শান্তির খোঁজে সুইজারল্যান্ডের ব্যুর্গেনস্টক পাহাড়চূড়ায় মিলিত হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। কে যাচ্ছেন না সেখানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধানরা, দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট বা সরকার প্রধানরা সেখানে জড়ো হচ্ছেন।
তাদের লক্ষ্য একটাই। আর তা হলো – ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য কার্যকরী সমাধান বের করে শান্তির রাস্তায় সবাইকে নিয়ে হাঁটা। পাহাড়চূড়ায় বিলাসবহুল রিসোর্টে বৈঠক করে বিশ্ব নেতারা শান্তি পরিকল্পনা করতে চাইছেন।
জি৭ নেতারা সম্প্রতি ইতালিতে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে তারা ইউক্রেনের জন্য ৫০ বিলিয়ন ইউরো ঋণের একটি নতুন চুক্তি করেছেন। ঋণটি দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়ার জব্দ হওয়া সম্পদের সুদ থেকে। ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান শুরুর পর ওই সম্পদ জব্দ করা হয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই শান্তি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যুর্গেনস্টক রিসোর্টে। এতে কিয়েভের প্রস্তাবিত ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও পারমাণবিক হুমকি, খাদ্য নিরাপত্তা ও মানবিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ও আলোচনায় জায়গা পাবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে এক প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে ইউক্রেনকে কিয়েভে আরও বেশি এলাকা ছেড়ে দেওয়া ছাড়াও সৈন্য প্রত্যাহার ও ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানানো হয়। ইউক্রেন অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
কিন্তু ইউক্রেনের আপাত মিত্ররা পুতিনের প্রস্তাব নিয়ে ভাবছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় তারা মিলিত হচ্ছেন সুইজারল্যান্ডে বিশ্বের অন্য নেতাদের সঙ্গে।
রবিবার বিশ্ব নেতারা জাতিসংঘের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার নীতির আলোকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে আলোচনা করবেন।
সম্মেলন সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এটি নামে শান্তি সম্মেলন হলেও এর আসল উদ্দেশ্য কোনও পক্ষই যাতে অসাবধানী কোনও পদক্ষেপ না নেয় তা নিশ্চিত করা।
তবে এই সম্মেলনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ তিনি বরাবরই চেয়েছিলেন ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্ব নেতারা একাট্টা হোক। এই সম্মেলনের ভেতর দিয়ে সেটি হতে যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।