সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নাকে ভুলবশত আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মো. বাকের।
মামলার এজাহার থেকে আসামি হিসেবে তার নাম বাদ দিয়ে তদন্ত করার জন্য তিনি থানায় আবেদনও করেছেন।
সোমবার জেড আই খান পান্নার নাম বাদ দিতে বাদী আবেদন করেছেন বলে সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন।
তিনি বলেন, “মামলার বাদী মো. বাকের একটি আবেদন করেছেন আমাদের কাছে। এজাহারভুক্ত ৯৪তম আসামি জেড আই খান পান্নার নাম বাদ দিতে তিনি আবেদন করেছেন। বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
লিখিত আবেদন বাদী বাকের বলেন, “খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া বাজারের পশ্চিমে শুক্কুর আলী গার্মেন্টস মোড়ে আমার ছেলে মো. আহাদুল ইসলামকে দাঙ্গা সৃষ্টি করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ১৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করলে মামলা রুজু হয়।
“কিন্তু এজাহারের ৯৪ নম্বর আসামি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে অজ্ঞতা ও ভুলবশত আসামি করা হয়।”
আবেদনে মামলার আসামি তালিকা থেকে জেড আই খান পান্নাকে বাদ দিতে অনুরোধ জানান বাদী বাকের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চলা কর্মসূচির মধ্যে ১৯ জুলাই ঢাকার মেরাদিয়া এলাকায় আহাদুল ইসলাম নামে একজনকে গুলি ও মারধর করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি করেন বাকের। তবে রবিবার মামলার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে।
এই মামলার আসামির তালিকায় আছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নামও।
হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি হওয়ার পর রবিবার সকাল সন্ধ্যার সঙ্গে কথা বলেছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি হিসেবে নিজের নাম দেখে বিস্মিত এই আইনজীবী বলেছিলেন, তার মুখ বন্ধ করতে বা তার কথাবার্তা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই মামলা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এই মামলার সোমবার হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন পান্না। এ মামলার পুলিশ প্রতিবেদন পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।