‘ক্রেজি গেম’-বলে ধারাভাষ্যকারের উচ্ছ্বাস থামছিলই না যেন। আসলে ফুটবলেই এমন মুহূর্ত আসে খুব কম। ৪৩ মিনিটে ওদিলোন কোসোনো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয়ে যায় আইভরিকোস্ট। স্বাগতিকরা ৯ জনে পরিণত হয় শেষ সময়ে ওমার দিয়াকিতে লালকার্ড দেখলে।
এই ৯ জন নিয়েই আফ্রিকান নেশনস কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল আইভরিকোস্ট। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে মালিকে।
কেপ ভার্দে ও দক্ষিণ আফ্রিকার অপর কোয়ার্টার ফাইনালে নায়ক গোলরক্ষক রনউইন উইলিয়ামস। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ৪টি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০০০ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনালের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন রনউইন উইলিয়ামস।
উইলিয়ামসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ হুগো ব্রোস, ‘‘আমরা কী সৌভাগ্যবান ছিলাম, এটা বলব না। আমাদের দারুণ এক গোলরক্ষক ছিল। আপনি যখন চারটি পেনাল্টি বাঁচান, তখন সেটা আর সৌভাগ্য থাকে না।’’
প্রথম সেমিফাইনালে স্তাদ বুয়াকেতে ৭১ মিনিটে ডরগেলেসের গোলে এগিয়ে যায় মালি। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০’তে এগিয়ে ছিল তারাা। একটা পেনাল্টি মিস না করলে ম্যাচটা জিততেও পারত তারা।
৪৩ মিনিট থেকে ১০ জন নিয়ে খেলা আইভরিকোস্ট শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগে সমতা ফেরায় আদিনগারার গোলে। ওমার দিয়াকিতের ১২২ মিনিটের গোলে ৯ বছর পর সেমিফাইনালের টিকিট পায় তারা। গোল উদযাপনে জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দিয়াকিতে। ১২৫তম মিনিটে লালকার্ড দেখেন মালির ত্রারোরে।
লালকার্ড দেখে সেমিফাইনাল মিস করলেও খুশি ওমার দিয়াকাতি,‘‘এ ধরনের ম্যাচে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। পুরোটাই আবেগের ব্যাপার। ভুলেই গিয়েছিলাম আগে একটা হলুদ কার্ড দেখেছি। সেমিফাইনালে আমি না থাকলেও আশা করছি দল নিজেদের কাজটা করতে পারবে।’’