জাপানে টাইফুন ‘শানশান’ আঘাত হানার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আরেকটি শক্তিশালী টাইফুন ধেয়ে আসছে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ধেয়ে আসা ‘ইয়াগি’ টাইফুন শুক্রবার রাতেই আছড়ে পড়তে পারে চীনের সর্বদক্ষিণের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ হাইনানে।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, হাইনান ও পার্শ্ববর্তী গুয়াংডং প্রদেশে ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করতে পারে সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’। গুয়াংডং চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ।
বিবিসি জানিয়েছে, টাইফুন ইয়াগির তাণ্ডব থেকে জনগণকে রক্ষায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেন, নৌকা ও বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল।
এছাড়া ইয়াগির প্রভাবে প্রবল ও বিধ্বংসী ঝড়ের সতর্কতা জারি করে বুধবার থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ করেছে হাইনান কর্তৃপক্ষ।
ইয়াগির প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে হাইনান প্রদেশে ভারী বর্ষণের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। টাইফুনের কারণে প্রদেশটিতে ৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে করছে চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
হাইনান প্রদেশের বাসিন্দাদের প্রায়ই টাইফুনের তাণ্ডব দেখতে হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, ১৯৪৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০৬টি টাইফুন আঘাত হানে প্রদেশটিতে। তার মধ্যে ৯টি ছিল সুপার টাইফুন। সুপার টাইফুনকে ৫ মাত্রার হারিকেনের সমতুল্য হিসেবে দেখা হয়।
এ সপ্তাহের শুরুতে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে ইয়াগি। এর প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষকে সে সময় সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ফিলিপাইনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ইয়াগির শক্তি দ্বিগুণ বেড়েছে। এ মুহূর্তে এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার।
তার আগে ২৯ আগস্ট টাইফুন ‘শানশান’-এর আঘাতে জাপানে ছয়জন প্রাণ হারায়। আহত হয় শত শত মানুষ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে টাইফুন ও হারিকেন দিনদিন শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি সংখ্যায়ও বাড়ছে বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।