সাইফ পাওয়ারটেক ৩৬তম জাতীয় সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে আরও ২টি রেকর্ড হয়েছে। দুটি রেকর্ডই গড়েছেন বিকেএসপির জুই আক্তার।
আগের দিন হয়েছিল ৪টি রেকর্ড। সব মিলিয়ে দুই দিনে সাঁতারে হয়েছে ৬টি রেকর্ড।
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে রবিবার দিনের শুরুতে মেয়েদের ১৫-১৭ বছর বিভাগে ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন জুঁই। তিনি সময় নেন ১:২৫:০৭ সেকেন্ড। আগের রেকর্ড ছিল সাগরখালী সুইমিং ক্লাবের মরিয়ম খাতুনের। তিনি যে রেকর্ড করেন ২০১২ সালে। এর মানে ১২ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙলেন জুঁই।
এরপর বিকেলে ৮০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে নতুন রেকর্ড গড়েন জুঁই। তিনি সময় নেন ১১:০৪:৭৮ সেকেন্ড। এর আগের রেকর্ডটি ছিল বাংলাদেশ আনসারের নাজমা খাতুনের। তিনি সময় নিয়েছিলেন ১১:২০:১৫ সেকেন্ড। ২০১২ সালে হয়েছিল এই রেকর্ড।
কুষ্টিয়ার আমলার সাঁতারু জুঁই আক্তার। পড়াশুনা করছেন বিকেএসপিতে দশম শ্রেণীতে। সেই ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নেন বয়সভিত্তিক সাঁতারে। রেকর্ড গড়ার পর তিনি বলেন, “আমি যেভাবে অনুশীলন করেছি তাতে আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো করবো। আমার এই পারফরম্যান্সের পেছনে অনেক অবদান বিকেএসপির কোচদের।”
গত ফেব্রুয়ারি মাসি দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিমসটেক জুনিয়র ওয়াটার স্পোর্টস প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন জুঁই। কিন্তু কোনও পদক জেতেননি। খুব কাছ থেকে ভারতের সাঁতারুদের দেখে এসে জুঁইয়ের উপলব্ধি, “আমাদের চেয়ে ওরা অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। আমরা যদি বিদেশী কোচের অধীনে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন করতে পারি তাহলে আমাদেরও আন্তর্জাতিক পদক আসবে।”
২০১৬ সালের পর এসএ গেমসে সাঁতারে কোনও সোনার পদক আসেনি বাংলাদেশে। জুঁইয়ের আশা দেশের সেই আক্ষেপ ঘোচানোর, “আমি আরও ভালোভাবে অনুশীলন করতে চাই। টাইমিংয়ে আরও উন্নতি করতে চাই। এসএ গেমসে যেন আমার হাত ধরে বাংলাদেশে আসে সোনার পদক।”
রবিবার ডাইভিংয়ে ২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১টিতে হয়েছে জাতীয় রেকর্ড।
৪৩টি সোনা, ৩০টি রুপা ও ১০টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকার শীর্ষে আছে বিকেএসপি।