Beta
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

গাজায় ৫ সাংবাদিক হত্যায় বিশ্বনেতাদের নিন্দা

gaza
[publishpress_authors_box]

গাজার দক্ষিণে একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এতে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা।

গাজায় হামাস পরিচালিত নাসের হাসপাতালে প্রথমে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল দশটার দিকে হামলা চালায় ইসরায়েল। চিকিৎসাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছালে ১০ মিনিট পরে আবারও একই জায়গায় হামলা চালানো হয়।

ওই হামলায় পাঁচ সাংবাদিকসহ ২০ জন নিহত হন। তার মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক। নিহত পাঁচ সাংবাদিক হলেন, রয়টার্সের ক্যামেরাম্যান হুসাম আল-মাসরি। খান ইউনিসভিত্তিক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আহমেদ আবু আজিজ। তিনি মিডল ইস্ট আইয়ের হয়ে কাজ করতেন।

এপির সঙ্গে যুক্ত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারিয়াম দাগ্গা। আলজাজিরা ও মিডল ইস্ট আইয়ের হয়ে কাজ করা মোহাম্মদ সালামা। মাঝে মাঝে রয়টার্সে কাজ করা ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার মোয়াজ আবু তাহা।

এর আগে গত ১০ আগস্ট গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় আল জাজিরার পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছিল।

এমন হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববাসী। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো হামলাকে ‘অসহনীয়’ উল্লেখ করে বলেন, “সাংবাদিক ও বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে।”

জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস নাসের হাসপাতালে এই ‘ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “নৃশংস সংঘাতের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চিকিৎসাকর্মী ও সাংবাদিকরা কত ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়ে থাকেন তা এই ঘটনা দেখিয়ে দেয়।” হামলার ‘দ্রুত ও নিরপেক্ষ’ তদন্তের দাবি জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন এই হামলার বিষয়ে জানতেন না তিনি। প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এনিয়ে মোটেও খুশি নই।”

যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিডিয়া স্বাধীনতা রক্ষা বিষয়ক সংগঠনগুলোও। রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডার্সের প্রধান থিবো ব্রুটিন বলেন, “এসবের শেষ কোথায়? আন্তর্জাতিক আইন বলে তো কিছু আছে। যুদ্ধের খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের কিছু নিশ্চয়তা থাকার কথা, কিছুইতো এখন কার্যকর হচ্ছে না।”

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট বলেছে, “গাজায় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে হত্যা করছে ইসরায়েল, আর বিশ্ব তা চুপচাপ দেখছে। কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

ইসরায়েলের এই হামলার পর প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে ইসরায়েলের ভেতরেও। অনেকেই নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানাতে নেমে এসেছেন পথে। হামলার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছে, তবে খুবই কম তথ্য সম্বলিত। ইসরায়েলের এমন হামলাকে ‘দুঃখজনক একটি দুর্ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, সামরিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ‘গভীর তদন্ত’ চালাচ্ছে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা, রয়টার্স

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত