Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে স্বৈরশাসকদের পৌষ মাসও কি ফিরল

Victor
[publishpress_authors_box]

হাঙ্গেরির সমকামী বিরোধী প্রচার আইনের কারণে কিছু বইয়ের দোকানকে জরিমানা করা হয়েছিল। কারণ তারা এলজিবিটিকিউ+ বিষয়ক বই প্লাস্টিকের মোড়ক ছাড়া বিক্রি করেছিল। এছাড়া এক জাদুঘরের পরিচালককে বরখাস্ত করা হয় সমলিঙ্গের দম্পতির ছবি থাকা একটি প্রদর্শনীতে শিশুদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায়।

তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের কঠোর সরকার এতদিন সেখানে প্রধান এলজিবিটিকিউ+ আয়োজন, বার্ষিক প্রাইড প্যারেড বন্ধ করেনি। কিন্তু এবার তারা সেই সিদ্ধান্তও নিল। সম্প্রতি পার্লামেন্টে এই আয়োজন নিষিদ্ধ করার পক্ষে বিপুল ভোট পড়ে। এছাড়া আইন ভঙ্গকারীদের শনাক্ত করতে চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহারের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

এলজিবিটিকিউ+ নিয়ে এর আগের নীতির পরিবর্তন কেন হলো? প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়াই এর কারণ।

অরবানের প্রধান সহকারী গেরগেই গুলিয়াস সাংবাদিকদের জানান, ওয়াশিংটনে প্রশাসনের পরিবর্তনের ফলে হাঙ্গেরি সরকারের ওপর থেকে ‘আমেরিকার চাপ’ সরে গেছে। এতে তাদের জন্য শ্বাস নেওয়া সহজ হয়েছে।

অরবান নিজেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগের রাষ্ট্রদূত ডেভিড প্রেসম্যান হাঙ্গেরির সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের বিরোধিতা করতেন এবং বুদাপেস্ট প্রাইডে অংশ নিয়ে এই আয়োজনের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছিলেন। এই আয়োজনে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ অংশ নেয়।

গত মাসেই অরবান বলেন, “প্রাইড আসলে কখনোই থাকা উচিৎ ছিল না। কিন্তু এটি টিকে ছিল, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এই আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো এটি সমর্থন করেছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এটি আর আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাবে না।”

ট্রাম্পের কারণে অরবানই একা শুধু শক্তিশালী  হয়ে ওঠেননি। ট্রাম্প নিজ দেশে গণতান্ত্রিক নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তার বক্তব্য, নীতি ও কার্যক্রম বিশ্বের স্বৈরশাসকদের জন্য সহায়ক হয়েছে। এর ফলে বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক স্বৈরশাসকই এর জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন।

পূর্ব ইউরোপ, বলকান ও তুরস্কে গণতন্ত্রের দুর্বলতা ট্রাম্পের আগেই শুরু হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, ট্রাম্প তার কিছু রাজনৈতিক বার্তা অরবানের কাছ থেকে নিয়েছেন। তবে হাঙ্গেরি ও সার্বিয়াসহ কয়েকটি দেশের সরকার সরাসরি বলছে, ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন তাদের কাজ সহজ করেছে। সমালোচকদের মতে, এর ফলে মৌলিক অধিকারের নতুন লঙ্ঘন ঘটছে।

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীসহ অনেককে গ্রেপ্তার করেছেন। মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, এতে ট্রাম্পের প্রভাব কাজ করেছে।

কার্নেগি ইউরোপের পরিচালক রোজা বালফোর বলেন, “নতুন ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে স্বৈরশাসকদের এবং সম্ভাব্য স্বৈরশাসকদের আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলছে। তাদের মূল লক্ষ্য কট্টর ডানপন্থী নীতি। তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত ও সমন্বিতভাবে কাজ করছে।”

বালফোরের মতে, ইউএসএইডের বাজেট কাটার ফলে গণতন্ত্র সংকটে থাকা দেশগুলোতে আইনের শাসন প্রচারে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে সরকারের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমও নতুন পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা বাতিল, নিয়মবহির্ভূতভাবে অভিবাসীদের গণ-নির্বাসন এবং বিচারকদের ওপর আক্রমণ—সবই গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

এছাড়া জাতিসংঘে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ঘটনাও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র যে আর উদার গণতন্ত্রের বিশ্বরক্ষক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না, তা এসব ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অরবানের বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন, প্রাইড নিষিদ্ধ করাই শুধু শুরু। গত সপ্তাহে তিনি ঘোষণা দেন, বিরোধী রাজনীতিবিদ, বিচারক, সাংবাদিক, নাগরিক সংগঠন ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘বসন্তের পরিষ্কার অভিযান’ চালানো হবে। তিনি এদের সমাজের ‘দুর্গন্ধযুক্ত পোকা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিরোধী দল মোমেন্টাম মুভমেন্টের সভাপতি মার্টন টমপোস বলেন, “আন্তর্জাতিক চাপের দিক থেকে এখন অরবান মুক্ত। মনে হচ্ছে, তিনি বলতে চাইছেন, ‘ট্রাম্প জিতেছে, এখন আমি যা খুশি করতে পারি’।”

সার্বিয়াতেও স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিক দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভের মুখে রয়েছেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের ভিত্তিহীন অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা দাবি করছে, ইউএসএইড দুর্নীতি, অপচয় ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এই দাবির ভিত্তিতে গত মাসে সরকার চারটি নাগরিক সংগঠনে অভিযান চালায়। এর মধ্যে একটি সংগঠন নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ করে এবং আরেকটি সরকারকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করতে কাজ করে।

ফ্লোরিডাভিত্তিক পয়েন্টার ইনস্টিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক সার্বিয়ার অভিযানের কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা এটিকে ‘সরকারি দমন-পীড়নের নজিরবিহীন বৃদ্ধি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, স্বাধীন কণ্ঠস্বর দমাতে ও স্বাধীন গণমাধ্যম বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের ভিত্তিহীন অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এই মাসে এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিকের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সার্বিয়া “মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন আন্দোলনকে গ্রহণ করেছে।” পাশাপাশি ভুচিকের প্রমাণহীন দাবি পুনরাবৃত্তি করে বলেন, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বামপন্থী গোষ্ঠীর’ সঙ্গে যুক্ত।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বহু বছর ধরে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, বিচারক ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। তবে এই মাসে প্রায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুও রয়েছেন। তাকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করা হয়েছে। তবে বিরোধীরা এসব অভিযোগকে অমূলক বলে দাবি করছে। এই গ্রেপ্তারকে অনেকে সরকারের দমন-পীড়নের নতুন ধাপ হিসেবে দেখছেন।

সমালোচকদের মতে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান সংখ্যালঘুদের অধিকারের ওপর আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তুরস্কের এলজিবিটিকিউ+ সংগঠন কাওস জিএল-এর মানবাধিকার কর্মসূচির সমন্বয়কারী কেরেম দিকমেন জানান, তাদের সংগঠন একটি খসড়া আইন প্রস্তাবের কপি পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যে কেউ জনসম্মুখে তার জৈবিক লিঙ্গ অনুযায়ী আচরণ না করলে তাকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এছাড়া সমলিঙ্গের বিয়ে পরিচালনাকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায় এর আগেও সরকারের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ইস্তাম্বুলে প্রাইড মার্চ নিষিদ্ধ রয়েছে। এরদোয়ান নিজেকে প্রকাশ্যে ‘এলজিবিটিবিরোধী’ বলে ঘোষণা করেছেন।

দিকমেন বলেন, “তুরস্কে এই আইন ট্রাম্পের কারণে পাস হচ্ছে না, তবে তার প্রভাব রয়েছে। মানসিকভাবে এটি সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে।”

বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের তীব্র সংঘাত হয়েছিল। অরবান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তিনি হাঙ্গেরিতে নিজস্ব ‘অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ গঠনের চেষ্টা করছেন।

গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন অরবান বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দুর্বল করেছেন, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন এবং অভিবাসী ও এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন।

২০২১ সালে হাঙ্গেরির সমকামী বিরোধী প্রচার আইন দেশটির এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে। পরে ২০২৩ সালে সংসদে একটি প্রস্তাবনা আনা হয়, সেখানে নাগরিকদের গোপনে সমলিঙ্গের দম্পতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

তবে এই বিলটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেভিড প্রেসম্যান দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপের ফলে এটি আটকে যায়। বাইডেন প্রশাসনের শেষ সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র অরবানের এক শীর্ষ সহযোগীর বিরুদ্ধে দপ্তরের দুর্নীতির অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভিড প্রেসম্যান গত জানুয়ারিতে তার দায়িত্ব ছাড়েন। তিনি বলেন, “একটি উদীয়মান স্বৈরশাসনের সঙ্গে কাজ করার সময় কূটনীতির একটি উদ্দেশ্য হলো সুরক্ষার গার্ডরেল তৈরি করা। এখন প্রশ্ন হলো, এসব গার্ডরেল আদৌ টিকে আছে কি না। কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত এই পরিবর্তনের প্রতিফলন বলে মনে হচ্ছে।”

সমালোচকদের মতে, প্রাইড নিষিদ্ধ করার প্রভাব শুধু একটি আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নতুন নিয়ম অনুসারে, যেকোনো প্রতিবাদ বা সমাবেশ, যা কর্তৃপক্ষ শিশুদের জন্য ক্ষতিকর মনে করবে, তার জন্য প্রায় ৫৫০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

এদিকে দুর্বল অর্থনীতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও জনপ্রিয়তা হ্রাস অরবানকে চাপে ফেলেছে। তার সাবেক মিত্র পেতের মজগরের জনপ্রিয়তা বাড়ায় তিনি আরও বিপদে পড়েছেন। বুদাপেস্ট প্রাইডের আয়োজকরা মনে করেন, এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের ওপর নতুন করে দমন-পীড়ন আসলে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর একটি কৌশল।

বুদাপেস্ট প্রাইডে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে না, তবে তাদের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন অরবান। বুদাপেস্ট প্রাইডের মুখপাত্র মাটে হেজেডুস বলেন, ২৮ জুনের এই অনুষ্ঠান পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এটি ১৯৬৯ সালের স্টোনওয়াল দাঙ্গার বার্ষিকীর সঙ্গে মিলবে।

হেজেডুস বলেন, “এখন থেকে যে কেউ চুপ থাকতে বাধ্য হবে। আমরা এটা সহ্য করব না। আমরা অনুষ্ঠানটি চালিয়ে যাব।”

অরবান তার শত্রুদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে বিচারক, সাংবাদিক, এনজিও এবং অন্যান্যরা আছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল হাঙ্গেরির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড ভিগ বলেন, অরবান অতীতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ইউএসএইডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ তাকে “একটি বড় পরিবর্তনের সিগন্যাল” দিয়েছে।

ভিগ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এই সংগঠনগুলোকে ইস্টারের মধ্যে ধ্বংস করতে চান। এখন থেকেই এসবের বিরুদ্ধে চাপ ও ভয় সৃষ্টি হচ্ছে। যদি প্রধানমন্ত্রী সিভিল সোসাইটি, সাংবাদিক এবং বিচারকদের নিয়ে বলেন যে, তাদের মেরে ফেলা উচিৎ, তবে এটি একটি পরিষ্কার ভয়ঙ্কর বার্তা।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত