১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যারা জন্ম নিয়েছেন তাদের মিলেনিয়াল প্রজন্ম বলা হয়। গবেষক নিল হাউ ও উইলিয়াম স্ট্রাউস এই প্রজন্মের নাম ‘মিলেনিয়ালস’ রেখেছিলেন ১৯৮৭ সালে।
অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল যুগ বদলের সাক্ষী এই মিলেনিয়ালদের পশ্চিমা দুনিয়া ‘নার্সিসাস প্রজন্ম’ নামও দিয়েছিল।
গবেষণার বরাতে গার্ডিয়ান বলছে, এই মিলেনিয়ালরা মিডলাইফ ক্রাইসিস সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
থ্রাইভিং সেন্টার অব সাইকোলজি যুক্তরাষ্ট্রে এক জরিপ চালিয়েছে এক হাজার মিলেনিয়াল নিয়ে।
এদের মধ্যে ৮১ শতাংশ জানিয়েছে, মিডলাইফ ক্রাইসিস সামলানোর মতো অবস্থা তাদের নেই।
মিডলাইফ ক্রাইসিস ভুক্তভোগীদের ওজন বেড়ে যেতে পারে, আবার ওজন কমেও যেতে পারে। এসময় চেহারায় অনেক পরিবর্তন চলে আসে। ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে হানা দিতে পারে মিডলাইফ ক্রাইসিস।
এমন ভুক্তভোগীদের থেরাপি দিয়ে থাকে থ্রাইভিং সেন্টার অব সাইকোলজি।
প্রতিষ্ঠানটি জরিপে অংশ নেয়া মিলেনিয়ালদের থেকে জানার চেষ্টা করেছে, কেন তারা এই সঙ্কটের মুখোমুখি হতে বিব্রত হচ্ছে?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থ্যাৎ ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া প্রজন্মরা হলো বেবি বুমারস। ২০২৪ সালে এসে জরিপে জানা গেল, সেই বুমার প্রজন্ম যা আয় করতো আজকের দিনে এসেও তা থেকে ২০ শতাংশ কম আয় করছে মিলেনিয়ালরা।
এর সঙ্গে আছে শিক্ষা ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি, জীবন যাপনের নিত্য খরচ, বাড়ি ভাড়া এবং আরও নানা খরচের বোঝা।
অর্থ্যাৎ এতো এতো সঙ্কটের মাঝে হাবুডুবু খেতে গিয়ে আর মিডলাইফ ক্রাইসিস জায়গা পাচ্ছে না তাদের জীবনে।
পারসোনাল লাইফ কোচ ম্যাসন ফারমানি বলছেন, “মিডলাইফ ক্রাইসিস শব্দবন্ধটিকে মিলেনিয়াল প্রজন্মের অভিজ্ঞতা ও পরিস্থিতির নিরিখে বিশ্লেষণ করে দেখা এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।”
জরিপে ৫৮ শতাংশ মিলেনিয়াল বলছে, মিডলাইফ ক্রাইসিসে মনোযোগ দেয়ার মতো জন্য কোনো সময়-সুযোগই নেই তাদের।
বাকি অর্ধেক মিলেনিয়াল অবশ্য বলছে, একবার মিডলাইফ ক্রাইসিসের মুখোমুখি হলে মন্দ হয় না।
প্রতিবেদনের উপসংহারে গার্ডিয়ান বলতে চাইছে, জীবনে বাঁক বদল ও দুর্ভাবনা আসবে না তা কখনই নয়। তবে আমাদের পূর্ব প্রজন্ম যেভাবে এসবের মধ্যে দিয়ে গেছে তা থেকে মিলেনিয়ালদের আলাদাই দেখা যাচ্ছে।