আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ এবং ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি হচ্ছে না।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
শুনানির জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবীরা উপস্থিতও হয়েছিলেন।
তবে একজন বিচারপতি অসুস্থ থাকায় আজ শুনানি হচ্ছে না।
বিষয়টি সকাল সন্ধ্যাকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বেঞ্চ অফিসার মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “আজকে ছোট জজ সাহেব (বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন) অসুস্থ, এ কারণ কোর্ট আজকে বসবে না। তবে সিনিয়র জজ সাহেব বসবেন, একক বেঞ্চে শুনানিযোগ্য কিছু মামলা শুনবেন।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ১৫ জুলাইয়ের পর সহিংসতায় পড়ালে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি নামাতে হয় সরকারকে।
এরই মধ্যে নিরাপত্তার কথা বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে ঢাকার মিন্টো রোডে তাদের কার্যালয়ে রেখেছে। তাদের খাওয়ার এবং আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতি সম্বলিত ভিডিও-ও দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকে।
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানো এবং ডিবি হেফাজতে থাকা ছয়জন সমন্বয়ককে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা ও মানজুর-আল মতিন। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত দুই দিন এই আবেদনের ওপর হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক বলেন, “সমস্ত মৃত্যুই আমাদের জন্য দুঃখজনক।”
এরপর আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে বুধবার শুনানি ও আদেশের দিন ঠিক করে দেয়। পাশাপাশি বিচারক বলেন, “আমরা এমন কোনও কাজ করব না, যাতে জাতির ক্ষতি হয়।”
এর আগে সোমবার এই আবেদনের শুনানিতে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রেখে আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কের খাওয়ানোর ছবি-ভিডিও প্রচারে উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছিল, এর মধ্য দিয়ে জাতির সঙ্গে মশকরা হচ্ছে।