Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

চীন সফরে ড. ইউনূস কী চাইছেন, ভারত কোন চোখে দেখছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার চীনের পথে রওনা হন। ছবি : পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার চীনের পথে রওনা হন। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক যখন নাজুক, তখন চীন সফরে গেলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার দুপুরে তিনি বেইজিং রওনা হন। চার দিনের এই সফরে বাণিজ্য, বহুপাক্ষিকতাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনভিত্তিক বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ায় যোগ দেবেন তিনি।

সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে মঙ্গলবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন ড. ইউনূস। চীনের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গে বৈঠকের আভাসও দিয়েছেন তিনি।

বৈশ্বিক রাজনীতিতে চীনের বৈরী প্রতিবেশী দেশ ভারত ড. ইউনূসের এই সফরের দিকে যে নজর রাখছে, তা দেশটির সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই ধরা পড়ে।

ড. ইউনূসের এই সফর কি বাস্তববাদী কূটনীতির দিকে বাংলাদেশের একটি পদক্ষেপ, না কি বাংলাদেশ ধীরে ধীরে চীনের কৌশলগত প্রভাব বলয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ছে, এ প্রশ্ন তুলেছেন দিল্লিভিত্তিক সংস্থা এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ঋষি গুপ্তা।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টে এক কলামে তিনি বলেছেন, চীন প্রায়ই এশিয়ার দেশগুলোর সেসব নেতাদের নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানায়, যারা আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে বা তাদের দেশকে দীর্ঘদিনের মিত্র থেকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চায়।

ঋষি গুপ্তার দৃষ্টিতে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ভারতমুখী ছিল। ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার এখন সেখান থেকে সরে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যখন নাজুক, তখন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্য বদলে দিতে পারে এবং তা ভারতের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে।

টানা দেড় দশক বাংলাদেশ শাসন করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছিলেন।

অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে গিয়েই আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এখনও সেখানেই রয়েছেন তিনি।  

অভ্যুত্থানের পরপরই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তারপর শীতল সম্পর্ক এখনও উষ্ণতার দিকে গড়ায়নি। প্রতিবেশী দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এখনও কোনও বৈঠক হয়নি ড. ইউনূসের। বিপরীতে ভারতের বৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দুবার বৈঠক হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা চীনের জন্য একটি সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।  

চীন এই পরিস্থিতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে (বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি) সম্পর্ক আরও মজবুত করার কাজ করছে।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন যদি ভারতসহ অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির বিরুদ্ধে সামরিক কৌশল অবলম্বন করতে চায়, তাহলে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তার দরকার।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যদি ড. ইউনূসকে বুধবার লালগালিচা অভ্যর্থনা জানান, তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, বলছেন ঋষি গুপ্তা।

ড. ইউনূসের বেইজিং সফর বাংলাদেশে তার নেতৃত্ব ও অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য স্বীকৃতি এনে দিতে পারলেও শি জিনপিং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই), গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) ও গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভসহ (জিএসআই) চীনের নেতৃত্বাধীন উদ্যোগে গতি সঞ্চার করার চেষ্টা করবেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ঋষি গুপ্তা প্রশ্ন তুলেছেন, ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক কি ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ফাইল ছবি

এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ইঙ্গিত আসে, গত ডিসেম্বরে কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যখন ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে করমর্দন করেন।

“তাদের এই উষ্ণতা ১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার দীর্ঘদিনের অবস্থানের বিপরীতে ছিল,” বলছেন ঋষি গুপ্তা।

ড. ইউনূস চীনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুতের সুযোগ নিতে চাইছেন, কারণ বাংলাদেশে চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যাপক। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। তারা তাদের বিআরআই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশাল পরিমাণে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ করছে।

চীন বাংলাদেশকে কেবল অর্থনৈতিক সহযোগিতাই নয়, বরং সামরিক সহযোগিতা এবং বিশেষ বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে কৌশলগত সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছে।

এই সমর্থন বাংলাদেশকে একদিকে অর্থনৈতিক সুবিধা, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে।

ঋষি গুপ্তা লিখেছেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই, ঢাকার নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিত করার চেষ্টা করছে, যা দেশটিতে বিদ্যমান ভারতবিরোধী মনোভাবের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়েছে।

“বাংলাদেশের ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। প্রশ্ন হলো, ড. ইউনূস কি হাসিনার প্রতি দিল্লির দীর্ঘদিনের সমর্থনের প্রতিশোধ নিতে চান, না কি সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারত্বকে বৈচিত্র্যময় করতে চান?”

সেই প্রশ্নের উত্তরে ঋষি নিজেই দিয়েছেন এভাবে- “দ্বিতীয়টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে বেইজিং যদি রাজনৈতিক সমর্থনের বিনিময়ে নিরাপত্তা উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে তা আঞ্চলিক দৃশ্যপট উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে।

“তারপরও মূল প্রশ্ন থেকেই যায়- বাংলাদেশ কি একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার নিশ্চিত করছে, নাকি আরও গভীর বিদেশি প্রভাবকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এ প্রশ্ন বাংলাদেশিদের কোনও বহিরাগতের কাছে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেই করা উচিৎ।”

এদিকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির সমীকরণ যে অনেকটাই জটিল, ড. ইউনূসের সফর নিয়ে করা প্রতিবেদনে বলেছে বিবিসি বাংলা।

আঞ্চলিক আধিপত্যের বিচারে সীমান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বৈরিতা আছে ঠিক। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের মধ্যে মতৈক্যও দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এমনকি মাল্টিল্যাটারাল (বহুপক্ষীয়) ইস্যুতে ভারত-চীন কখনও কখনও পরস্পরকে সহায়তাও করে।”

অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে প্রতিযোগিতায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মিয়ানমার পরিস্থিতি। যেখানে চীনের প্রভাব অন্যদের তুলনায় বেশি।

হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী।
গত মাসে হোয়াইট হাউসে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী। তাদের বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়েছিল।

অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত গ্লোবাল ইমেজ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ চীন সফরে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তবে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের বাস্তবতাও বিবেচনায় রাখা উচিৎ।

তিনি বলেন, “সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের রাখাইনে পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সেখানে আরাকান আর্মি অধিকাংশ এলাকা দখল করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকি আসতে পারে এই রাখাইন থেকে।”

চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সফরের প্রস্তাব অন্য কারও দিক থেকে এলে সরকার সেটা নিশ্চয়ই গ্রহণ করত। চীন আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাদের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার। সম্পর্কটা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। তার মানে এই নয় যে আমরা একদিকে ঝুঁকে যাচ্ছি।”

অধ্যাপক রোজানা রশীদ বলছেন, “চীনের রাষ্ট্রদূতের কথায় স্পষ্ট যে তারা সহায়তা করতে চান। বাংলাদেশ অন্যদের সঙ্গে ব্যালান্স করেই তার স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করবে। কস্ট-বেনিফিট অ্যানালাইসিস করলে বেনিফিটটাই বেশি হবে বলে আমি মনে করি।”

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. ইউনূস এমন সময়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন, যখন দেশের অর্থনীতি নানামুখী চাপে রয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে তার সরকারের জন্য।

বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় চীনের মতো বড় ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক সহযোগীর আনুকূল্য প্রয়োজন, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগকেই গুরুত্ব দেবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার চীন সফরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ৩০ বছরে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ঋণের সুদের হার দুই-তিন শতাংশ থেকে এক শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে আলোচিত বিষয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকেও আলোচিত হবে বলে ধারণা করা যায়।

“২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে গেলে চীনে যে শুল্ক সুবিধা পাওয়া যায়, তা আরও তিন বছরের জন্য বাড়তি পাওয়া যায় কি না,” সেদিকেও অন্তর্বর্তী সরকারের নজর থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

“চীনের থেকে বিপুল পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে ডেফারড পেমেন্ট (বিলম্বে পরিশোধ) সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেটাও আলোচনায় থাকার কথা,” যোগ করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এই উদ্যোগ গৃহীত হলে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে থাকা বাংলাদেশের জন্য তা স্বস্তির কারণ হবে।

কারণ, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চীনের আমদানি ব্যয় মেটাতে।

বেইজিং রওনা হওয়ার আগে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : পিআইডি

মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, “আগামীকাল চার দিনের সফরে আমি চীন যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠক হবে। চীনের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করব।”

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চাইনিজ সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লংজি এরই মধ্যে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। সফরে প্রযুক্তিগত সহায়তা, মেডিকেল সহায়তা, স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়েও চীনের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান ড. ইউনূস।

“এই সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে,” আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে গুটিকয়েক দেশ স্বীকৃতি দিতে দেরি করেছিল, তার একটি চীন। ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট দেশটি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত