অর্থ আত্মসাতের মামলাটি প্রতিহিংসামমূলক বলে দাবি করে আসছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস; এখন বিচারেও তড়িঘড়ি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশি সোমবার ঢাকার জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করার ‘অপচেষ্টা’ করা হচ্ছে।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় এবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার পাঁচ মাস পর গত ১২ জুন সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় বিচারিক আদালত।
মামলায় সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক ছিল। তবে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন ইউনূস।
সেজন্য বিচারিক আদালতে তিনিসহ আসামিরা সময় চাওয়ায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে ৫ আগস্ট দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন, দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ পিছিয়ে আদালতের আদেশের পর এজলাসের লোহার খাঁচা নিয়েও আপত্তি তোলেন নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, “এটি মানবতার প্রতি অপমান। কেন পশুর মতো একজন মানুষকে খাঁচার ভেতর ভরে রাখবে? এটা সরিয়ে ফেলা উচিৎ।
“ভালো লাগছে যে আজ আমাদের কাউকে লোহার খাঁচার ভেতর ঢুকতে হয়নি। আমি মনে করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালত থেকে লোহার খাঁচা তুলে নেওয়া উচিৎ। এটা মানবতার প্রতি অপমান। কেন মানুষকে পশুর মত খাঁচায় ভরে রাখবে “
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।