পায়ের জাদুতে তিনি বুঁদ করে রেখেছেন ফুটবল বিশ্বকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ মঞ্চে আরেকবার বিস্ময় ছড়ালেন লামিন ইয়ামাল। তার অ্যাসিস্ট ও চোখজুড়ানো গোলে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে বার্সেলোনা। বেনফিকার বিপক্ষে এই ম্যাচে তার সঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছেন রাফিনিয়া। তিনি করেছেন জোড়া গোল। যাতে ব্রাজিলিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন উচ্চতায় বসেছেন এই উইঙ্গার।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-বেনফিকা। ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে পর্তুগিজ ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কাতালানরা। বেনফিকার মাঠ থেকে প্রথম লেগ ১-০ গোলে জিতে ফিরেছিল হান্সি ফ্লিকের দল।
⭐️ FULL TIME! ⭐️@CHAMPIONSLEAGUE QUARTERFINALISTS! pic.twitter.com/S12fj7N8uk
— FC Barcelona (@FCBarcelona) March 11, 2025
ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি বার্সেলোনার। ১১তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন রাফিনিয়া। ইয়ামালের চমৎকার অ্যাসিস্ট থেকে গোলের খাতা খোলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে বেনফিকার জবাব দিতে দেরি হয়নি। মিনিট দুয়েক পরই সফরকারীদের সমতায় ফেরান নিকোলাস ওতামেন্দি। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেন।
তবে কিছু সময় পরই আবার এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ২৭ মিনিটে দেখার মতো এক গোল থেকে কাতালানদের ব্যবধান ২-১ করেন ইয়ামাল। ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে আড়াআড়ি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল ভাসিয়ে জালে জড়ান ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
চোখে লেগে থাকা এই গোলেই চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন রেকর্ড গড়েছেন ইয়ামাল। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান এই প্রতিযোগিতায় একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। বেনফিকা ম্যাচে গোল ও গোলে সহায়তা করার সময় ইয়ামালের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪১ দিন। তিনি ভেঙেছেন ২০১৪ সালে এফসি বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলোর ১৭ বছর ২৬৩ দিন বয়সে গড়া রেকর্ডটি।
My name is Lamine Yamal, but you can just call me Lamine. pic.twitter.com/mV5gPITQRl
— FC Barcelona (@FCBarcelona) March 11, 2025
প্রথমার্ধেই খেলা একরকম শেষ করে দিয়েছিল বার্সেলোনা। বিরতিতে যাওয়ার আগে তারা স্কোরলাইন ৩-১ করে রাফিনিয়া দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে নিলে। ৪২ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। যদিও এই গোল নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে বেশ খানিকক্ষণ সময় লেগেছে। রেফারি প্রথমে বক্সের বাইরে ফাউল ধরেছিলেন। গোল হওয়ার আগেই ওতামেন্দি ফাউল করেছেন- এই অপরাধে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারকে হলুদ কার্ডও দেখিয়েছিলেন। তবে ভিএআর গোল দিলে তুলে নেওয়া হয় ওতামেন্দির কার্ড।
রাফিনিয়া এই গোলটি করে চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড গড়েছেন। রেকর্ডটা তার ব্রাজিলিয়ান হিসেবে। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করা ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় এখন তিনি। এবারের মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটিতে এই উইঙ্গার করলেন ১১ গোল। এতদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোল করা ব্রাজিলিয়ান ছিলেন নেইমার-রিভালদোসহ মোট পাঁচজন। এরা সবাই ১০টি করে গোল করেছেন। সেই জায়গা এবার শেষ ষোলোতেই ১১ গোল করে ফেলেছেন রাফিনিয়া।