দেখা হলো বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমেইসা গেলগি ও খাটো নারী জ্যোতি আমগের। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ডে উপলক্ষে বুধবার দেখা করেছেন তারা, একসঙ্গে বসে চা-ও পান করেছেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এক বিবৃতির বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, ২১৫.১৬ সেন্টিমিটার (৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি) উচ্চতার রুমেইসা গেলগি ও মাত্র ৬২.৮ সেন্টিমিটার (২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি) উচ্চতার জ্যোতি আমগে বুধবার লন্ডনের স্যাভয় হোটেলে দেখা করেন।
তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার রুমেইসা গেলগি ও ভারতের অভিনেত্রী জ্যোতি আমগের উচ্চতার পার্থক্য ১৫২.৩৬ সেন্টিমিটার (৫ ফুট)।
উচ্চতায় বিশাল ফারাক থাকলেও দেখা করার পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে সময় লাগেনি। দু’জনে একসঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটান।
বিবৃতিতে ২৭ বছর বয়সী রুমেইসা গেলগি বলেন, “আমাদের মধ্যে কিছু মিল আছে। আমরা দুজনেই মেকআপ, নিজেকে সুন্দর রাখা, গয়না এবং নখ সাজানোর ব্যাপারে আগ্রহী।
“আমাদের উচ্চতার পার্থক্যের কারণে চোখে চোখ রাখা কঠিন ছিল, তবে অভিজ্ঞতাটি দারুণ।”
অন্যদিকে ৩০ বছর বয়সী জ্যোতি আমগে জানান, তার মতো রেকর্ডধারী আরেকজনের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তিনি ‘খুব খুশি’।
২০২১ সালে রুমাইসা গেলগিকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা জীবিত নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তার এই অস্বাভাবিক উচ্চতার জন্য দায়ী উইভার সিনড্রোম নামের একটি শারীরিক অবস্থা, যা বিশ্বের মাত্র ২৭ জনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে।
গেলগি আরও কয়েকটি রেকর্ডের অধিকারী, যেমন একজন নারীর সবচেয়ে বড় হাত (২৪.৯৩ সেন্টিমিটার), সবচেয়ে লম্বা পিঠ (৫৯.৯০ সেন্টিমিটার) এবং সবচেয়ে লম্বা কান (৯.৫৮ সেন্টিমিটার)।
অন্যদিকে, ভারতে জন্ম নেওয়া জ্যোতি আমগে অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া নামের হাড়ের বৃদ্ধিজনিত এক বিরল রোগে আক্রান্ত।
তবে স্বল্প উচ্চতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তিনি একজন সফল অভিনেত্রী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর সম্পাদক ক্রেইগ গ্লেনডে এই দুই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের ভিন্নতাকে উদযাপন করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “এমন অসাধারণ দুই নারীর সাক্ষাৎ ভিন্নতার সৌন্দর্য ও জীবন সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সামনে তুলে ধরেছে।”
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পুরুষ তুরস্কের সুলতান কোসেনের (৪১) সঙ্গে সবচেয়ে খাটো নারী জ্যোতি আমগের দেখা হয়।