Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া হোক নববর্ষের অঙ্গীকার : ড. ইউনূস

বর্ষবরণের আনন্দ শোভাযাত্রা।
ছবি : হারুন অর রশীদ
[publishpress_authors_box]

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।”

বঙ্গাব্দ ১৪৩২ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি একথা বলেন।

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশবাসীকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “পহেলা বৈশাখ সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন। আজকে সবাইকে আপন করে নেওয়ার দিন।

“এবারের নববর্ষ, নতুন বাংলাদেশের প্রথম নববর্ষ। আসুন, আমরা বিগত বছরগুলোর গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।”

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব, বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। পুরো পৃথিবীতে যেখানে যেখানে বাঙালিরা আছেন, আজ আমাদের সবার আনন্দের দিন, বর্ষ বরণের দিন।

“বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় এবং তাকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের এসব ঐতিহ্য শুধু যেন নিজেদের মধ্যেই না থাকে, আমাদের সংস্কৃতি যেন আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি বিশ্ব দরবারে। বছরের এই দিনটিতে আমরা সুযোগ পাই উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্ম ও পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে।”

‘ফসলি সন’ এর ইতিহাস তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, বাংলা সাল গণনা শুরু হয়েছিল কৃষিকাজের সুবিধার জন্য, ‘ফসলি সন’ হিসেবে। এখনও এদেশের কৃষকরা বাংলা তারিখের হিসাবেই বীজ বোনেন, ফসল তোলেন।
‘হালখাতা’কে বাংলা নববর্ষের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনকার আধুনিক সময়েও অনেকেই এই হালখাতার ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বাংলাদেশের হাটে-বাজারে, শহরে-বন্দরে। নববর্ষের বৈশাখী মেলায় বাংলাদেশের জেলায় জেলায় উদ্যোক্তারা সারা দেশে ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটি, মাটির হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হাত পাখা ইত্যাদি তৈরি করে নিজেদের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরেন এই দিনকে উপলক্ষ করে।

পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীও চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষে এবার বড় পরিসরে উৎসব উদযাপন করছে উল্লেখ করে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “১৪৩২ আমাদের সবার জন্য শুভদিনের সূচনা করুক। আমাদের সকলের জন্য নতুন ও গভীর আনন্দের উন্মোচন করুক, এই কামনা করছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত