পৌষের শেষ থেকেই এবার জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে শীত। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসেবে মাঘ মাসের ৩ তারিখ। অর্থাৎ মাঘের শুরুটাই হয়েছে তীব্র ঠান্ডা আর শৈত্যপ্রবাহ দিয়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মাসের পুরোটাই যাবে এমন আবহাওয়ায়। এর মধ্যে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দেশের বিভিন্নস্থানে হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা সকাল সন্ধ্যাকে জানান, বৃষ্টির কারণে বুধবার সারাদেশের আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, “ক্লাউডটা মূলত খুলনা দিয়ে ঢুকছে। সেখানেই বৃষ্টি হবে, বরিশালের দিকেও হতে পারে। আর রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তবে সারাদেশে মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকার তাপমাত্রা মঙ্গলবারের মতোই থাকবে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, “তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মঙ্গলবার রাত থেকেই সারাদেশেই পড়বে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা।”
কাজী জেবুন্নেছা জানান, মঙ্গলবার রাতের এই কুয়াশা বুধবার দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে কোথাও কোথাও।
চলতি বছর মৃদু থেকে মৃদু ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। তবে সারাদেশেই যেহেতু দিনের তাপমাত্রা বেশ কমে গিয়েছে, কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না, তাই শীতের অনুভূতিটা বেশি হচ্ছে। গত কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবার বরং তাপমাত্রা বেশি।
অন্যদিকে, দেশজুড়ে বয়ে চলা হাঁড় কাঁপানো বাতাসে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। হাসপাতালগুলোয় বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে বেশি।
ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশের স্কুলগুলোর জন্য জারি করা হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। মঙ্গলবার আলাদা দুটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনও জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা যাবে।