শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। ৯ এপ্রিল ২০২৩ সালে আইপিএলের সেই ম্যাচে কলকাতার হয়ে তখন ক্রিজে রিঙ্কু সিং। গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক বল তুলে দেন পেসার যশ দয়ালের হাতে। যশের শেষ ৫ বলে টানা ৫ ছক্কা মেরে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন রিঙ্কু সিং। আর অতলে তলিয়ে যেতে থাকেন যশ দয়াল।
সেই দুঃস্বপ্নের ওভারটার স্মৃতি অনেক দিন বয়ে চলতে হয়েছে যশকে। তবে হাল ছাড়েননি। ঘরোয়া লিগে নিজেকে প্রমাণ করে সেই ম্যাচের ৫১৯ দিন পর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন যশ। বুমরার সঙ্গে জুটি বেঁধে বলও করতে দেখা যেতে পারে তাকে।
কীভাবে কঠিন সময়টা পেছনে ফেলেছেন যশ? পাঁচ ছক্কা হজমের পর সেই আইপিএলে আর সুযোগ পাননি তিনি। দুশ্চিস্তায় কমে গিয়েছিলে ওজন। গুজরাট ছেড়েও দেয় যশকে। এরপর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে যোগ দিয়ে গত আইপিএলে ১৪ ম্যাচে নেন ১৫ উইকেট। নতুন বলের পাশাপাশি পুরনো বলেও দেখিয়েছেন নিজের কার্যকারিতা।
দুলীপ ট্রফিতে ভারত বি-র হয়ে ভারত এ-র বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর জাতীয় দলের দরজাটা খুলে যায় তার জন্য। আরশদীপ সিং লাল বলে কার্যকর না হওয়াতেই যশকে সুযোগ দিলেন নির্বাচকরা। ২৪টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে যশের উইকেট ৭৬টি। এক ম্যাচে আছে সর্বোচ্চ ৯ উইকেটও।
এদিকে ভারত টেস্ট অভিযানে নামছে ৬ মাস পর। গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে প্রথম টেস্ট সিরিজও এটা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই সিরিজে কী নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন যুশ?