এই হার তিন বছরে কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, দেশে ইনফার্টিলিটি (প্রজনন জটিলতা) ও স্নায়ুরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যাদের সুযোগ আছে, এসব রোগ সারাতে তারা দেশের চিকিৎসার ওপর ভরসা করছেন না, বাইরে চলে যাচ্ছেন। এমনকি সাধারণ অসুখেও মানুষ দেশে চিকিৎসা নিচ্ছে না।
সৈয়দ আব্দুল হামিদ জানান, সাধারণভাবে মেডিকেল চেকআপের জন্য বিদেশ যাচ্ছে ৫ শতাংশ মানুষ। মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিতে ২ শতাংশ, ওবেসিটির জন্য ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ আর অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে ৪ শতাংশ মানুষ।
সবচেয়ে কম রোগী যাচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারিবিষয়ক চিকিৎসা নিতে, যার হার মোট রোগীর শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ।
কত রোগী বাইরে যাচ্ছে
২০১২ সালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বরাতে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ২০১২ সালে বিদেশে গিয়েছিল সাড়ে ৩ লাখ রোগী, খরচ হয়েছিল ২০৪ কোটি ডলার। এদের মধ্যে ১ লাখ ২৮ জন ভারত, সিঙ্গাপুর আর থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল।
২০২১ সালে বিডার সর্বশেষ তথ্যমতে, চিকিৎসার জন্য ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে গেছে ৭ লাখ রোগী। এর মধ্যে ভারতে গেছে ২ লাখ ৩৫ হাজার, যা মোট রোগীর ৩৪ শতাংশ। আর এতে খরচ হয়েছে ৪০০ কোটি ডলার বা ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
প্রতি বছর দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা কত এবং তাদের মাধ্যমে কত টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে-জানতে চাওয়া হলে হামিদ বলেন, “এই পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। তবে এটা বলা যায়, সংখ্যাটা অনেক বড়। খরচটা কেউ বলে ৩০ বিলিয়ন ডলার, কেউবা বলে ১৫-৩০ বিলিয়ন ডলার।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, গত অর্থবছরে মেডিকেল ভিসা পেয়েছিল ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭০ জন। আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ৬৭ জন। ঠিক কোন রোগ সারাতে এই আক্রান্তরা দেশের বাইরে গেছেন, সেটা এন্ট্রি করার ‘মেকানিজম’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পূর্ব ভারতের বেসরকারি হাসপাতালের সংগঠনের বরাতে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগী কমেছে আওয়ামী লীগ গত আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর।
অন্যদিকে ভারতীয় চিকিৎসকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) তথ্য বলছে, শুধু কলকাতাতেই রোগী কমেছে ৩০-৩৭ শতাংশ।
কেন বিদেশ যাচ্ছে
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের গবেষণায় বিদেশ যাবার কারণ হিসেবে দেখা যায়, শতকরা ৫০ শতাংশ রোগীই বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে গুণগত মানের কারণে। আর ২৩ শতাংশ যাচ্ছে দেশের চেয়ে বাইরে খরচ কম বলে।
গবেষণায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ৮ কারণ উঠে এসেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। কারণগুলো হচ্ছে-অভিজ্ঞ চিকিৎসক, মানসম্মত চিকিৎসা, চিকিৎসকদের রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া, চিকিৎসা পেতে কম সময় অপেক্ষা, পরীক্ষায় সঠিক রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যয়, চিকিৎসা চলাকালে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা আর স্বাস্থ্যসেবার গুণগত উন্নত মান।
দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ ছিল ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যেও।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছিলেন, চারদিকে কেবল হাসপাতাল আর ইনস্টিটিউট কিন্তু চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনও বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশের চিকিৎসাসেবা নিয়ে আস্থার সংকটের কথা বলেছিলেন। তার মতে, দেশের চিকিৎসাসেবা নিয়ে মানুষের মনে আস্থা কম বিধায় তারা দেশের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
দেশে কী সমস্যা
বাংলাদেশি রোগীদের বিদেশমুখিতা কীভাবে কমানো যায়, এখন সে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যেভাবে দেখা উচিৎ, সেভাবে দেখেন না রাজনীতিকেরা। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন না। অধিকাংশ হাসপাতালে এখনও পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবল নেই। কোথাও কোথাও যন্ত্রপাতি আছে তো টেকনিশিয়ান নেই।
“বহির্বিভাগে একজন বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা ও কিছু ওষুধ পাওয়া ছাড়া তেমন সেবা মিলছে না। আবার মাত্রাতিরিক্ত খরচ দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে গেলেও অযাচিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ত্রুটিপূর্ণ ফল এবং প্রয়োজনের তুলনায় কম সময় দেওয়ায় রোগীরা হতাশ হয়ে পড়েন। এতে পুরো চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বিদেশ যাচ্ছেন তারা।”
তিনি বলেন, “যতদিন পর্যন্ত না নীতিনির্ধারকেরা সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেবেন, ততদিন পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হবে না।”
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি দেশের বাইরে যায় ক্যান্সারাক্রান্ত রোগীরা। এর কারণ জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. গুলজার হোসেন বলেন, দ্বিতীয় পরামর্শ পেতে তারা এটা করেন।
“ক্যান্সারের চিকিৎসা অনেক দূর আগালেও দেশে এমন কোনও বৃহৎ অবকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি, যা দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে সক্ষম। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যে সেবা দিচ্ছে, তা ২০ কোটি মানুষের দেশে অপ্রতুল।”
ক্যান্সার চিকিৎসায় সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে গুলজার হোসেন বলেন, “এই রোগ নির্ণয়ের উন্নত প্রযুক্তি দেশে নেই। সব ধরনের সেবা এক ছাদের নিচে আনা যায়নি। দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে।
“এছাড়া হাসপাতালে পর্যাপ্ত রেডিওথেরাপি মেশিন নেই, থাকলেও বেশিরভাগ সময় সেগুলো অচল থাকে। এসব কারণে দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ভালোভাবে করা যাচ্ছে না।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বহু বছর ধরে দেশের রোগীদের অনাস্থার সংকট চলছে, তাদের মধ্যে বিদেশ যাবার প্রবণতা বেড়েছে।
“দেশের নীতিনির্ধারকেরা কখনোই এর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেননি, গবেষণা করেননি, উত্তরণের পথ খোঁজেননি।
“ভারতের চিকিৎসকরা সময় নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে রোগী দেখেন। অন্যদিকে অভিযোগ আছে, আমাদের চিকিৎসকরা চোখ তুলে তাকান না। সময় দেন না। কথা বলেন না। আন্তরিক নন রোগীর প্রতি। এছাড়া স্বাস্থ্যপরীক্ষার ফলের ওপর রোগীরা ভরসাও রাখতে পারেন না।”