Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

সেলিব্রিটি ‘লুক অ্যালাইক’ প্রতিযোগিতা ফের কেন জনপ্রিয় হচ্ছে?

Look_Alike_Contest
[publishpress_authors_box]

একই সময়ে দেখতে একই রকম নাকি পৃথিবীতে ৭ জন মানুষ থাকেন! বাংলায় চলচ্চিত্রের প্রভাব থেকে এ ব্যাপারটিকেই আমরা মজা করে বলি, ‘মেলায় হারিয়ে যাওয়া জমজ ভাই’।

এই বিষয়ে বহুল প্রচলিত মজার গল্পটি চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে। ১৯১০ সালের পর অভিনয়ে তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ‘চ্যাপলিনাটিস’ ট্রেন্ডের শুরু হয়। সেইসময় তাকে অনুকরণ করে বিভিন্ন জায়গায় হাঁটা বা লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতা হতো।

চ্যাপলিনের জীবনী ‘চ্যাপলিন: হিজ লাইফ অ্যান্ড আর্ট’ বইতে লেখক ডেভিড রবিনসন লিখেছিলেন- চার্লি চ্যাপলিন নিজে এমন একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।

এই গল্প এখনও মানুষের মুখে মুখে ফিরলেও সত্যতা নেই। ১৯৬৬ সালে চ্যাপলিন নিজে একটি সাক্ষাৎকারে এই গুজবটি খণ্ডন করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রমের পর তার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় বা আগ্রহ ছিল না। এ বিষয়টি শুধুই একটি রম্যগল্প।

হুবুহু দেখতে পৃথিবীতে একাধিক ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকার প্রচলিত বিশ্বাসটির শুরু অবশ্য জার্মান লোকসাহিত্য থেকে। আধুনিক সময়ে শিল্প-সাহিত্য, বিশেষ করে চলচ্চিত্রে ‘লুক অ্যালাইক’ বা দেখতে এক হওয়া দুই চরিত্রের দৃশ্যায়ন অনেকটাই জনপ্রিয় ও পরিচিত। তবে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও ‘লুক অ্যালাইক’ এর আবেদন কমেনি। বরং বাস্তব জীবনে এ নিয়ে অসংখ্য ইভেন্ট হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারে এখন সেইসব ইভেন্টগুলোর ভিডিও ক্লিপিংস ভাইরালও হচ্ছে।

ধারণার উৎপত্তি এবং জনপ্রিয়তা

জার্মান শব্দ ‘ডোপেলগ্যাঙ্গার’ শব্দটি থেকেই একই রকমের দেখতে দুই ব্যক্তির ধারণাটি এসেছে। ‘ডোপেল’ মানে ‘ডাবল’ বা দুই এবং ‘গ্যাঙ্গার’ মানে চলমান ব্যক্তি।

১৮ শতকে এটি অতিপ্রাকৃত বা ভুতূড়ে সত্ত্বার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল, যেখানে ধারণা করা হতো যে যদি কেউ নিজের ‘ডোপেলগ্যাঙ্গার’-কে দেখেন, তবে তা মৃত্যুর পূর্বাভাস হতে পারে।

আধুনিক সাহিত্যে ১৮১৫ সালে প্রকাশিত ই. টি. হফম্যান ‘দ্য ডেভিলস এক্সিলির’ গল্পে ডোপেলগ্যাঙ্গারদের এক অন্ধকার ও রহস্যময় দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেন, যা সেই সময়ে খুব জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া, ফ্রেডরিক নিৎসে তার ‘দাস স্পোক জরাথ্রুস্ট্রা’-তে ‘ডোপেলগ্যাঙ্গার’ ধারণা নিয়ে কথা বলেছেন।

নিৎসে অবশ্য এটি একজন ব্যক্তির পরিবেশগত এবং আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্বের মেটাফোর হিসেবে একে ব্যাখ্যা করেছেন।

আধুনিককালে এই ধারণাটি কল্পনা, গল্প ও সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০ শতকের মাঝামাঝি থেকে ‘একই রকম দেখতে সাতজন ব্যক্তি’ ধারণাটি ব্যাপকভাবে প্রচলন হয়। গল্প এবং তথ্যচিত্রে আলোচিত হতে থাকে।

কী বলছে বিজ্ঞান

বিজ্ঞানীদের মতে, একই রকম দেখতে মানুষ পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে একেবারে অসম্ভব নয়। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, মানুষের চেহারার বৈশিষ্ট্যগুলো জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণের ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের বিশাল জনসংখ্যার কারণে চেহারার হুবুহু মিল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে তা খুবই বিরল। গবেষক ড. তেগান লুকাস এবং তার দলের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে বিশ্বব্যাপী দুইজন সম্পূর্ণ একই রকম দেখতে ব্যক্তির পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১ লাখ কোটিতে মাত্র ১!

লুক অ্যালাইক ইভেন্ট- এর মনস্তাত্ত্বিক কারণ

বিশ্বের নানা প্রান্তে সেলিব্রিটি লুক-আলাইক কন্টেস্টগুলি এখন আর শুধু সাপ্তাহিক বা শখের আয়োজন নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। কৌতুককর হলেও সেলিব্রিটিদের মতো দেখতে এই ইভেন্টগুলো একাধিক শহরে বারবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হলো, এমন প্রতিযোগিতা কেন এখন এত জনপ্রিয় হচ্ছে? এর পেছনের ‘রহস্যজনক’ কারণই বা কী? বিশেষ করে এই ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে!

অনেকেই মনে করেন, আমাদের সমাজ ডিজিটাল বিশ্বে এতটাই ডুবে গেছে যে, আমরা আবার বাস্তব জীবনে মজার ও কম ঝুঁকির ইভেন্টগুলোর দিকে ফিরে যাচ্ছি। এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন ধরন ও মাত্রার আনন্দ পাওয়া যায়।

চলতি নভেম্বরেই নিউ ইয়র্কের মারিয়া হারনান্দেজ পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্রিটিশ গায়ক ‘জেইন মালিক লুক-অ্যালাইক’ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়ে প্রতিযোগী ন্যাটালি মিলার তার অভিজ্ঞতা কথা বলেন এভাবে- “একটি ধরনের দেবতার ডাক ছিল, যা তাকে ঘর থেকে বের হতে প্ররোচিত করেছিল।”

২৯ বছর বয়সী শিব প্যাটেল ওই প্রতিযোগিতায় জেইন মালিক এর মতো প্রায়ই একই রকম দেখতে হওয়ায় প্রথম পুরস্কারটি জিতে নেন। যখন প্যাটেল পুরস্কার নিচ্ছিলেন তখন মনে হচ্ছিল যেন তিনি সত্যিই জেইন এবং সেই মুহূর্তটি সেলিব্রিটি হিসেবেই উপভোগ করছেন। আবার আরেক প্রতিযোগী মিলার যখন বিজয়ী নকল জেইনের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন- তখন মনে হচ্ছিল সত্যিকার অর্থেই তিনি কোনও সেলিব্রিটির সাথে ফ্রেমবন্দি হচ্ছেন।

মূলত মজা এবং হাস্যরসের জন্য আয়োজন করা হলেও সামাজিক বন্ধন তৈরিতে এ ইভেন্টগুলো রাখছে দারুণ ভূমিকা।

অতীতে মানুষ কিছু ভালো সময় কাটানোর জন্য এ ধরনের বিনোদনে সম্পৃক্ত হতো। কিন্তু বর্তমানে অনেক বিকল্প বাদ রেখে এতে মেতে ওঠার প্রসঙ্গ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ অ্যালজিও মনে করেন, এমন কন্টেস্টের পেছনে প্রযুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তনের কারণে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও সম্প্রদায়ের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। ইতিহাস থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, যখনই প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক পরিবর্তন ঘটে, তখন মানুষ সহজ এবং বিনোদনমূলক ইভেন্টের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ১৮৭০ এবং ১৮৮০ সালের বড় বড় স্টেডিয়ামে হাঁটা প্রতিযোগিতাগুলো ছিল তেমনই।

এ ধরনের লুক-আলাইক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী এবং দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ ধরনের আনন্দ রয়েছে। অ্যালজিও জানান, এই কন্টেস্টগুলো মানুষের মধ্যে প্যারাডক্সিক্যাল আনন্দ সৃষ্টি করে, যেহেতু তারা অপরকে জনসমক্ষে আসতে দেখে একটি ধরনের তৃপ্তি অনুভব করে। কিন্তু, মিলার মনে করেন এর পেছনে আরও খাঁটি একটি কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানে মানে একবারে  ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অর্থাৎ দেখা ও পরিচয় হওয়ার সুযোগ মেলে, যা মানুষকে তার শৈশবের আনন্দ ফিরে পেতে সাহায্য করেছে।

অ্যালজিও-এর মতে, যে সেলিব্রিটির ‘লুক অ্যালাইক’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সব অংশগ্রহণকারী যে তার ফ্যান সেটি-ই নয়।  

তিনি বলেন, “এই ধরনের ইভেন্ট মানুষের মধ্যে একত্রিত হওয়ার এবং বাস্তব জীবনে অন্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর একটি সুযোগ করে দেয়, যা আজকাল অনেক সময় পাওয়া যায় না। “বর্তমানে, যখন চারপাশে এতটা রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিভাজন, এবং উদ্বেগের পরিস্থিতি চলছে, তখন এই ধরনের হাস্যরসাত্মক ও অপ্রত্যাশিত ইভেন্টগুলো যেন মানুষের মাঝে এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়।“

১৮৭০ ও ১৮৮০ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ‘পেডেস্ট্রিয়ান ইভেন্টস’ বা ‘হাঁটার প্রতিযোগিতা’র প্রচলন ছিল। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা প্রায় ১০০ মাইল হাঁটতেন, এবং তাদের মাঝেও অনেক সেলিব্রিটি অনুকরণ করা হতো। এমনই এক বিখ্যাত প্রতিযোগীর নাম ‘এডওয়ার্ড পেসন ওয়েস্টন’, যিনি ওই সময়ে হাঁটার প্রতিযোগিতাগুলোর সেলিব্রিটি ছিলেন।

তাকে অনুকরণ করে অনেক মানুষ তার মতো সাজতো এবং অনকুরণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিত। এমনকি ছোট শহরগুলোতেও মানুষ এই প্রতিযোগিতা দেখতে ভিড় জমাতো।

১৯২০ এবং ৩০ এর দশকের ফ্ল্যাগপোল-সিটিং (পতাকার খুঁটিতে কে কতক্ষণ বসে থাকতে পারে)- এর পরবর্তী ধাপ।

১৯৫০-৬০ এর দশকে মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর লুক অ্যালাইক প্রতিযোগিতা ছিল সবচেয়ে প্রচলিত ইভেন্টগুলোর একটি।

১৯৫৮ সালে অনুষ্ঠিত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর লুক অ্যালাইক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা।

অ্যালজিওর বলছেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা (হেরে যাওয়া বা জয়ী হওয়ার মতো) অতিরিক্ত আবেগ বা নেতিবাচকতা সৃষ্টি না করে, বরং মানুষের মধ্যে হাস্যরস ও আনন্দ নিয়ে আসে।”

এমনকি মুদ্রাস্ফীতির এ যুগে এই ধরনের ইভেন্টগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেখার সুযোগের কারণেও মানুষের কাছে এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

লুক অ্যালাইক প্রতিযোগিতা এবং মজার ঘটনা

২০১৬ সালে ডাবলিনে সেলিব্রিটি লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতায় গায়ক ‘জিমি হেনড্রিক্স’ হিসেবে অংশ নেয়া এক ব্যক্তিকে দেখে দর্শকরা রীতিমত চমকে গিয়েছিল। চেহারা-পোশাক তো বটেই ৭০-এর দশকে প্রয়াত রকস্টার জিমির হালকা গিটার বাজানোর অনুকরণও ওই ব্যক্তি এতটাই নিখুঁতভাবে করছিলেন যে, দর্শক মনে করছিলেন জিমি হেনড্রিক্স এর ভূত কি না!

২০১৭ সালে কিম কারদাশিয়ানের একটি লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতা হয়েছিল, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারীরা তার মতো সাজ নেন। এতে এক অংশগ্রহণকারী তার হালকা শ্যাম্পেন রঙের গাঢ় পাউডার ব্যবহার করে কিমের এক নির্দিষ্ট ছবি অনুকরণ করে সেজে অংশ নেন। দর্শকদের বেশিরভাগই তখন ধন্দে পড়ে যান কিম কারদাশিয়ানই কি তাদের সঙ্গে মজা করছেন? প্রতিযোগিতার পর সেলিব্রিটি কিম কার্দিশান বলেছিলেন, “আমি কখনও ভাবিনি এতটা ভালোভাবে কেউ আমার অনুকরণ করবে।”

নতুন করে ট্রেন্ড শুরু

নতুন করে ‘লুক-অ্যালাইক’ ক্রেইজ শুরু হয় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ইউটিউবার অ্যান্থনি পো এর হাত ধরে। ইউটিউবে তার দুই মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ইউটিউবার মি. বিস্টের সঙ্গেই কাজ করতেন অ্যান্থনি। এখন নিজেই কনটেন্ট বানান।   

গত অক্টোবরের ২৭ তারিখে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি ‘টিমোথি শালামে’ লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণকারীরা ‘কল মি বাই ইওর নেইম’-খ্যাত হলিউড অভিনেতা টিমোথি শালামের মতো সাজেন, এবং সেরা লুক-অ্যালাইকদের জন্য পুরস্কারও ছিল। টিমোথি শালামে নিজেও এই প্রতিযোগিতায় মজা পেয়ে নিজের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। মাইকেল ব্রাউন প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা শালামের ‘ওয়ঙ্কা’ চরিত্রের হুবহু অনুকরণ করে সবার মন জয় করেন।

ওই প্রতিযোগিতার চেইন রিঅ্যাকশন হিসেবে এই নভেম্বরে একে একে বিভিন্ন সেলিব্রিটির লুক অ্যালাইক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে থাকে।

নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে টিভি সিরিজ ‘নরমাল পিপল’ খ্যাত অভিনেতা পল মেস্কালের লুক-অ্যালাইক, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অভিনেতা দেব প্যাটেল এর ‘মাংকি ম্যান’ সিনেমার চরিত্রের লুক-অ্যালাইক এবং শিকাগোতে, ‘দ্য বেয়ার’ সিরিজের জনপ্রিয় অভিনেতা জেরেমি অ্যালেন হোয়াইটের চরিত্রের লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

নভেম্বরের শেষের দিকে ব্রুকলিনে ব্রিটিশ পপ শিল্পী জেইন মালিকের লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতার কথা আগেই বলা হয়েছে। ওকল্যান্ডে, ‘এস্কেপ’ এবং ‘লাভ অন দ্য ব্রেইন’ অভিনেত্রী ও শিল্পী জেন্ডায়ার লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতায় জাইনাব ব্যান্সফিল্ড সেরা নির্বাচিত হন।

ডিসেম্বরে লস এঞ্জেলেসে টম হল্যান্ডের, ‘স্পাইডারম্যান’ চরিত্রের লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিযোগিরা অংশগ্রহণ করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাইরে অন্যান্য দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছে। টোকিওতে, জনপ্রিয় অভিনেতা কেন ওয়াতানাবের লুক-অ্যালাইক প্রতিযোগিতায় স্থানীয় শিল্পী তাকাশি ইয়ামামোতো সেরা হন।

মজার বিষয় হলো, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এ ট্রেন্ড শুরু হয়ে প্রথমে ইভেন্টে যাচ্ছে। আবার ইভেন্টস এর ক্লিপগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। এখানে বাস্তব ও ডিজিটাল জীবনের এক অপূর্ব মেলবন্ধন রচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত