Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নামার আভাস বিশ্ব ব্যাংকের

ss-world-Bank-logo-101024
[publishpress_authors_box]

চলমান পরিস্থিতিকে ‘উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তা’ উল্লেখ করে চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মধ্যবর্তী হিসাবে ৪ শতাংশে নেমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এর আগে সংস্থাটি ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিল।

তবে এবার ১ দশমিক ৭০ শতাংশীয় পয়েন্ট কম ধরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল বিশ্বের আর্থিক খাতের মোড়ল সংস্থাটি।

তবে আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ—এমনই বলছে সংস্থাটি।  

বুধবার ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দিয়েছে।

সরকারি হিসাবে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস গত অর্থবছরের অর্জিত প্রবৃদ্ধির তুলনায় প্রায় ১ দশমিক ৮২ শতাংশীয় পয়েন্ট কম।

সংস্থাটি বলছে, এবার ‘উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তার’ ফলে বিনিয়োগ ও শিল্পে দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং এ বছরের বন্যার কারণে এবার বাংলাদেশ মাঝারি আকারের একটা প্রবৃদ্ধি পাবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশ শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে। তবে মধ্যবর্তী হিসাবে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এর আগে সংস্থাটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষিত বাজেটে চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই হিসাবে সংস্থাটির এই পূর্বাভাস বাজেটের লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। এর আগে কোভিড-১৯ মহামারীর বছর ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধি নেমে গিয়েছিল ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশে।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বন্যার কারণে কৃষি খাতের ক্ষতি এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগ ও শিল্প খাতের উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। এসব কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশ্ব ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারতের ৭ শতাংশ, ভুটান ৭ দশমিক ২ শতাংশ, নেপাল ৫ দশমিক ১ শতাংশ, মালদ্বীপ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, শ্রীলংকা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

এর আগে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির জন্য আগের অবস্থান থেকে সরে এসে নেতিবাচক আভাস দিয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর ২০২৪ প্রতিবেদনে বলেছে, জুলাই-আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসবে। সেইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে, তা দুই অঙ্কের উপর থাকবে। যদিও আগে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এসব সূচক নিয়ে ইতিবাচক পূর্বাভাস দিয়েছিল তারা।  

গত এপ্রিলে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জিত হবে। তবে সেপ্টেম্বরের আভাসে ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমিয়ে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়েছে সংস্থাটি।

গত এপ্রিলে এডিবি বলেছিল, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু এখন এডিবি বলছে, তা হবে না। বরং মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হবে। এর মানে, এ বছরও দেশের সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত