ইদানীং ফেইসবুক ফিড স্ক্রল করতে গেলে ‘Ten unknown facts about #BMW’ শিরোনামের পোস্টগুলো যে কারোরই চোখে পড়বে। হঠাৎ করেই এসব পোস্টে ফিড ভরে গেছে। বিএমডব্লিউর সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নয়, এমন পোস্টেও দেখা যাচ্ছে এই হ্যাশট্যাগ।
আপনি হয়তো ভাবছেন, আসলে কেন? যদিও দেখে মনে হতে পারে, এটা কেবল একটা হুটহাট ট্রেন্ড, তবে এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।
প্রথমেই বলা যায়, এই পোস্টগুলো ‘লিস্টিকল’ ফরম্যাটে লেখা, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ জনপ্রিয়। কারণ? লিস্টগুলো ছোট, ঝটপট পড়া যায়, আর এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের দীর্ঘ লেখা পড়ার ধৈর্য তেমন নেই।
BMW-এর মতো বড় ব্র্যান্ড নিয়ে কিছু অজানা তথ্যের তালিকা পড়তে সবারই ভালো লাগে, আর এসব ছোট পোস্টের মধ্যেই থাকে বেশ খানিকটা মজা।
এবার আসা যাক ফেইসবুকের অ্যালগরিদমের কথায়। ফেইসবুক সবসময় এমন পোস্টগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যেগুলোতে প্রচুর লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার হয়।
‘অজানা তথ্য’ টাইপের পোস্ট দেখে মানুষ, বিশেষ করে যারা BMW বা গাড়ির ভক্ত, সহজেই লাইক বা শেয়ার করে। আর যত বেশি মানুষ রিঅ্যাক্ট করে, ফেইসবুক আরও বেশি মানুষকে সেই পোস্ট দেখাতে থাকে। এভাবেই পোস্টটা ছড়িয়ে পড়ে।
#BMW হ্যাশট্যাগও এই পোস্টগুলোর জনপ্রিয়তার আরেকটা কারণ। হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে BMW প্রেমীরা সহজেই এই ধরনের পোস্ট খুঁজে পায়। BMW বিশ্বব্যাপী এতটাই জনপ্রিয় যে, এই ধরনের পোস্ট সহজেই ভাইরাল হয়ে যায়। আর যখন একবার একটা BMW বিষয়ক পোস্ট ভাইরাল হয়, অন্য পেইজ বা ব্যবহারকারীরা সেই পোস্টের সফলতা দেখে নিজেদের পোস্ট বানাতে শুরু করে।
এখন আপনি এই Ten unknown facts about #BMW ট্যাগ দিয়ে যাই পোস্ট করেন না কেন, হোক না আপনার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাবার ছবি বা অন্য যে কোনও কিছু, সেই পোস্টের রিচ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে এই ট্যাগ।
অ্যালগরিদমের এই কৌশল যে শুধু সাধারণ ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা করছেন তা নয়। বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠানও এই তরিকা ব্যবহার করছে। বিশেষ করে বিপণন বা মার্কেটিংয়ের কাজে। এই ট্রেন্ডিং ট্যাগ ব্যবহার করে প্রচার বাড়ানো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অন্যতম টুল।
এক কথায় আপনার ফিডে BMW এর এসব পোস্টে হরদম আসার পেছনে মূল কারণ হলো ফেইসবুকের অ্যালগরিদম আর BMW-এর ভক্তদের বিশাল সংখ্যা। সব মিলিয়ে, কন্টেন্ট অথবা পোস্টের রিচ বাড়ানোর জন্য বা ভাইরাল করার জন্য এটা একটা আদর্শ রেসিপি!