Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

মানুষ যে কারণে অস্থির হতে শুরু করেছে

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর একটা মাস পেরিয়েছে। কিন্তু এই এক মাসে দেশে কি কোনও কার্যকর ও দৃষ্টিগ্রাহ্য পরিবর্তন চোখে পড়ছে? খুব সম্ভবত না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত এক মাসে বিভিন্ন সমস্যা সংকটে পরিণত হয়েছে। সরকার এখনও জনমনে আস্থা সৃষ্টি করতে পারেনি। কোনওখানেই সরকারের কর্তৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

দায়িত্বগ্রহণের একমাস পরেও তাই দেখা যায় প্রশাসনের সদর দপ্তর সচিবালয়ে বঞ্চিত বলে দাবিদার এক শ্রেণির বিসিএস কর্মকর্তা হৈ-হট্টগোল করেন। সিনিয়রকে বাথরুমে আটকে রাখেন। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকর্তাদের দাবি ‘‘বিগত সরকারের আমলে যারা ভালো পদে ছিলেন, ডিসি হিসেবে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।’’ নিয়োগ বাতিল করে এই ‘বঞ্চিত’দের নিয়োগ করতে হবে। তাদের দাবির মুখে সরকার কয়েকজন ডিসির নিয়োগ বাতিলও করেছে। কয়েকজনকে পদায়নের আগেই বদলি করেছে। ‘ডিসি হওয়ার জন্য’ চাকরিবিধি ভঙ্গ করে যারা হাতাহাতি-মারামারি করল, সরকার কিনা তাদের দাবির কাছেই নতি স্বীকার করে নিল! এমন দৃশ্য বাংলাদেশে আগে কখনও কেউ দেখেনি!  

দীর্ঘ এক মাসেও সরকার প্রশাসনযন্ত্রকে সক্রিয় করতে পারেনি। কোনও রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যাকে খুশি যেখানে খুশি বসানো হচ্ছে। প্রশাসনকে বিগত সরকারের ছায়া থেকে বের করে আনতে গিয়ে বা ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত’ করতে গিয়ে নানা মহলের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তাদের পছন্দের লোক বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে দিচ্ছে। সেখানে আমরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর লোকজন যেমন দেখছি তেমনি বিএনপির লোকজনও দেখছি। এতে অবশ্য প্রবল আপত্তির কিছু নেই, তাদের মধ্যে যোগ্য ও ভালো লোক থাকতে পারে, খারাপ লোকও থাকতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কিসের ভিত্তিতে, কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই লোকগুলো বসছে, সে ব্যাপারে স্বচ্ছতা নেই। পুলিশে, প্রশাসনে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বদলি-পদায়ন কোনও ক্ষেত্রেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

কিন্তু প্রশ্ন হলো কিসের ভিত্তিতে, কোন মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই লোকগুলো বসছে, সে ব্যাপারে স্বচ্ছতা নেই। পুলিশে, প্রশাসনে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বদলি-পদায়ন কোনও ক্ষেত্রেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।

এদিকে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত, সেই পুলিশ বাহিনী এখনও বিপর্যস্ত। তাদের সক্রিয়ও করা যায়নি। জননিরাপত্তা বিধান করা যাদের দায়িত্ব, সেই পুলিশকে এখনও সেনা পাহারায় রাখা হয়েছে। পুলিশ আত্মবিশ্বাসহীন ভীরু-দুর্বল এক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তাদের এই দুর্বলতার  ‍সুযোগে কিছু স্বার্থান্ধ মানুষ এখনও পুলিশের উপর আক্রমণ পরিচালনা করছে। যেদিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজের হাতে আইন তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন, সেদিনও চাঁদপুরে থানায় ঢুকে পুলিশ পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন তছনছ। পুলিশ ছিন্নভিন্ন। এ অবস্থায় নাগরিকদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।

রাষ্ট্রের কাছে মানুষের সবেচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। অন্তর্বর্তী সরকার যা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে চলছে মব লিঞ্চিং বা উন্মত্ত জনতার শাসন (অনেকে এটাকে ‘মব জাস্টিস’ বলছেন। এটা ভুল শব্দ চয়ন। ‘মব’ কখনো ‘জাস্টিস’ করে না। একটা গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনও, মাজার ভাঙছে। ধর্মপ্রচারকদের স্থাপনা গুড়িয়ে দিচ্ছে। কখনও প্রতিপক্ষের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। কখনও শিল্পকারখানায় আগুন দিচ্ছে। লুটপাট করছে। কখনও পিটিয়ে মেরে ফেলছে। গত এক মাসে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কতটি ঘটেছে, তার কোনও পরিসংখ্যান নেই। কারণ মূলধারার গণমাধ্যমে এসব খবর খুব একটা আসে না। এক ধরনের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণের কারণেই কি না জানি না, গণমাধ্যমে এখন বেশিরভাগ খবরই ‘ব্ল্যাক আউট।’ গুজব-অপপ্রচার ‘ফেক নিউজের’ ফাঁক-ফোকর দিয়ে সত্য ঘটনা খুঁজে বের করা কঠিন হলেও খবরের জন্য সামাজিক মাধ্যমের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

বিগত সরকারের সমর্থক বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ঢালাওভাবে মামলা দেওয়া হচ্ছে। রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশি হেফাজতে কোথাও কোথাও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা মারা যাচ্ছে। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-চাঁদাবাজি বল্গাহীনভাবে চলছে। চলছে পদ দখল ও পদত্যাগ করানোর মচ্ছব। বিগত সরকারের আমলে নির্যাতিত বিএনপির নেতাকর্মীদের তো বটেই জেল থেকে দাগি আসামীদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাড়া পাচ্ছেন এবং আজগুবি কথা বলছেন জামায়াতের লোকজনও। কোনও রকম যাচাই-বাছাই না করেই মামলা তুলে নেওয়া হচ্ছে। সুইডেন আসলামের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যার নামে ৯টি হত্যা মামলাসহ ২২টি মামলা আছে। এর আগে আব্বাস বা কিলার আব্বাস নামে আরেকজন সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার নামেও ৬টা খুনের মামলা আছে। এছাড়াও সাঞ্জিদুল, টিটন, ফ্রিডম রাশু, পিচ্চি হেলাল, শিবির নাসির ইত্যাদি সুপারস্টার তারকা সন্ত্রাসীদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দিন রহমানীকেও জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের অনেকেই ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের কোন নীতিমালার আলোকে, কোন উদ্দেশ্যে বা কেন ছেড়ে দেওয়া হলো, এসব প্রশ্নের কোনও জবাব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

রাষ্ট্রের কাছে মানুষের সবেচেয়ে বড় চাওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা। অন্তর্বর্তী সরকার যা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে চলছে মব লিঞ্চিং বা উন্মত্ত জনতার শাসন (অনেকে এটাকে ‘মব জাস্টিস’ বলছেন। এটা ভুল শব্দ চয়ন। ‘মব’ কখনো ‘জাস্টিস’ করে না।

সাধারণ মানুষ যেসব সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, সেগুলো দূর করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেই। নিরাপত্তাহীনতার কথা আগেই বলা হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম কমানোর ব্যাপারে ‘প্রতিশ্রুতি’ ছাড়া কোনও কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

আবেগে ভাসা তরুণদের দিয়ে নানা রকম বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিভিন্ন কৃত্রিম ইস্যু তৈরি করে ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। কোন গানটা জাতীয় সঙ্গীত হলে রক্ত বেশি গরম হবে এই নিয়ে আলোচনায় তুমুল ব্যস্ত রাখা হচ্ছে। কখনও মাজার, কখনও ভিন্নধর্মীদের ধর্মালয়, প্রতিমা ভাঙ্গা হচ্ছে। অথচ সবচেয়ে জরুরি যেটা, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে জিনিসপত্রের দাম কমানো বা সহনীয় রাখা, সেটা করা হচ্ছে না।

দেশে এক শ্রেণির ‘পীরের’ আবির্ভাব হয়েছে। তারা বিভিন্ন আইডিয়া বা তত্ত্ব দিচ্ছেন। এসব তত্ত্বের মোহে আচ্ছন্ন করে শিক্ষার্থীদের মাথা খাওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এখন সব বোঝে, আসল বুঝটা ছাড়া। লেখাপড়া অনেকটাই শিকেয় উঠেছে। যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করে সরকার হঠালেন, তারা এখন ব্যস্ত রাজনৈতিক দল গঠনে। তারা সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশেষ নিরাপত্তা প্রটোকল বাগিয়ে নিয়ে ‘ফ্যাসিবাদ যেন ফিরে আসতে না পারে’ এ ব্যাপারে নানা নিদান দিচ্ছেন। তারা কতটা বুঝে একাজ করছেন, আর কতটা ‘আইডিয়াবাজ’দের খপ্পরে পড়ে করছেন, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আইডিয়া বিক্রেতারা শিক্ষার্থীদের মাথা খাচ্ছেন। এরপর দেশের মাথা খাবেন কিনা, সেই সংশয়ও দেখা দিয়েছে!

বর্তমানে দেশপরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের কেউ কেউ অপরণিমদর্শী সব মন্তব্য করছেন। জীবনভর যিনি কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি যেমন প্রতিবেশী ভারতের বিরুদ্ধে গরম গরম কথা করছেন, তেমনি নেতৃস্থানীয়রাও বলছেন। তাদের দেখাদেখি ছাত্রউপদেষ্টারাও বলছেন। এসবের জেরে ফেইসবুকে ‘সেভেন সিস্টার খেয়ে দিব’, ‘সীমান্তে দেখিয়ে দিব’-এর মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা দুই দেশের সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করছে।

ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে আমাদের মতো ক্ষুদ্র দেশ টিকে থাকতে পারবে না। আমরা ভারতের সঙ্গে অবশ্যই চোখে চোখ রেখে কথা বলব। কিন্তু অহেতুক তর্জনগর্জন করে নয়। এজন্য আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর্থিক সক্ষমতা। সেটা বাড়লে ভারত এমনিতেই আমাদের আমাদের সমীহ করবে। তা না করে আমরা ভারতবিরোধিতার রাজনৈতিক কার্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করি তাহলে আর লাভ হলো কী, ‘প্রভুবদল’ ছাড়া? ভারত, চীনের মতো ক্ষমতাবান প্রতিবেশীদের বাদ দিয়ে বন্ধুর সন্ধানে সাত সমুদ্র তের নদীর পারে গিয়ে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না। অন্তত বিজ্ঞরা তাই বলেন।  

দিন যত যাচ্ছে সংকট চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে।  সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। লোডশেডিং দিনে ৬/৭ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতের আদানি গ্রুপ বকেয়া পরিশোধের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছে। রিজার্ভ সন্তোষজনক নয়। বিগত সরকারের ঋণের কথা ব্যাপক প্রচার করে সরকার এখন নিজেই ঋণের জন্য আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। রাজস্ব আয় স্থবির, বকেয়া পরিশোধ কিভাবে হবে? আদানির একটি প্লান্ট এমনিতেই বন্ধ। বকেয়া ইস্যুতে আরেকটা বন্ধ হলে বিদ্যুৎ আর মিলবেই না।

আমরা ভারতবিরোধিতার রাজনৈতিক কার্ড ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করি তাহলে আর লাভ হলো কী, ‘প্রভুবদল’ ছাড়া? ভারত, চীনের মতো ক্ষমতাবান প্রতিবেশীদের বাদ দিয়ে বন্ধুর সন্ধানে সাত সমুদ্র তের নদীর পারে গিয়ে খুব একটা লাভ হবে বলে মনে হয় না। অন্তত বিজ্ঞরা তাই বলেন।  

জ্বালানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত আমদানি না করলে কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমদানি করতে হলে প্রয়োজন রিজার্ভ। কিন্তু রিজার্ভ বাড়ানোর সঙ্গতি নেই। দেশের টাকা ইনকামের সব পথ বন্ধ। টাকা ইনকাম নাহলে ঋণ পরিশোধ করবে কিভাবে?

এদিকে শিল্প ধ্বংসের উৎসব চলছে। গাজী টায়ার ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে টায়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। দাম বেশি হলেও আপাতত মিলছে, কদিন পর তো আমদানি করতে হবে। তখন দাম হবে দ্বিগুণের চাইতেও বেশি। বেক্সিমকোর কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বিগ বসসহ বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। লুট করা হয়েছে কাজী ফুডস, প্রাণ আরএফএলসহ আরও অনেক গ্রুপ অব কোম্পানি। অস্থিরতার কারণে দুইশরও বেশি গার্মেন্টস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেকার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক। সরকারি সেবাসমূহে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। নাম পরিবর্তন আর কমিশন গঠন ছাড়া উপদেষ্টারা তেমন কিছু করতে পারছেন না।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘দেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’ এই ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’র স্বাদ যেন তেতো না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীনদের। গতকাল সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ড. ইউনূসের বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি দেখা গেছে। মানুষের এই প্রতিক্রিয়া কিন্তু শুভ নয়। মনে রাখা দরকার তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আছেন। সংস্কার করতে হলে মানুষের আস্থা অর্জন করেই সেটা করতে হবে। তাই মানুষের প্রতিক্রিয়া ও অস্থিরতাকে আমলে নেওয়া জরুরি।

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: chiros234@gmail.com

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত