Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ভারত মহারণে পাকিস্তানের টিকে থাকার লড়াই

ind
[publishpress_authors_box]

‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আবহটাই আসল। তবে এটা কোনও যুদ্ধ নয়। রোমাঞ্চকর একটা ম্যাচের জন্য তৈরি হোন’’- পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে স্টার স্পোর্টসে বলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া।

হার্দিক মুখে যাই বলুন, ভারত-পাকিস্তান দুই দলের কাছেই এটা ‘যুদ্ধ’। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল একে অন্যের কাছে হারতে চায় না কোনও ভাবে। রাজনৈতিক বৈরিতায় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ হওয়ার পর আরও না। এজন্যই আজকের (রবিবার) ম্যাচের আগে ভারতীয় সাবেক তারকা নভোজৎ সিং সিধু ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে জেতা মানে বিশ্বকাপ জিতে যাওয়া।’’

উত্তেজনার বারুদে ঠাসা সেই ম্যাচের আগে পাকিস্তান সমালোচনায় জর্জরিত এক দল। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পর ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, মিসবাহ উল হক, শোয়েব আখতাররা ধুয়ে দিয়েছেন বাবরের দলকে। তারপরও পাকিস্তানকে সমীহই করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা, ‘‘দেখুন প্রতিপক্ষ যদি শেষ ম্যাচে হারে, এর অর্থ এই নয় ওরা পরের ম্যাচেও হারবে আর খারাপ খেলবে। নিজেদের ‍ভুলগুলো শুধরে নিতে চাইবে তারা। পাকিস্তান কি করতে পারে সবারই জানা আছে। কঠিন এই ম্যাচে স্নায়ুর চাপটা ধরে রাখতে হবে। পিচটা কঠিন, কিউইরেটরও জানে না কেমন আচরণ করবে। তবে আমরা নিজেদের সেরাটাই খেলতে চাই।’’

একই সম্মান বাবর আজমও করেছিলেন ভারত নিয়ে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে বলেছিলেন, ‘‘এই ম্যাচ সবসময় চাপের। যারা চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তারাই জিতবে। আমরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চাই দারুণ ছন্দে থাকা ভারতের সঙ্গে।’’

প্রথম ম্যাচ হারায় একাদশে নিশ্চিতভাবে পরিবর্তন হবে পাকিস্তানের। কারণ ম্যাচটা বাঁচা মরার তাদের জন্য। এই ম্যাচ হারলে সুপার এইটের আগে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা বাড়বে পাকিস্তানের। তাই আজম খানের জায়গায় ফিরতে পারেন উসমান খান। সবশেষ ৬ টি-টোয়েন্টির ৩টিই ০ রানে আউট হয়েছেন আজম।

পেসার নাসিম শাহর জায়গায় ভাবা হচ্ছে স্পিনার আবরার আহমেদকে। আর চোট কাটিয়ে ফিরতে পারেন ইমাদ ওয়াসিম। তবে একাদশ নিয়ে ধারণা দিতে পারেননি কোচ গ্যারি কারস্টেন,‘‘আমাদের দলে ফিটনেসের ইস্যু আছে। শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই আমরা। খেলোয়াড়রা একে অন্যের খেলা নিয়ে জানে ভালোভাবে। কন্ডিশন অনুযায়ী নিজেদের সেরাটা খেলতে চাই আমরা।’’

ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতকে কখনও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। তবে টি-টোয়েন্টিতে হারিয়েছে একবার। ২০২১ বিশ্বকাপে ভারতকে ১০ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছিল পাকিস্তান। শাহিন শাহ আফ্রিদি স্বপ্নের স্পেলে ফিরিয়েছিলেন দুই ওপেনারকে। ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে সেরা হন তিনিই। ২০২২ সালে এশিয়া কাপেও ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তান। আফ্রিদিকে ছাড়াই এই ম্যাচটা জিতে তারা। তাই পাকিস্তানকে সমীহ না করে উপায় নেই ভারতের।

সবমিলিয়ে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১২ ম্যাচে। এর ৮টি জিতেছে ভারত, ৩টি পাকিস্তান আর টাই হয় ২০০৭ বিশ্বকাপের ম্যাচটি। তখন সুপার ওভার ছিল না। টাইয়ের পর বোল আউটে (স্টাম্প ভাঙা) ৩-০’তে জিতেছিল ভারত। এরপর ২০২১ বিশ্বকাপ ছাড়া এই টুর্নামেন্টে ভারত এগিয়ে ৬-১ ব্যবধানে। আজ তাদের লক্ষ্য ৭-১ করা।

এবার অবশ্য দুই দলের মহারণের চেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে পিচ নিয়ে। নিউইয়র্ক নাসাউ স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচে শ্রীলঙ্কা মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা কাল নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে পারত ১০৩ রান তাড়া করতে নেমে।

পিচ নিয়ে কড়া সমালোচনার পর নড়েচড়ে বসে আইসিসি। বিশ্বসেরা মাঠ কর্মীদের নিয়ে ঘোষণা দেয় মানসম্পন্ন পিচ তৈরির। সেটা তারা কতটা পারল বোঝা যাবে আজই। তবে পিচ যেমনই হোক দর্শক আগ্রহের কমতি নেই ম্যাচটি ঘিরে। একটি টিকিটের দাম তো ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় কোটি টাকা! দর্শকদের এমন উন্মাদনার ম্যাচে শেষ হাসি হাসবে কারা?

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত