এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব পেয়েছেন যুবরাজ সিং। ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার তার চার সেমিফাইনালিস্টের তালিকায় রেখেছেন পাকিস্তানকে। তাছাড়া অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নদের ফেভারিট মনে করছে।
এশিয়ার দেশটির একমাত্র জেতা ওই বিশ্বকাপের নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিস খান। তিনিও ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন পাকিস্তানের। তবে জয়ের পথ তৈরি করতে বাবর আজমদের ২০০ রানের ‘টার্গেট’ বেঁধে দিয়েছেন সাবেক এই ব্যাটার।
মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানের অবস্থা শোচনীয়। জিম্বাবুয়েকে বাদ দিলে আইসিসির যে ১১টি পূর্ণ সদস্য দেশ আছে, ৭ থেকে ১৫ ওভার- এই সময়ে তাদের মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে বেশি রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান। মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানের রান তোলার গড় ৭.৩০। ইউনিস এই সময়ে রান তোলার গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এবারের আইপিএলে ২৫০-এর বেশি রান করেও হারের ঘটনা ঘটেছে। টি-টোয়েন্টির তাণ্ডবের যুগে জয়ের জন্য পাকিস্তানের অন্তত ২০০ রান করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন ইউনিস। সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, “২০০ রান করলে আপনি ম্যাচের নিরাপদ জায়গায় থাকবেন। ১৭০ রানও আপনার (জয়ের) জন্য যথেষ্ট হবে না।”
সেকারণেই ব্যাটিং-বান্ধব ক্রিকেটে টপ অর্ডার ব্যাটারদের আরও আগ্রাসী হওয়ার পরামর্শ তার, “বাবর আজম, ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ে অন্য মাত্রা যোগ করতে হবে। বর্তমান সময়ে রান ওঠে দ্রুতগতিতে। এ কারণে খেলোয়াড়দের আরও আগ্রাসী হওয়া প্রয়োজন।”