Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

নেটফ্লিক্সে স্পোর্টেইনমেন্ট ‘রেসলিং’, এর জনপ্রিয়তা এখনও এত কেন?

wresling in netflix
[publishpress_authors_box]

বিটিভিতে যখন নব্বইয়ের দশকে রেসলিং এর অনুষ্ঠান দেখানো হতো তখন অনেকেই জানতেন না, এটি স্ক্রিপটেড। অর্থাৎ আক্রমণ থেকে জয়-পরাজয় পর্যন্ত আগে থেকেই ঠিক করা রয়েছে। রেসলিং রিং- এ লড়াইরতরা কেবল একজন পারফর্মার। আমাদের দেশের দর্শকদের অনেকেই না জানলেও পশ্চিমের দর্শকরা কিন্তু এটি ঠিকই জানতেন। তারপরও রেসলিং তাদের কাছে জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম হিসেবে পথচলার এই একচল্লিশ বছরে এসেও জনপ্রিয়তা হারায়নি।     

এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ ও উদাহরণ টানা যেতে পারে নেটফ্লিক্সে রেসলিংম্যানিয়া ৪১ অনুষ্ঠানটি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স নানা উদ্ভাবনী বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের দিনে এসেছে। সেই উদ্ভাবনী অনুষ্ঠান সংযোজনে ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে যোগ হয়েছে লাইভ স্পোর্টস এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগ।

ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডাব্লিউডাব্লিউই) তাদের পুরনো দিনের রেসলিংয়ের ভিডিও এবং বড় বড় অনুষ্ঠান দেখানোর জন্য নেটফ্লিক্সের সঙ্গে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি) একটি চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে রেসলম্যানিয়ার মতো জনপ্রিয় ইভেন্টগুলো অনেক দেশের মানুষ সরাসরি নেটফ্লিক্সে দেখতে পারবে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরতরা আপাতত আগের মতোই এনবিসি-এর পিকক  প্ল্যাটফর্মেই ডাব্লিউডাব্লিউই দেখতে পারবেন।

এই বছরের শুরুতে হওয়া ১০ বছরের চুক্তিটির কারণে ডাব্লিউডাব্লিউই বিশ্বব্যাপী ৭০ কোটি দর্শক দেখতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি ডাব্লিউডাব্লিউই -এর প্রধান কন্টেন্ট কর্মকর্তা পল ‘ট্রিপল এইচ’ লেভেস্ক রেসলিংকে বিশ্বব্যাপী সহজলভ্য এবং স্ট্রিমিং যুগের নতুন প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যেই এই কৌশল নিয়েছেন।

১৯৮৫ সালে শুরু হওয়া রেসলম্যানিয়াকে শুধু এর বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণের জন্যই নয়, লাইভ স্পোর্টসে নেটফ্লিক্সের প্রবেশের জন্য একটি লিটমাস টেস্ট হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

কিন্তু এই ব্লকবাস্টার ট্যাগ-টিম অংশীদারিত্ব কি সফল হবে, নাকি এটি একটি (খুব) ব্যয়বহুল লড়াই প্রমাণিত হবে?

নেটফ্লিক্স এবং ডব্লিউডব্লিউই এর বর্তমান চুক্তিটি দর্শকদের দেখার অভ্যাস পরিবর্তন হচ্ছে বলে প্রমাণ করে বলে রেসলেনোমিক্স ওয়েবসাইটের সম্পাদক ব্র্যান্ডন থার্স্টন বিবিসিকে জানিয়েছেন।

ডব্লিউডব্লিউই আগে শুধু পে-পার-ভিউতে অনুষ্ঠান দেখাত, যার জন্য মার্কিনিদের গুণতে হতো প্রায় ৬০ ডলার। ২০১৪ সালে তারা নিজস্ব স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘ডব্লিউডব্লিউই নেটওয়ার্ক’ চালু করে। তাদের মনে হয়েছিল, আয়ের অর্ধেক স্যাটেলাইট কোম্পানিগুলো নিয়ে যাচ্ছে।

থার্স্টন বলেন,  ২০১৪ সালের ওই পদক্ষেপে পে-পার-ভিউয়ের দাম কমে প্রায় ১০ ডলার হয়েছিল, যা অনেক বেশি দর্শক টানে।

থার্স্টনের মতে, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে চুক্তির লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী দর্শক বাড়ানো, বেশি আন্তর্জাতিক তারকা তৈরি করা এবং বিভিন্ন বাজারে রেসলম্যানিয়া ও স্ম্যাকডাউনের মতো লাইভ টুর্নামেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া।

লেভেস্ক অ্যাংলার পডকাস্টে বলেন, নেটফ্লিক্সের সহজলভ্যতা এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে বসেই এক ক্লিকেই এটি দেখা যায়।

তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম এখন আর টিভি দেখে না। তারা ইউটিউব, টিকটক ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেই অভ্যস্ত।

আর্ট ম্যাগাজিন ব্রডকাস্ট জানিয়েছে, নেটফ্লিক্সে আসার পর যুক্তরাজ্যে ডব্লিউডব্লিউই-এর দুটি প্রধান অনুষ্ঠান – র (Raw) এবং সম্ভবত স্ম্যাকডাউন (SmackDown) – এর দর্শক সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নেটফ্লিক্সে প্রচার হওয়ার পর প্রথম ১০ সপ্তাহের মধ্যে ৯ সপ্তাহ জুড়েই ডব্লিউডব্লিউই-এর র অনুষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি অনুষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রে চিত্রটি কিছুটা ভিন্ন। টিকেও আমেরিকান গণমাধ্যম ও বিনোদন সংস্থা। ২০২৩ সালে এর জন্ম হয়, যখন ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লিউডব্লিউই) এবং আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউএফসি) মূল প্রতিষ্ঠান জুফা, এলএলসি একীভূত হয়।

এই সংস্থার প্রধান মার্ক শাপিরো জানান, ইউএসএ নেটওয়ার্কের তুলনায় এই বছর র-এর দর্শক ১৩% বেড়েছে, উদ্বোধনী রাত ধরলে যা ৩৮%। থার্স্টনের গবেষণা বলছে, র ও স্ম্যাকডাউনের দর্শক সংখ্যা এখন ইউএসএ-তে দেখা সংখ্যার প্রায় সমান এবং তা কমছে। এতে মনে হচ্ছে, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সাপ্তাহিক ইভেন্টগুলো প্রধান লাইভ ইভেন্টের মতো বড় সাফল্য নাও পেতে পারে।

তবুও থার্স্টন মনে করেন, নেটফ্লিক্সের জন্য এই চুক্তি দীর্ঘমেয়াদে মূল্যবান হবে। বিশেষ করে আজকের রেসলম্যানিয়ার বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশের দিকে সবাই তাকিয়ে আছে, যা স্ট্রিমিংয়ের রেকর্ড ভাঙতে পারে।

রেসলম্যানিয়ার শুরু

ভিন্স ম্যাকমোহন ৪০ বছর আগে রেসলম্যানিয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি চেয়েছিলেন এটা সুপারবোলের (আমেরিকান ফুটবল, অনেকটা রাগবির মতো) মতো বড় অনুষ্ঠান হোক। এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসা বাড়বে। এটা সাধারণ মানুষের কাছেও জনপ্রিয় হবে।

১৯৮৫ সালের প্রথম রেসলম্যানিয়া এমটিভি-তে দেখানো হয়। এটা নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে হয়েছিল। সেখানে হাল্ক হোগান, মিস্টার টি, সিন্ডি লপার ও মোহাম্মদ আলীর মতো তারকারা ছিলেন। ম্যাকমোহন বলেছিলেন, তারা দেখাতে চেয়েছিলেন তাদের ব্যবসা শুধু কুস্তি নয়, আরও অনেক কিছুর সাথে জড়িত।

তবে নানা বিতর্কের পর ম্যাকমোহন ২০২২ ও ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগও আছে, যা তার আইনজীবী অস্বীকার করেছেন।

থার্স্টন মনে করেন, ম্যাকমোহনের কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে ডব্লিউডব্লিউই-এর গল্প বলার ধরন দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। এখন লেভেস্কের অধীনে সেই পরিবর্তন এসেছে। গল্পগুলো এখন নতুন মনে হচ্ছে। নারীদের উপস্থাপনেও পরিবর্তন এসেছে। আমেরিকায় দর্শকও বেড়েছে।

নারী রেসলাররা এ সময়ের রেসলিং এর মূল আকর্ষণ হয়ে উঠছেন। গল্পের বাঁক তাদেরকে করে তুলছে প্রধান চরিত্র।

জনি পিভারাল ২০০০-এর দশকে বড় হয়েছেন। তখন ডব্লিউডব্লিউই-তে নারীদের তেমন গুরুত্ব ছিল না। তিনি এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগে নারীরা শুধু দর্শকদের চোখের শান্তির জন্য ছিল। এখন তাদের ছেলেদের মতোই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

এই পরিবর্তন রেসলম্যানিয়াতে দেখা যাবে। নারী রেসলিং এর গল্প এখন প্রধান আকর্ষণ হবে। রিয়া রিপলি, বিয়াঙ্কা বেলায়ার ও আইয়ো স্কাই একটি বড় ম্যাচে লড়বেন। নারী চ্যাম্পিয়ন টিফানি স্ট্রাটন লড়বেন শার্লট ফ্লেয়ারের সঙ্গে। এটা নারী কুস্তির গুরুত্ব দেখাচ্ছে।

থার্স্টন বলেন, নতুন দর্শক টানা জরুরি। কারণ ডব্লিউডব্লিউই এখন রেসলম্যানিয়ার মতো অনুষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশে আয়োজন করে অনেক অর্থ আয় করে।

তিনি বলেন, তারা চায় রেসলম্যানিয়া বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকের মতো হোক। যেখানে শহরগুলো আয়োজনের জন্য দর কষাকষি করবে। লাস ভেগাস এই বছরের অনুষ্ঠানের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। লন্ডনও রেসলম্যানিয়া আয়োজনের জন্য আলোচনায় আছে।

নেটফ্লিক্সের ‘স্পোর্টেইনমেন্ট’ বাজি

নেটফ্লিক্সে ডব্লিউডব্লিউই আসা তাদের জন্য ভালো খবর। তবে নেটফ্লিক্সের কী লাভ? স্পোর্টস মার্কেটিং এজেন্সি ফিউজের জেমস ইংলিশ বলেন, নেটফ্লিক্স ‘স্পোর্টেইনমেন্ট’-এ বড় হতে চায়।

তিনি বলেন, ডব্লিউডব্লিউই-এর সাথে চুক্তির কারণে নেটফ্লিক্সের আয় বেড়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে তাদের আয় ১৩% বেড়েছে।

ইংলিশ মনে করেন, রেসলম্যানিয়ার মতো বড় অনুষ্ঠান দর্শকদের আকৃষ্ট করার ভালো উপায়। এর আগে ইউটিউবার জেক পলের বক্সিং ম্যাচও অনেক দর্শক টেনেছিল।

লাইভ স্পোর্টস দেখাতে গিয়ে নেটফ্লিক্সের কিছু সমস্যা হয়েছিল। তবে বড়দিনের দিনে এনএফএল (আমেরিকান জাতীয় ফুটবল লীগ)-এর দুটি ম্যাচ দেখানোর সময় সেই সমস্যা সমাধান করা গেছে।

ইংলিশ বলেন, অ্যাপল বা অ্যামাজনের মতো শুধু খেলার স্বত্ব না কিনে নেটফ্লিক্স বড় ‘ইভেন্ট’ দেখানোতে জোর দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিজ্ঞাপন ও ডেটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবে।

রেসলম্যানিয়া সেই পরিকল্পনার অংশ। ইংলিশ বলেন, লাইভ, বিশ্বব্যাপী ও ভক্তদের পছন্দের অনুষ্ঠান হওয়ায় নেটফ্লিক্স ডব্লিউডব্লিউই- এর সঙ্গে চুক্তি করে অনেক লাভ করতে পারবে।

কার্নিভাল থেকে কলোসিয়াম: একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বর্তমান রেসলিং এর শেকড় উনিশ শতকের কার্নিভালে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে ‘ক্যাচ-অ্যাজ-ক্যাচ-ক্যান’ ম্যাচগুলো বৈধ কুস্তি এবং নাটুকে দক্ষতার মিশ্রণে দর্শকদের বিনোদন দিত। বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, প্রোমোটাররা নাটকীয়তা বাড়ানোর জন্য ম্যাচের ফলাফল স্ক্রিপ্ট করা শুরু করে, যা পেশাদার কুস্তির জন্ম দেয় যেমনটি আমরা জানি। ১৯৮০-এর দশকে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে যখন ভিন্স ম্যাকমোহনের নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশন (ডাব্লিউডাব্লিউএফ, বর্তমানে ডাব্লিউডাব্লিউই) কেবল টেলিভিশনকে গ্রহণ করে, কুস্তিকে একটি পপ সংস্কৃতিতে পরিণত করে। হাল্ক হোগান, আন্দ্রে দ্য জায়ান্ট এবং পরবর্তীকালে দ্য রক এবং জন সিনার মতো তারকারা ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন, যা কুস্তির মূলধারার আবেদনকে দৃঢ় করে।

একবিংশ শতাব্দীতে, শিল্পটি আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়। ডাব্লিউডাব্লিউই-তে প্রভাবশালী খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত অল এলিট রেসলিং  এবং নিউ জাপান প্রো-রেসলিং-এর মতো আন্তর্জাতিক রেসলিং প্রতিযোগিতাগুলো এই ধরনের বিনোদনের পরিধি প্রসারিত করেছে। এই সময়ে এসে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া কুস্তিগিরদের ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করতে সহায়তা করেছে।

জনপ্রিয়তার মনস্তাত্বিক কারণ

কুস্তি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের কাছে এত জনপ্রিয় থাকার প্রধান কারণ হলো এর চমৎকার গল্প বলার ক্ষমতা। আসলে, কুস্তির ম্যাচগুলো শুধু খেলাধুলা নয়, বরং এগুলো দর্শকদের মনে দাগ কাটার মতো নৈতিক নাটক। এখানে একজন ভালো মানুষ (যাকে বেবিফেস বলা হয়) এবং একজন খারাপ মানুষের (যাকে হিল বলা হয়) মধ্যেকার দ্বন্দ্ব দেখানো হয়। এই গল্পগুলো প্রায়শই সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন আর্থিক কষ্ট বা সংস্কৃতির ভেদাভেদ – এগুলোকে তুলে ধরে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে ডব্লিউডব্লিউই-এর “অ্যাটিটিউড এরা” সময়ের বিদ্রোহী মানসিকতাকে দেখিয়েছিল। স্টোন কোল্ড স্টিভ অস্টিনের মতো চরিত্রগুলো সমাজের নিয়ম ভাঙা এবং ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতীক ছিল, যা সেই সময়ের যুবকদের খুব আকৃষ্ট করেছিল।

এছাড়াও, কুস্তি একটি মঞ্চ যেখানে বিভিন্ন মানুষের পরিচয় এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব তুলে ধরা হয়। রে মিস্টেরিও এবং সাশা ব্যাংকসের মতো তারকারা ল্যাটিনো এবং কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি দর্শকদের সামনে এনেছেন। অন্যদিকে, এইডব্লিউ-তে নাইলা রোজের মতো ট্রান্সজেন্ডার কুস্তিগির দেখিয়েছেন যে কুস্তিতে সকলের স্থান আছে। ২০২৫ সালে কুস্তি আরও বেশি করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিভাদের সুযোগ দিচ্ছে, যা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মধ্যে নিজেদের খুঁজে পাওয়ার এবং সংযুক্ত বোধ করার আকাঙ্ক্ষাকে পূরণ করছে।

শুধু রিংয়ের ভেতরেই নয়, রিংয়ের বাইরেও কুস্তির প্রভাব অনেক। অনেক কুস্তিগির হলিউডে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছেন, যেমন ডোয়াইন “দ্য রক” জনসন এখন বিশ্বের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র তারকা। এমনকি কুস্তির কিছু শব্দ, যেমন “হিল টার্ন” (যখন কোনো ভালো চরিত্র হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়), এখন সাধারণ কথাবার্তাতেও ব্যবহৃত হয়। ফ্যাশন জগতেও কুস্তির সাহসী এবং আকর্ষণীয় পোশাক ও চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্টের ডিজাইন থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়।

মোটকথা, কুস্তি শুধু পেশাদার কুস্তি নয়, এটি শক্তিশালী গল্প, সামাজিক বার্তা এবং বিভিন্ন মানুষের প্রতিনিধিত্বের একটি মাধ্যম, যা একে দীর্ঘকাল ধরে দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয় করে রেখেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত