রিয়াল মাদ্রিদে তিনি নায়ক। তার পায়ের ছোঁয়ায় লস ব্লাকোসের কত সব জয়ের স্মৃতি। অথচ এই ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ব্রাজিলের জার্সিতে নামলে অচেনা হয়ে যাচ্ছেন। হারিয়ে যাচ্ছে তার গতি ও ড্রিবল। গড়পড়তা মানের খেলোয়াড় হয়ে নিজ দেশের সমর্থকদের কাছ থেকে শুনছেন দুয়ো। তার দুই সতীর্থ রোদ্রিগো ও এনদ্রিকও নিষ্প্রভ ছিলেন প্যারাগুয়ে ম্যাচে।
অথচ রিয়াল মাদ্রিদে এই ত্রয়ীর কী দাপট। কিন্তু ব্রাজিলের জার্সিতে কেন পারছেন না তারা? প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের পর এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভিনিসিয়ুস।
সেপ্টেম্বরের বিশ্বকাপ বাছাই ভালো যায়নি ব্রাজিলের। ঘরের মাঠে বাজে খেললেও ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয় এসেছিল। কিন্তু প্যারাগুয়ের মাঠ থেকে হেরেই ফিরেছে সেলেসাওরা। দুই ম্যাচের একটিতেও সামর্থ্যের ধারেকাছে ছিলেন না ভিনিসিয়ুস। তার রিয়াল সতীর্থ রোদ্রিগো ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয়সূচক গোলটি করলেও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি। আরেক রিয়াল ফরোয়ার্ড এনদ্রিকও হতাশ করেছেন।
রিয়ালের তিন খেলোয়াড়কে নিয়ে আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ দোরিভাল জুনিয়র। যদিও লাভ হয়নি। রিয়াল ত্রয়ী ব্রাজিল জার্সিতে ‘ফেল’ করায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। রিয়াল মাদ্রিদে যাদের পায়ে এত ধার, তারা ব্রাজিলে কেন নিষ্প্রভ?
খেলার ধরনকে এখানে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন ভিনিসিয়ুস। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেছেন, “এটা সম্পূর্ণ আলাদা (রিয়াল মাদ্রিদের খেলার তুলনায়)। ইউরোপের খেলা অন্যরকম। বল (মাঠের) একপাশ থেকে অন্য প্রান্তে দ্রুত যায়। আমরা সবাই জানি কীভাবে এটার (ইউরোপিয়ান ফুটবল) সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যে কারণে প্রত্যেকে ভালো খেলে এবং আমরা ম্যাচ জিতি।”
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী? ভিনি এখান উন্নতির বিকল্প দেখেন না, “এটি একটি কঠিন সময়, আমরা কেবল উন্নতি করতে চাই… আমি আমার সামর্থ্য সম্পর্কে জানি। আমি জানি জাতীয় দলের জন্য কী করতে পারি।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “অবশ্যই, এটি একটি খুব কঠিন প্রক্রিয়া ছিল, যখন কিনা আপনার আত্মবিশ্বাস থাকে না, গোল পাচ্ছেন না, অ্যাসিস্টও করতে পারছেন না। সর্বোপরি ভালো পারফর্ম করতে পারছেন না। আমি জানি আমার উন্নতি সম্ভব। আমি আমার দায়িত্ব জানি, যত দ্রুত সম্ভব উন্নতি করতে চাই।”