Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুর

ভারতীয় নাগরিক নন, তিনি বাংলাদেশি মানসিক ভারসাম্যহীন : পুলিশ

ফরিদপুরে আটক সঞ্জিত বিশ্বাস। ছবি : পুলিশ সদর দপ্তর
ফরিদপুরে আটক সঞ্জিত বিশ্বাস। ছবি : পুলিশ সদর দপ্তর
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে ফরিদপুরে এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। শুরুতে বলা হয়েছিল সঞ্জিত বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনও দলিল পাওয়ার কথা জানায়নি পুলিশ।

কেবল মুখে বাংলা-হিন্দি মেশানো ভাষা আর সঞ্জিতের দাবির মুখেই তাকে ‘ভারতীয় নাগরিক’ ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিল পুলিশ সদর দপ্তর।

একদিনের মাথায় আরেক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় নয়, আটক সঞ্জিত বাংলাদেশি। তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

যে ঘটনায় সঞ্জিতকে আটক করা হয়েছে সেটির স্থল ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা। ভাঙ্গা বাজারের হরি ও কালী মন্দিরে শনিবার রাতের কোনও এক সময় প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে সেখান থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার পুলিশ জানিয়েছিল, তদন্ত কাজে গিয়ে কালী মন্দিরের সামনে পরিত্যক্ত খাটে একজনকে শুয়ে থাকতে দেখতে পায় পুলিশ।  পাশে মাটিতেও আরেকজন শুয়ে ছিল। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় হলেও অন্যজনকে কেউ চিনতে পারেনি।

অপরিচিত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি একবার বাংলায়, আরেকবার হিন্দিতে কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে জানা যায়, তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি ভারতের নদীয়ার নিশি কান্ত বিশ্বাসের ছেলে। আটকের পর সঞ্জিতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

তবে মঙ্গলবার পাঠানো আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সঞ্জিত বিশ্বাস ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার নিজামকান্দী গ্রামের নিশিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে। সঞ্জিত মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন তার বাবা। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সঞ্জিতের আটকের খবর সোমবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নিশিকান্ত বিশ্বাস (৭২) ফরিদপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি জানান, আটক ব্যক্তি তার ছেলে। তার প্রকৃত নাম সঞ্জিত বিশ্বাস। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।”

নিশিকান্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৪-২৫ বছর বয়সে সঞ্জিত কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিলেন, পরবর্তীতে দেশে ফিরেন। তিনি প্রায় চার বছর আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন, আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরিবারের সঙ্গেও তার কোনও যোগাযোগ নেই।

তবে সঞ্জিত আসলেই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছিলেন নাকি অন্য কেউ এর সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি পুলিশ সদর দপ্তর।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত