Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

কী ভুল ছিল কমলার

কমলা হ্যারিস।
কমলা হ্যারিস।
[publishpress_authors_box]

নির্বাচনের প্রায় এক মাস আগে কমলা হ্যারিস এবিসির জনপ্রিয় টক শো দ্য ভিউ-তে উপস্থিত হয়েছিলেন। আশা করা হয়েছিল সেটি হবে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি সেই আমেরিকানদের কাছে নিজেকে তুলে ধরবেন, যারা তার সম্পর্কে আরও জানতে চান।

তবে একটি প্রশ্নের উত্তরেই সেদিন ভোটাররা কমলার সম্পর্কে তাদের যা জানা দরকার, তা জেনে গিয়েছিলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের থেকে তিনি ভিন্ন কী করবেন? উত্তরে কমলা বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে ঠিক কিছুই মাথায় আসছে না।”

যদিও কমলা তার ভুল বুঝতে পেরে পরক্ষণেই বলেছিলেন, তিনি তার মন্ত্রিসভায় একজন রিপাবলিকানকেও নিয়োগ দেবেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। কমলা হ্যারিসের ওই উত্তরটিই ডেমোক্রেট প্রার্থীর বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের আক্রমণের প্রধান বিজ্ঞাপনে পরিণত হয়েছিল।

প্রতিটি নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ওই সাক্ষাৎকারের ক্লিপটি বাজাতে শুরু করেন। টেলিভিশনে প্রচারিত অনেক নির্বাচনী বিজ্ঞাপনেও রিপাবলিকানরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। সেই যে কমলাকে রিপাবলিকানরা খাদে ঠেলে দিল, মঙ্গলবারের ভোটে পরাজয়ের আগে আর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

বুধবার বিকালে কমলা নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে সমর্থকদের বলেছেন, “হতাশ হবেন না। আর জেনে রাখুন- সামনে আমরা জিতব। কখনও কখনও লড়াইয়ে জিততে একটু সময় লাগে। তার মানে এই নয় যে আমরা জিতব না।”

তবে তিনি কোথায় ভুল করেছেন এবং তিনি আর কী করতে পারতেন, তা নিয়ে আত্ম-অনুসন্ধান করতে সম্ভবত আরও সময় লাগবে। ডেমোক্র্যাটরাও তার দিকে আঙুল তোলা এবং দলের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন শুরু করে দিয়েছেন।

কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের কর্মকর্তারাও বুধবার নীরব ছিলেন, যখন কিছু সহযোগী তাদের কাছে আরও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের আশা ব্যক্ত করে তা নিয়ে অশ্রুসিক্ত শোক প্রকাশ করছিলেন।

কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের ব্যবস্থাপক জেন ও’ম্যালি ডিলন বুধবার কর্মীদের কাছে এক ইমেইল বার্তায় বলেছেন, “হেরে যাওয়া অসম্ভব বেদনাদায়ক। এটা কঠিন। এটি হজম করতেও অনেক সময় লাগবে।”

বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কমলা হ্যারিস নিজেকে তার অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট থেকে আলাদা করতে এবং ভোটারদের বোঝাতে পারেননি যে, ব্যাপক অর্থনৈতিক উদ্বেগের মধ্যে তারা যে পরিবর্তনটি চাচ্ছেন, তা তিনি দিতে পারবেন।

একজন ডেমোক্র্যাট, যিনি তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সে সময় সিএনএনকে বলেছিলেন, কমলা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার পার্থক্যগুলো খুব বেশি স্পষ্ট করে দেখাননি এই ভয়ে যে, এতে হয়ত তাকে বিশ্বাসঘাতক ভাবা হতে পারে। কারণ বাইডেন তাকে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন এবং এবার নিজে সরে গিয়ে তাকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পথও করে দেন।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

বাইডেনের ব্যর্থতার বোঝা

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে হেরে প্রার্থিতা থেকে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পর কমলা হ্যারিসকে দলের সমর্থকদের ভোট ছাড়াই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল।

কমলা তার মাত্র ১০০ দিনের প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন ‘নেতৃত্বের নতুন প্রজন্মের’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে, নারীদের গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে সমাবেশ করে।

পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জীবন যাত্রার ব্যয় কমানো এবং তরুণ দম্পতিদের বাড়ি কেনায় সহায়তাসহ অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের বিষয়গুলোকে সামনে রেখে শ্রমজীবী ​​ভোটারদের সমর্থনও ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেন।

নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাত্র তিন মাসের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের ঝড়, টেইলর সুইফটসহ বিপুল সংখ্যক তারকার সমর্থন, রেকর্ড পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন কমলা। কিন্তু তিনি বাইডেনবিরোধী মনোভাবকে নাড়াতে পারেননি, যা বেশিরভাগ ভোটারদের মধ্যে আগেই ছড়িয়ে পড়েছিল।

চার বছর দায়িত্ব পালনকালে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুমোদনের রেটিং ধারাবাহিকভাবে ৪০ শতাংশের আশেপাশেই ছিল। এমনকি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছিলেন, তারা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে রয়েছে।

তার কিছু মিত্র ব্যক্তিগতভাবে প্রশ্ন করেছেন, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে প্রতিস্থাপনের জন্য তার প্রতি খুব বেশি অনুগত ছিলেন কি না?

তবে কমলার সাবেক যোগাযোগ পরিচালক জামাল সিমন্স এটিকে একটি ‘ফাঁদ’ হিসাবে দেখছেন। কমলা যদি নিজেকে বাইডেন থেকে খুব বেশি আলাদাভাবে উপস্থাপন করতেন, তাহলে রিপাবলিকানরা আবার তাকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আক্রমণ করতেন।

তিনি বলেন, “যে প্রেসিডেন্ট আপনাকে বেছে নিয়েছেন, তার থেকে আপনি সত্যিই পালাতে পারবেন না।”

কমলা হ্যারিস তার বসের উপর ছায়া না ফেলে বাইডেন প্রশাসনের রেকর্ড থেকে নিজেকে আলাদা করার সুক্ষ্ম চেষ্টা করেছিলেন।

তিনি বাইডেনের নীতি থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে আনার কথা না বললেও নির্বাচনী প্রচারে সেগুলোর প্রচারও করেননি। বাইডেনকে আঘাত না করেই নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন।

তবে তিনি কেন দেশটির নেতৃত্ব দেবেন এবং কীভাবে তিনি অর্থনৈতিক হতাশা ও অভিবাসন নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দূর করবেন, সেসব সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি দিতে ব্যর্থ হন।

এপি ভোটকাস্ট এর তথ্য অনুযায়ী, শিকাগো ইউনিভার্সিটির এনওআরসি পরিচালিত ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি ভোটারের উপর করা একটি জরিপে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জন ভোটারই বলেছেন, তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। যেখানে চার বছর আগে মাত্র প্রতি ১০ জনে ২ জন এমন কথা বলেছিলেন।

আর ১০ জনের মধ্যে নয়জন ভোটারই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ে খুব বেশি বা কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন ছিলেন।

একই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ভোটার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো উচিৎ। যেখানে ২০২০ সালে ১০ জনের মধ্যে ৩ জন এই কথা বলেছিলেন।

কমলা হ্যারিস তার প্রচারে বাইডেন প্রশাসন থেকে আলাদা হওয়ার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্পষ্টভাবে তার নিজস্ব নীতির রূপরেখা দিতে ব্যর্থ হন। বাইডেনের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে তিনি সমস্যাগুলো নিয়ে সরাসরি কথা না বলে পরোক্ষে কথা বলেন।

জাতি যখন পরিবর্তনের জন্য ‍মুখিয়ে আছে তখন তিনি ধীরে চলার কৌশল নেন। অথচ তিনি জানতেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ যে পরিবর্তনটি চায়, তিনি সেটির প্রতিনিধিত্ব করছেন।

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর ডেমোক্রেটদের প্রতি সমর্থন যেভাবে দ্রুতগতিতে বেড়ে গিয়েছিল, তা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রাজনীতির ইতিহাসে নজিরবিহীন ছিল। ট্রাম্পকেও তিনি বিতর্কে ধরাশায়ী করেছিলেন। কিন্তু তিনি বাইডেনের ছায়া থেকে পুরোপুরি বের হতে পারেননি।

জয় পাবেন না এমনটা হয়তো ভাবেননি ফিলাডেলফিয়ার এই ডেমোক্র্যাট।
কমলা হ্যারিসের পরাজয়ে মুষড়ে পড়েন ফিলাডেলফিয়ার এই ডেমোক্র্যাট সমর্থক।

বাইডেনের সমর্থনের নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতা

২০২০ সালে বাইডেন যেসব ভোটার গোষ্ঠীর সমর্থনে জয় পেয়েছিলেন কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরও তাদের সমর্থন পুনরুদ্ধারের আশা করেছিল। এরা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ, লাতিন এবং তরুণ ভোটার এবং শহরতলীর কলেজ-শিক্ষিত ভোটার।

কিন্তু কমলা ডেমোক্রেটদের এই সমর্থক গোষ্ঠীগুলোর সব ভোট পাননি। তিনি লাতিন ভোটারদের কাছে ১৩ পয়েন্ট, কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছে দুই পয়েন্ট এবং ৩০ বছরের কম বয়সী ভোটারদের কাছে ছয় পয়েন্ট হারিয়েছেন।

ভারমন্টের স্বতন্ত্র সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, যিনি ২০১৬ ও ২০২০ সালের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দৌড়ে নেমে হেরেছিলেন, এক বিবৃতিতে বলেছেন, শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারদের ডেমোক্রেটিক পার্টির দিক থেকে মুখে ঘুরিয়ে নেওয়া বিস্ময়কর বিষয় নয়।

“প্রথমে, শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণী এবং এখন লাতিন ও কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকরাও ছেড়ে গেল। ডেমোক্রেট নেতৃত্ব স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায়, কিন্তু আমেরিকান জনগণ ক্ষুব্ধ এবং পরিবর্তন চায়। এবং তারা সঠিক।”

নারীরা মূলত ট্রাম্পের বিরোধিতায় কমলা হ্যারিসকে তাদের সমর্থন দিয়েছেন। তবে কমলা যতটা আশা করেছিলেন, সে অনুপাতে নারীদের ভোট তিনি পাননি। কমলা শহরতলীর রিপাবলিকান নারীদের মন জয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছেন— ৫৩ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ নারী তাকে ভোট দেয়নি।

সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের রেখে যাওয়া বিচারকদের হাতে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিলের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা আশা করেছিল, প্রজনন অধিকারের বিষয়ে মনোনিবেশ তাদের বিজয় এনে দেবে।

কিন্তু প্রায় ৫৪ শতাংশ নারী ভোটার কমলা হ্যারিসকে ভোট দিলেও তা ২০২০ সালে বাইডেনকে সমর্থন দেওয়া ৫৭ শতাংশের চেয়ে কম ছিল।

কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ফিরছেন হোয়াইট হাউসে।

ট্রাম্পকে টার্গেট করে প্রচারে হলো বুমেরাং

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগে থেকেই কমলা হ্যারিস এবারের নির্বাচনকে বাইডেনের ওপর নয়, বরং ট্রাম্পের ওপর গণভোট হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছিলেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক প্রসিকিউটর হিসাবে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাগুলো চালানোর জন্য নিজের আইনজীবী হিসাবে সাফল্যের রেকর্ডও তুলে ধরেন।

তবে প্রচারের প্রথম দিকে কমলা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের মূল অভিযোগটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বাইডেন ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসাবে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু কমলা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা এবং মধ্যবিত্তদের সংরক্ষণের বিষয়ে একটি দূরদর্শী ‘আনন্দময়’ বার্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।

তবে, শেষদিকে অবশ্য কমলা ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ট্রাম্পের প্রতি অসন্তুষ্ট রিপাবলিকানদের মাঝে প্রচার চালিয়েছিলেন।

ট্রাম্পের সময়কার হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, ট্রাম্প অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে ইতিবাচকভাবে কথা বলেছেন।

ওই তথ্য জানার পর ট্রাম্পকে ‘অসংলগ্ন এবং অস্থির’ বলে আক্রমণ করেছিলেন কমলা।

প্রবীণ রিপাবলিকান পোলস্টার ফ্র্যাঙ্ক লুন্টজ মঙ্গলবার রাতে বলেছেন, “কমলা হ্যারিস এই নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তখনই, যখন তিনি প্রায় একচেটিয়াভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।”

তিনি বলেন, “ভোটাররা ইতোমধ্যেই ট্রাম্প সম্পর্কে সবকিছু জানেন। তাই তারা ট্রাম্প সম্পর্কে নয়, বরং কমলা হ্যারিসের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তার প্রশাসনের প্রথম ঘণ্টা, প্রথম দিন, প্রথম মাস এবং প্রথম বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন।

“কমলা হ্যারিসের নিজের প্রতিশ্রুতিগুলোর চেয়ে ট্রাম্পের উপর বেশি ফোকাস করা তার প্রচারণা কৌশলের একটি বিশাল ব্যর্থতা ছিল।”

ফলে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে পরাজিত করার জন্য যে বিজয়ী জোট গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল, কমলা হ্যারিস তা করতে পারেননি।

ভোটাররা যেভাবে ডেমোক্র্যাটদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাতে প্রমাণিত হয়, দলটির কেবল একজন অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টই নয়, বরং তার চেয়ে আরও গভীর সমস্যা রয়েছে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি ও সিএনএন

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত