Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫

রাজপথে জানবাজি রেখে লড়া ছাত্ররা কেন হত্যাকারী হবে

চিররঞ্জন সরকার। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

গণপিটুনিকে ইংরেজিতে বলে ‘মব লিঞ্চিং’। মব (mob) শব্দের অর্থ বলা যায় উত্তাল জনতা বা হুজুগে জনতা। লিঞ্চিং (lynching) অর্থ হলো বিচার বহির্ভূত হত্যা। মব লিঞ্চিং দ্বারা বোঝায় উত্তাল বা হুজুগে জনতার দ্বারা কারও বিচার বহির্ভূত হত্যা।

‘লিঞ্চ’ শব্দটি এসেছে মার্কিন মুলুক থেকে। সমাজতাত্ত্বিক জেমস কাটলার বলেছিলেন, ‘লিঞ্চিং’ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অপরাধ। মার্কিন রিভোলিউশনের সময় ‘লিঞ্চ ল’ (বিচার ছাড়াই শাস্তি) থেকেই ‘লিঞ্চিং’-এর উৎপত্তি। কাউকে লিঞ্চ করে মারাটা একটা উৎসবের চেহারা নিত সে সময়। পিটিয়ে, খুঁচিয়ে, পুড়িয়ে, শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে, শহর জুড়ে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে, গাছে ঝুলিয়ে চলত নানা রকম অত্যাচার। ঘটনার সাক্ষী থাকত কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার শ্বেতাঙ্গ। কখনও সখনও লিঞ্চিং-এর আগাম নোটিশ ছাপা হতো (সূত্র: জনতা ঈশ্বরকেও গণপ্রহার দিতে ছাড়ে না, ২৯ জুলাই, ২০১৭; আনন্দবাজার পত্রিকা)।

‘লিঞ্চ’ শব্দটি এসেছে মার্কিন মুলুক থেকে। সমাজতাত্ত্বিক জেমস কাটলার বলেছিলেন, ‘লিঞ্চিং’ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অপরাধ। মার্কিন রিভোলিউশনের সময় ‘লিঞ্চ ল’ (বিচার ছাড়াই শাস্তি) থেকেই ‘লিঞ্চিং’-এর উৎপত্তি। কাউকে লিঞ্চ করে মারাটা একটা উৎসবের চেহারা নিত সে সময়।

বাংলাদেশে গত দেড় মাস ধরে লাগাতার মব লিঞ্চিং চলছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কখনও বিগত সরকারের কর্মী-সমর্থক সন্দেহে কখনও বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আবার কখনও চুরির সন্দেহে এসব গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যে সহিংসতা শুরু হয়েছিল তা এখনও চলছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলেছ, চলতি বছর ১৫ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে। কাউকে কেবল সন্দেহের বশে অপরাধী বলে তাৎক্ষণিক জনমত তৈরি করা এবং পরে গণপিটুনি দিয়ে হতাহত করা বাংলাদেশে নতুন কোনও ঘটনা নয়।

সবশেষ বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদকে গণপিটুনির ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর আগে ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গণপিটুনিতে নিহত হন।

দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতদের হাতে যখন যখন কেউ মারা যায়, তখন সেটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে যে ব্যক্তিটিকে হত্যা করা হয়েছে, তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় এই ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে। মারতে মারতে তার পা থেকে মাংস খুলে বের হয়ে এসেছে। তারপর তাকে ভরপেট ভাত খাওয়ানো হয়েছে। ভাতের টেবিলে তাকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা হয়েছে। সেটা ভিডিও করা হয়েছে। এরপর তাকে আবার মারা হয়। মারতে মারতে মেরেই ফেলা হয়। একটা জোয়ান মানুষকে পিটিয়ে যারা হত্যা করেছে তাদের পরিচয় ‘ছাত্র’। কী নির্মম!

অথচ এই ছাত্ররাই কয়েকদিন আগে সহযোদ্ধাকে হত্যার প্রতিবাদে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছিল। হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা যদি দেড় মাসের মাথায় নিজেরাই হত্যাকারী হয়ে যায়, ঠাণ্ডা মাথার খুনি হয়ে উঠে, তাহলে এই দেশ সংস্কার কে করবে? কাদের মাথায় উঠবে ভবিষ্যতের মুকুট?

অথচ এই ছাত্ররাই কয়েকদিন আগে সহযোদ্ধাকে হত্যার প্রতিবাদে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছিল। হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরা যদি দেড় মাসের মাথায় নিজেরাই হত্যাকারী হয়ে যায়, ঠাণ্ডা মাথার খুনি হয়ে উঠে, তাহলে এই দেশ সংস্কার কে করবে? কাদের মাথায় উঠবে ভবিষ্যতের মুকুট?

সবচেয়ে হতাশার কথা হলো এমন পৈশাচিক সামাজিক হত্যাকাণ্ডের পরও আমাদের ভাবলেশহীনতা। যেন আমরা অনুভূতিশূন্য কতগুলো জড়বস্তুতে পরিণত হয়েছি। কোথাও কোনও ক্রন্দন নেই, হাহাকার নেই, আন্দোলন নেই, প্রতিবাদ নেই! আমরা আসলে কোন পথে চলেছি? এ কোন বিকার আমাদের অস্তিত্বমূলে বাসা গেড়েছে? আমরা কি তবে বাঁচতে ভুলে যাচ্ছি? আমরা কি তবে ওই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা নামক ভাস্কর্যের মতো জড়মূর্তি হয়ে উঠছি? আশপাশের কিছু দেখব না বলে কোনও দিকে তাকাচ্ছি না? মূর্তির মতো কেবল সোজা তাকিয়ে থাকাই কি আমাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় তিন সপ্তাহ পরও তারা কেমন যেন ছন্দহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু সেখানে গণবিয়ে, গায়ে হলুদ, কাওয়ালী, মব লিঞ্চিং ইত্যাদির চর্চা হচ্ছে। শিক্ষাকে সুসংহত করার আগে রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে? দলীয় রাজনীতি? ছাত্র-শিক্ষকদের দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে বলার কিছু নেই। কিন্তু ‘রাজনীতি’ নিষিদ্ধ করার মতো অবিবেচক সিদ্ধান্ত যেন গ্রহণ করা না হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি রাজনীতি না করে তবে কে করবে? আর সুস্থ রাজনীতির চর্চা ছাড়া দেশের জন্য যোগ্য নেতাই বা কিভাবে তৈরি হবে? যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশে ঐতিহাসিক পট-পরিবর্তন হলো, তাদের মূল ঘাঁটি কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের রাজনীতিও কি নিষিদ্ধ হবে? নাকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাড়া বাকি সবার রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে? এসব ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যাবে না। আবার দলীয় রাজনীতি চর্চার সুযোগ দিয়ে দলাদলিকেও প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় তিন সপ্তাহ পরও তারা কেমন যেন ছন্দহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু সেখানে গণবিয়ে, গায়ে হলুদ, কাওয়ালী, মব লিঞ্চিং ইত্যাদির চর্চা হচ্ছে। শিক্ষাকে সুসংহত করার আগে রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক, এটাই জনপ্রত্যাশা। এ ব্যাপারে যত শিগগির সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে সব ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে গণপিটুনির তৎপরতা যেন কিছুতেই বিস্তার না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

সহিংসতা ও গণপিটুনির ঘটনা দেশের জন্য একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা। এটাকে বন্ধ করতেই হবে। একজন মানুষের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গণপিটুনির শিকার হন দুর্বল, অসহায় মানুষ। তাদের মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীন, নারী, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, ভিখিরিও রয়েছেন। ইদানিং এই তালিকায় যোগ হয়েছে বিগত সরকারের নেতাকর্মীসমর্থক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতি তুচ্ছ কারণে গণপিটুনির ঘটনাগুলি ঘটে। চোর সন্দেহে, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর সংবাদপত্রগুলোতে চোখ রাখলেই দেখা যায়। এই খবরগুলি এতটাই গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে যে, এই মৃত্যুগুলো আমাদের আর আলাদা ভাবে ভাবায় না। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এই নিহত মানুষগুলির মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষ অপরাধ কর্মের সঙ্গে জড়িত, বেশিরভাগই হয়ত নিরাপরাধ।

গণপিটুনির নেপথ্যে প্রধান যে বিষয়গুলি কাজ করে তা হলো প্রতিহিংসা, গুজব ও কুসংস্কার। গুজব ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করে ও সেই আতঙ্ক থেকেই গণপিটুনির ঘটনাগুলি ঘটে। ছেলেধরা গুজবে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই মানুষের মনে সন্দেহের বীজাণুরা বাসা বাঁধে। সেই মানুষটির কথাবার্তা অসংলগ্ন বলে মনে হলে জনগণ ধরেই নেয় মানুষটি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক ও তার সমুচিত শাস্তি পাওয়া উচিত। তাই দলবদ্ধভাবে জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নেয় ও পিটিয়ে হত্যা করে মানুষটিকে।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গণপিটুনির শিকার মানুষটি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা শিক্ষিত মানুষের কূট প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম। বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষা ও বিগত সরকারের সরকারের নেতাকর্মীসমর্থকদের শায়েস্তা করা। এর পেছনে হয়ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে। 

আমাদের দেশে গণপিটুনির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সম্মিলিত হত্যাকারীরা কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় না। এদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে পিটিয়ে খুনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্মিলিতভাবে হত্যাকাণ্ড অনায়াসে সভ্য সমাজের হাতে ছাড়পত্র পেয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। গণপিটুনির শিকার হচ্ছে যে মানুষগুলি, তারা কোনও অপরাধ করে থাকতেই পারেন, কিন্তু তাই বলে কি তাদের বিচারের অধিকার একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর আছে? তার জন্য পুলিশ প্রশাসন আছে, আইন আছে। সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে বা তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তাকে অবিলম্বে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে কিছু মানুষের নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া পরোক্ষে দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি এক তীব্র হুমকি ও প্রবল অমর্যাদা প্রদর্শন যা কখনও কাম্য নয়।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় গণপিটুনির শিকার মানুষটি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা শিক্ষিত মানুষের কূট প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম। বর্তমানে যুক্ত হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষা ও বিগত সরকারের সরকারের নেতাকর্মীসমর্থকদের শায়েস্তা করা। এর পেছনে হয়ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে।

অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টিও বিশেষ ভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। গণপ্রহার চলাকালীন অনেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পুলিশে খবর দিলেও প্রশাসন জড়ভরতের মতো স্থবির হয়ে থাকে। এ ছাড়াও পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। যিনি পুলিশে খবর দিতে যান তাকে ধরেই পুলিশ টানাটানি করে। একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অক্ষম।

মানুষ এমন হিংস্র ও নির্মম হয়ে উঠেছে কেন? কেন মানুষ তুচ্ছ কারণে একটি অসহায় দুর্বল মানুষকে বেঁধে পিটিয়ে মারছে? এর নেপথ্যে কি কোনও মনস্তত্ত্ব কাজ করছে? এর পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে ঘৃণাবোধ। সমাজে অত্যন্ত সচেতনভাবে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। কোনও ধরনের যুক্তি-বুদ্ধি-বিবেচনা ছাড়াই একটা শ্রেণিকে রাষ্ট্রের শত্রু বানানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি রয়েছে রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা। বর্তমান বিশৃঙ্খল সামাজিক-রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষই তীব্রভাবে অসুখী। ভোগবাদী ব্যবস্থা সমাজকে গ্রাস করেছে। আর্থ-সামাজিকভাবে সমাজের নিচুতলার মানুষের মনে সব সময় কাজ করে চলেছে এক ধরনের হতাশা, ক্ষোভ, ঘৃণা। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকেই যখন একটি মানুষকে সামনে পাচ্ছে তখন মনের মধ্যে জমে থাকা যাবতীয় ক্ষোভ ঘৃণা উগরে দিচ্ছে তার উপরেই। ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা আদিম পাশবিক প্রবৃত্তি সুযোগ বুঝে উৎসারিত হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো শিক্ষিত সমাজ এ বিষয়ে একেবারে নিশ্চুপ। রাষ্ট্রও নিশ্চুপ! তাহলে দেশে আইনের শাসন কবে, কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?

লেখক: লেখক ও কলামিস্ট।
ইমেইল: chiros234@gmail.com

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত