Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রস্তাব বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির

ss-wb-adb-2024
[publishpress_authors_box]

ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে বাংলাদেশকে আড়াই বিলিয়ন বা ২৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক। যার মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ১০০ কোটি, এডিবি দেবে ১৫০ কোটি ডলার।

রবিবার সংস্থা দুটির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে এই ঋণ সহায়তার প্রস্তাব দেন।

পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

হুসনে আরা বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংস্কারে তিন শর্তে ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। তবে প্রাথমিকভাবে পলিসি সহায়তার জন্য ৭৫ কোটি ডলার দেবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ডিসেম্বরে এই সহায়তা পাওয়া যাবে।

এছাড়া ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে আরও ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। তবে তা পেতে আরও সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, “এডিবি প্রথম দফায় ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। পরবর্তী কয়েক দফায় বাকি অংশটুকুও ছাড় করবে সংস্থাটি।”

এসব ঋণ পেতে বাংলাদেশকে কিছু শর্ত পালন করতে হবে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, যার মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাতে অ্যাসেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী।

এসব শর্তের ৫০ শতাংশ এরই মধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান হুসনে আরা।

এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে এডিবির প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কারের জন্য আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আরও ৫০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।

আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রোসপারিটি প্র্যাকটিস গ্রুপের রিজিওনাল ডাইরেক্টর ম্যাথিউ এ ভার্ঘিস।

বিকালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের  আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। সেখানে সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়নেরে বিষয়ে আলোচনা হয়।

যেখানে মূল্যস্ফীতি, পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। আর্থিক খাত সংস্কারে সহযোগিতা পাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত