শুরু হলো ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনী প্রচারের শুরুর দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য একটি লক্ষ্য ঘোষণা করেন, যা তার সফল রাজনৈতিক সফরের মানদণ্ডেও অনেক উচ্চাভিলাষী হিসাবে দেখা হচ্ছে।
‘আবকি বার ৪০০ পার’ বলে মোদী ঘোষণা করেছেন, এবার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৪০০টিরও বেশি আসন জিতবে। আর বিজেপি একাই জিতবে ৩৭০টি আসন।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৭ বছরেরে ইতিহাসে এর আগে কোনও দলের ৩৭০ আসন অতিক্রমের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৪ সালে। সেই নির্বাচনেই কোনও দল বা জোট ৪০০ আসনের বেশি আসনও জেতে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর কংগ্রেস পার্টি সেবার ৪১৪টি আসন জিতেছিল।
টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতাসীন বিজেপি সর্বশেষ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩০৩টি আসন জিতেছিল, আর এনডিএ জিতেছিল ৩৫৩টি আসন। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়, ফলে ২৭২ আসনে জয়ই দেয় সরকার গঠনের নিশ্চয়তা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদীর এবারের লক্ষ্যের সাফল্য নির্ভর করছে দেশটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশের উপর, আর তা হলো দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত বিজেপির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতার আকর্ষণের প্রতি অনেকাংশেই দুর্ভেদ্য রয়ে গেছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি ও লক্ষাদ্বীপসহ দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য- তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালা ও তেলেঙ্গানা ভারতের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ অঞ্চল। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশেরও বাস ওই অঞ্চলে। ভারতের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের অবদান ৩০ শতাংশেরও বেশি।
২০১৪ সালে মোদী প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ভারতের অর্থনীতি চাঙা হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ২০১৯ সালে এই অঞ্চল থেকে ১৩১টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টি আসন জেতে, যার বেশিরভাগই আবার শুধু কর্ণাটকে।
তামিলনাড়ু, কেরালা ও অন্ধ্র প্রদেশে মোদীর দল বরাবরের মতোই একটি আসনও পায়নি। আর পুদুচেরি ও লক্ষাদ্বীপের নির্বাচনী এলাকা হাতছাড়া হয়ে যায়। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
নয়া দিল্লিভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি অ্যানালাইসিস (সিপিএ) এর চেয়ারম্যান এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহন গুরুস্বামী বলেছেন, “অন্ধ্র প্রদেশসহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে বিজেপি খুবই অজনপ্রিয়। এমনকি সেখানে বিজেপির সঙ্গে জোট করলেও কোনও দল নির্বাচনে ভালো করতে পারে না।”
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী অর্থনীতিবিদ পারাকালা প্রভাকর বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ‘উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন’ প্রতিফলিত হবে।
স্ত্রী মন্ত্রী হওয়ার পরও প্রভাকর বিজেপি সরকারের একজন কড়া সমালোচক।
ভারতের দক্ষিণে বিজেপির ব্যর্থতা নতুন নয়। উত্তরের তুলনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে দক্ষিণ ভারত। এই অঞ্চলটি সবসময়ই বিজেপির ধর্মভিত্তিক রাজনীতি থেকেও দূরে থেকেছে।
দক্ষিণ ভারতের কেরালায় জন্ম নেওয়া প্রতি ১ হাজার শিশুর মধ্যে মাত্র ৬টি শিশু মারা যায়, যা প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সমান। অন্যদিকে বিজেপিশাসিত রাজ্য মধ্য প্রদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৪৮টি, যা প্রায় যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের সমান।
প্রভাকর বলেন, দক্ষিণ ভারতের মানুষ শিক্ষায় ও অর্থনীতিতে উন্নত হওয়ার কারণেই বিজেপির হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের হিন্দুত্ববাদী আদর্শ তাদের কম আকর্ষণ করে।
ফেব্রুয়ারিতে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) থেকে পদত্যাগ করা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিশোর চন্দ্র দেও বলেন, “উত্তর ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে এক করা গেলেও দক্ষিণে এটা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারতে রাম মন্দিরের মতো কোনও ইস্যুও নেই।”
টিডিপি অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের একটি আঞ্চলিক শক্তি এবং এবারের নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ কারণেই কিশোর চন্দ্র দেও দলটি থেকে পদত্যাগ করেন।
তামিলনাড়ুর তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পরিষেবামন্ত্রী পালানিভেল থিয়াগা রাজন, যিনি সম্প্রতি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও কিশোর চন্দ্রের কথারই প্রতিধ্বনিই করেন।
রাজন আল জাজিরাকে বলেন, “দক্ষিণে কয়েকশ বছর আগে থেকেই সমস্ত ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতিমূলক সহাবস্থানের ঐতিহ্য রয়েছে। সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের প্রচেষ্টা অবশ্যই দক্ষিণে ব্যাকফায়ার করবে।”
তামিলনাড়ুতে মোদীর ধাক্কা
৩৯টি আসন নিয়ে দক্ষিণ থেকে জাতীয় আইনসভায় সবচেয়ে বেশি সদস্য পাঠায় তামিলনাড়ু রাজ্য। বিজেপি ও মোদী এবার তামিলনাড়ু রাজ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
১৯ এপ্রিল প্রথম দফাতেই তামিলনাড়ুতে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের আগে মোদী রাজ্যটিতে কমপক্ষে ছয়বার সফর করেছেন। মোদীর ভাষণগুলো একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত অ্যাপের মাধ্যমে দর্শকদের জন্য হিন্দি থেকে তামিল ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হয়েছে। বিজেপির দাবি এর মধ্য দিয়ে এবার মোদী সেখানে ব্যাপক সমর্থন অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
মোদী তামিলনাড়ুতে শ্রীলঙ্কার কাচাথিভু দ্বীপ নিয়ে বিরোধকেও পুনরুজ্জীবিত করেছেন, ৫০ বছর আগেই নয়াদিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে যার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল। মোদী ও বিজেপি সরকারের দাবি, দ্বীপটি সাবেক কংগ্রেস সরকার শ্রীলঙ্কাকে উপহার হিসেবে দিয়ে দিয়েছে।
কাচাথিভু ঐতিহাসিকভাবে তামিলনাড়ুতে একটি আবেগের বিষয়। কংগ্রেসের মিত্র দ্রাবিড় মুনেত্র কাজঘাম (ডিএমকে) পার্টিও ঐতিহাসিকভাবে ভারতের উপকূল থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বীপটির ওপর শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করেছে।
বিজেপি ও মোদী এবার নির্বাচনের আগে ডিএমকেকে হিন্দুবিরোধী বলেও অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেছে। গত সেপ্টেম্বরে ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্ট্যালিন ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর সঙ্গে সনাতন ধর্মের (শাশ্বত ধর্ম) তুলনা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সনাতন ধর্মকে অনেক হিন্দু হিন্দু ধর্মের বিকল্প শব্দ হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু ডিএমকেসহ অন্যরা হিন্দুত্ববাদকে ঐতিহ্যগত হিন্দুধর্মের অন্তর্গত বর্ণপ্রথার সঙ্গে এক করে দেখে।
মোদীর এই কঠোর চেষ্টার ফলে নয়া দিল্লিভিত্তিক কিছু জনমত জরিপ বিশ্লেষক বলছেন, তামিলনাড়ুতে বিজেপি এবার ২০ শতাংশ ভোট পেতে পারে এবং কয়েকটি আসনও জিততে পারে। যেখানে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি সেখানে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বলা সহজ হলেও ঘটা কঠিন।
উত্তর বনাম দক্ষিণ
তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে গত কয়েক দশক ধরে ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী মনোভাব প্রাধান্য পেয়েছে। হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধারণাগুলোকে দক্ষিণের এই রাজ্যে দীর্ঘকাল ধরেই সন্দেহের সঙ্গে দেখা হয়ে আসছে। হিন্দুত্ববাদী আদর্শকে সেখানে ব্রাহ্মণদের ঐতিহাসিক আধিপত্য ধরে রাখার উপায় হিসাবেই দেখা হয়। ভারতের জটিল বর্ণভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাসে ব্রাহ্মণরা মর্যাদাগতভাবে নিজেদের শীর্ষস্থান দাবি করে থাকেন। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের মানুষদের বেশিরভাগই ব্রাহ্মণ্যবাদের সামাজিক বৈষম্যের বিরোধী। ভারতীয় উপমহাদেশের সাম্যবাদী ভক্তি আন্দোলনের জন্মও দক্ষিণ ভারতে।
উদারহণ হিসাবে বলা যায়, তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী মতাদর্শের নাম দ্রাবিড় আন্দোলন। এই মতাদর্শের প্রথমদিককার তাত্ত্বিকদের একজন ছিলেন ইভি রামাসামি নাইকার, যিনি তার পেরিয়ার ডাকনামে বেশি পরিচিত। তিনি হিন্দু ধর্মের ব্রাহ্মণ্যবাদের কড়া সমালোচক ছিলেন এবং কংগ্রেসের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।
কংগ্রেসকেও বিংশ শতাব্দীর বেশিরভাগ সময় ধরে সেখানে উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের দল হিসেবে গণ্য করা হত। তামিলনাড়ুর ডিএমকে ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অল ইন্ডিয়া আন্না ডিএমকে (এআইএডিএমকে) উভয়ই পেরিয়ারকে নিজেদের তাত্ত্বিক গুরু মেনে রাজনীতি করে।
তবে তামিলনাড়ুর উত্তর-পশ্চিমের কর্ণাটক রাজ্যটি গত দুই দশক ধরে দক্ষিণ ভারতে বিজেপির জন্য অনেক বেশি উর্বর ভূমি বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ও স্টার্টআপ কেন্দ্র বেঙ্গালুরু শহর এই প্রদেশেই অবস্থিত। কর্ণাটক ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিজেপি শাসিত ছিল এবং তারপরে আবার ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্তও সেখানে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনেও বিজেপি রাজ্যটির ২৮টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসন পায়।
তবে ২০২৩ সালে কংগ্রেস কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে সেখানে সরকার গঠন করেছে। মোদীর সরকার দক্ষিণের রাজ্যগুলোর বিরুদ্ধে বৈষম্য ও অবিচার করছে এমন অভিযোগ করে প্রচারণা চালিয়ে কংগ্রেস এবার সেখানে জয় পায়। এই অভিযোগে কংগ্রেস এবারের লোকসভা নির্বাচনেও সেখানে কিছুটা সুবিধা পাবে।
‘সাউথ ভার্সেস নর্থ : ইন্ডিয়া’স গ্রেট ডিভাইড’ বইয়ের লেখক আর এস নীলাকান্তন ব্যাখ্যা করে বলেন, উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনেক কম উন্নয়ন বাজেট পায়। দক্ষিণের জনগণ যে পরিমাণ কর দেয়, সে তুলনায়ও তা অনেক কম। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর ভারতের উন্নয়নেই বেশি অর্থ ব্যয় করে এবং দক্ষিণের সঙ্গে বৈষম্য করে।
এই বৈষম্যের প্রবক্তাদের যুক্তি হলো, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলো কম উন্নত হওয়ার কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দিকে বেশি নজর দেয়। কিন্তু দক্ষিণের পক্ষের সমালোচকদের মতে, এটা অনেকটা দক্ষিণের রাজ্যগুলোকে তাদের সাফল্যের জন্য শাস্তি দেওয়ার মতো। আর তা ছাড়া উত্তরের রাজ্যগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বেশি অর্থ পেয়েও স্বাস্থ্য বা শিক্ষায় দ্রুত অগ্রগতি করতে পারছে, এমন প্রমাণও খুব কম।
তামিলনাড়ুর মন্ত্রী রাজন বলেন, “তামিলনাড়ুর জনগণ কেন্দ্রীয় সরকারকে যে পরিমাণ কর দেয় তা থেকে তারা প্রতি রুপির জন্য মাত্র ২৯ পয়সা করে ফেরত পায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, দক্ষিণের রাজ্যগুলোর শাসক দলগুলোকে তাদের প্রতি কেন্দ্রের অবিচার তুলে ধরতে এবং ফেডারেল সরকার ব্যবস্থার সংহতি রক্ষার জন্য লড়াই করতে দিল্লিতে বিক্ষোভও করতে হচ্ছে।”
দক্ষিণের রাজ্যগুলোর এই ক্ষোভের সঙ্গে সম্প্রতি নতুন আরেকটি উদ্বেগ যুক্ত হয়েছে। বিজেপি সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে দক্ষিণের সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনরায় নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশজুড়ে প্রতিটি সংসদীয় আসনের ভোটার সংখ্যা যাতে প্রায় সমান সমান হয় সেজন্যই এই সীমানা পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।
উত্তর ভারতের চেয়ে দক্ষিণের রাজ্যগুলো জন্মনিয়ন্ত্রণের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। ফলে ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর সংসদীয় আসনের সংখ্যাও কমে যেতে পারে। এতে জাতীয় পর্যায়ে তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাও কমে যাবে। উদাহরণস্বরুপ, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে তামিলনাড়ুর সংসদীয় আসনের সংখ্যা ৩৯টি থেকে কমে ৩০টি হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০টি থেকে বেড়ে ৯০টি হবে।
রাজন বলেন, “উত্তর বনাম দক্ষিণের বিরোধ শুধু আবেগগত নয়। এটি বাস্তব তথ্য ও পরিসংখ্যান ভিত্তিক।”
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা