আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে যারা সম্পদ গড়ে তোলে, তাদের সম্পদ অন্তর্বর্তী সরকার কেন বাজেয়াপ্ত করছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পল্টনে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এই প্রশ্ন তোলেন এই অর্থনীতিবিদ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “এই সম্পদ কোথায় গেল? এই সম্পদ কেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার অধিগ্রহণ করল না? এছাড়া লুণ্ঠনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের ব্যাংক ঋণ আছে, তা সমন্বয়ের জন্য তাদের সম্পত্তি কেন দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণ করা হলো না?
“এমন পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এটি করা গেলে মানুষের কর দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ বাড়বে।”
অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভোলপমেন্ট (র্যাপিড) ও ইন্টারন্যাশনাল বাজেট পার্টনারশিপ যৌথভাবে ওই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, আগামী রবিবার শ্বেতপত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। বাজেটের উন্মুক্ততা নিয়ে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আরও বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনারুল কবির ও প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দেন। তাছাড়া বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ চালু রাখা, সরকারি বিনিয়োগের দক্ষতা বাড়ানো, কর আহরণ বৃদ্ধি করা এবং বৈদেশিক খাতের ব্যবস্থাপনা সুসংহত করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
এসময় দেবপ্রিয় উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ‘ফোরাম ফর ইনক্লুসিভ ও সাসটেইনেবল ডেভোলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি ফোরাম গঠনের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি আগামী ৬ মাস বর্তমান সরকার কী কী কর্মপরিকল্পনা করছে- তা সবাইকে জানানোর পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।