পেলের হাত ধরে যেবার প্রথম বিশ্বজয়ের স্বাদ পায় ব্রাজিল, সেই ১৯৫৮ বিশ্বকাপ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মারিও জাগালো। চার বছর পর আবার বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের দলেও ছিলেন। এরপর কোচের ভূমিকাতেও ব্রাজিলের বিশ্বজয়ের সঙ্গী হয়েছেন তিনি। কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে চারটি বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি মারা গেছেন। আজ (শনিবার) ৯২ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়েছেন জাগালো।
অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন জাগালো। হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যেই ছিলেন। আজ সব কিছুর ইতি টেনে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে লেখা হয়েছে, “আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী মারিও হোর্হে লোবো জাগালোর মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।”
পেশাদারি ফুটবলে জাগালো ছিলেন প্রতিভাবান লেফট উইঙ্গার। ১৯৫০ সালে মারাকানা ট্র্যাজিডির আট বছর পর প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পাওয়া ব্রাজিল দলে ছিলেন তিনি। চার বছর পর বিশ্বকাপ ধরে রাখার মিশনেও দলে জায়গা ধরে রেখেছিলেন। খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুটি বিশ্বকাপ জেতার পর দায়িত্ব নেন ব্রাজিল দলের কোচের।
১৯৭০ বিশ্বকাপ। ব্রাজিলের ওই দলটিকে ‘সর্বকালের সেরা’ হিসেবে মেনে নেন অনেকেই। ওই দলের কোচ ছিলেন জাগালো। দলে ছিলেন সর্বকালের সেরা পেলে, জাইরজিনহো, রিভেলিনো ও তোস্তার মতো সব খেলোয়াড়। জাগালোর অধীনে এই দলটি মেক্সিকোতে জেতে তৃতীয় বিশ্বকাপ।
এরপর ১৯৯৪ বিশ্বকাপে আবার ব্রাজিল দলের সঙ্গী হন জাগালো। এবার প্রধান কোচ কার্লোস আলবার্তো পারেইরার সহকারী হিসেবে। সেবার ব্রাজিল জেতে চতুর্থ বিশ্বকাপ। অর্থাৎ, খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় ব্রাজিলের প্রথম চার বিশ্বকাপের চারটিই জিতেছেন জাগালো। ব্রাজিলের মানুষজনের কাছে জাগালো ভীষণ প্রিয়। সেটা তার ব্যক্তিত্ব ও প্রচণ্ড জাতীয়তাবাদীর কারণে। তিনি প্রায় সময়ই বলতেন, তার জন্ম হয়েছে বিজয়ের জন্য।