সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পঞ্চগড়ের বাসিন্দা সোহেল রানার পক্ষে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, রিটে সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তার সম্পদের অনুসন্ধানে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানকে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জামিউল হক ফয়সাল।
গত ৩১ মে ‘জেনারেল আজিজের দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই করছে দুদক’এবং গত ৫ জুন ‘জেনারেল আজিজের তেলেসমাতি’ শিরোনামে প্রকাশিত দুটি সংবাদ যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান দুদক বরাবর আজিজ আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে পাওয়া দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
তিনি বলেছিলেন, “আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন ও বিধি অনুযায়ী এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে কিনা তা যাচাই-বাছাই করতে কমিশনের যাচাই-বাছাই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ হলে তা অনুসন্ধান করা হবে।”
আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিন বছর ওই পদে ছিলেন। তার আগে তিনি বিজিবির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
চার তারকা জেনারেল আজিজ অবসর নেন ২০২১ সালের জুন মাসে। তার তিন বছর পর চলতি বছরের মে মাসে তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসে। তার দায়িত্ব পালনের সময়কার কার্যক্রম ধরেই দেওয়া হয় এ নিষেধাজ্ঞা।