শুরুতে ব্যাটিং ব্যর্থতা পরে দুর্বল বোলিং-ফিল্ডিং। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে কোন লড়াই না করেই হারল বাংলাদেশ নারীরা। ১০ উইকেটের বড় হারে এশিয়া কাপ অভিযানও শেষ হলো।
ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধা্ন্ত নেয় বাংলাদেশ। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ ওভারে মাত্র ৮০ রান করে নারী দল। জবাবে ভারত মাত্র ১১ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৮৩ রান করে ম্যাচ জিতে নেয়।
এশিয়া কাপে এক আসর আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল তারা। ওই দলের কয়েকজন সদস্য এবারও এশিয়া কাপের দলে আছেন। রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আলমকেও ফেরানো হয় অভিজ্ঞতার অভাব দূর করতে।
তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। সম্প্রতি পুরুষ জাতীয় দলের মতো নারী দলেরও ব্যাটিং ব্যর্থতার রোগ পেয়ে বসেছে। তাই শক্তিশালি ভারত বোলিং লাইনের বিপক্ষে বিনা লড়াইয়ে পরাস্ত বাংলাদেশ ব্যাটাররা।
আগের ম্যাচেই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা ১৯১ রান করেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে সেই ব্যাটিংয়ের কিছুই দেখাতে পারেননি জ্যোতি-মুর্শিদারা।
পাওয়ার প্লে তে বড় শট খেলার চেষ্টায় নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৫ ওভারের মধ্যে ২১ রানে পড়ে যায় ৩ উইকেট। এর মধ্যে গত দুই ম্যাচে টানা দুটি ফিফটি করা মুশিদা ৯ বলে ৪ রান করে ভুল শটে উইকেট বিলিয়ে আসেন। এছাড়া ইসমা ও দিলারাও ভুল শট সিলেকশনে আউট হন ৬ ও ৮ রানে।
শুরুতে উইকেট হারানোয় রানের গতি আটকে যায় বাংলাদেশের। তাই ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান আসে বোর্ডে। রানের চাপে টানা দুই ওভারে রুমানা আহমেদ ও রাবেয়া খান ড্রেসিংরুমে ফেরেন। নিগার সুলতানা ৫১ বলে ৩২ ও স্বর্ণা আকতার ১৮ বলে ১৯ রান করে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের জুটি গড়েন। ভারতের রেনুকা সিং ও রাধা যাদব ৩টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ভারতের দুই ওপেনার শেফালি ভার্মা ২৮ বলে ২৬ ও স্মৃতি মানধানা ৩৯ বলে ৫৫ করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে দেশের মাটিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় নাজেহাল ছিল বাংলাদেশ। সেই একই কারণে এশিয়া কাপে বাজে ফল হজম করতে হলো। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে এই ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশ নারী দলের জন্য বড় চিন্তার কারণ।