বসুন্ধরা কিংসের ফুটবল ম্যাচ নিয়মিতই টেলিভিশনে দেখেন জারিফ জাওয়াদ আরাবি, আল জুহাইররা। কিন্তু পড়াশোনার চাপে মাঠে বসে রবসন রবিনহো, আনিসুর রহমান জিকোদের খেলা দেখার সুযোগ কমই মেলে তাদের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন, গোলরক্ষক জিকোকে সামনে পেয়ে তাই উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেনি রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া এই কিশোরেরা।
শনিবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জাফ টার্ফ গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রল বোলারস লিগ ফুটসাল প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রবসন ও জিকো।
ব্রল বোলারস লিগ ফুটসাল উপলক্ষে মাঠে জড়ো হয়েছিল প্রায় ২০০ কিশোর ফুটবলার। ঘরোয়া ফুটবলের এত বড় মাপের তারকাকে কাছে পেয়ে খুদে ফুটবলাররা ছবি তুলতে ও সেলফি নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকে ছিল গোলরক্ষক জিকোর ভক্ত। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই গোলরক্ষকের অটোগ্রাফও নিয়েছে অনেকে। কেউ কেউ আবার রবসনের অটোগ্রাফ নিয়েছে জার্সিতেই!
ব্রল বোলারস ফুটসাল লিগের প্রতিষ্ঠাতা জারিফ জাওয়াদ আরাবি পড়ছে রাজধানীর মাস্টার মাইন্ড স্কুলের স্টান্ডার্ড নাইনে। বড় মাপের দুজন ফুটবলার তাদের ফুটসাল প্রতিযোগিতায় আসায় প্রতিযোগিতার আকর্ষণ যে বেড়েছে সেই কথাটাই বলছিল জারিফ, ‘অনেকে তো প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাইছিল না যে রবসন, জিকোদের মতো ফুটবলার আমাদের ফুটসাল প্রতিযোগিতা দেখতে আসবেন। এরপর যখন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ঘোষণা দিলাম, তখন থেকেই প্রচুর মন্তব্য পাওয়া শুরু করেছি। খেলা শুরু হলে যখন রবসন, জিকো মাঠে আসেন, ওই সময় সবাই আনন্দে চীৎকার দিয়ে ওঠে।’
কিশোর ফুটবলারদের সঙ্গে সময়টা দারুণ উপভোগ করেছেন বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক রবসন ও দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গোলরক্ষক জিকো। এই কিশোরদের খেলা দেখে প্রশংসাও করেছেন তারা। জারিফের কন্ঠে ছিল সেই উচ্ছ্বাস, “আমাদের খেলা দেখে রবসন অনেক প্রশংসা করলেন। আমাদের সঙ্গে সময়টা যে তিনি উপভোগ করেছেন সেটা উনার অভিব্যক্তি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।”
ব্রল বোলারস ফুটসাল লিগে অংশ নিয়েছে ১২টি দল। গ্রুপ পর্যায়ের সেরা চার দল ওঠে সেমিফাইনালে। ফাইনালে চ্যাম্পিয়নশিপ নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। এতে উচিহা ফুটবল দলকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রিক এফসি।