ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তার তদন্তে আসছে জাতিসংঘের একটি দল।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টেলিফোন করে একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার টুর্ক।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব প্রেসসচিব শফিকুল আলম বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার কঠোরভাবে দমনের পথ নিলে সহিংসতায় কয়েকশ মানুষ নিহত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নিয়ে তার তোড়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে।
পতনের আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আন্দোলনে সহিংসতায় নিহতের যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার তদন্তে জাতিসংঘের সহযোগিতা নিতে তার সরকারের আপত্তি নেই।
এদিকে নতুন সরকার আন্দোলন ঘিরে গণহত্যা চালানো হয়েছে দাবি করে তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
এরমধ্যেই জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধানের সঙ্গে ইউনূসের কথা হয়।
প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, “ড. ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নজিরবিহীন ও বিধ্বংসী ছাত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যার সময় তাদের অধিকারকে সমর্থন করার জন্য।
“এসময় ভলকার টুর্ক জানিয়েছেন, আন্দোলনের সময়ে বিক্ষোভকারীদের হত্যার তদন্ত হবে এবং তদন্ত করতে শিগগিরই দেশে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।”
ভলকার টুর্ককে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষা হবে তার সরকারের মূল ভিত্তি এবং প্রত্যেক নাগরিককে রক্ষা করা সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা দেশ ‘পুনর্নির্মাণ’ এবং মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও প্রেস সচিব জানান।
জুলাই-আগস্টে পুলিশের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই ‘গণহত্যা’র জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব বলে তারা মনে করছেন।