১৯৭০ সাল। তখনও বাংলাদেশের জন্ম হয়নি। কিন্তু সত্তরের নির্বাচন অনেক হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিচ্ছিল।
নির্বাচনের ফলাফল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টোর জন্য। ৭ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচন তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথে কাঁটা হয়ে দেখা দেয়।
পরের বছরের ৩ মার্চ ঢাকায় নবগঠিত জাতীয় পরিষদের বৈঠকের সম্ভাবনা দেখা দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন ভুট্টো। তিনি নিজের দলের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলেন, কেউ ঢাকায় গেলে তার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে।
স্বাধীনতাকামী বাঙালির কাছে সেদিন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পাশাপাশি ভুট্টোও খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন।
তার হুমকিতে সেদিন পিপিপির অন্য নেতারা ভীত হলেও ব্যতিক্রম ছিলেন আহমেদ রাজা কাসুরি। তিনি ঢাকা গিয়েছিলেন বৈঠকের উদ্দেশ্যে। অবশ্য এর ফলও তাকে ভোগ করতে হয়েছিল।
ততদিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের শাসনভার নেন ভুট্টো। তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী, তখন ১৯৭৪ সালে কাসুরিকে হত্যাচেষ্টা হয়। হামলায় কাসুরির বাবা নবাব মোহাম্মদ আহমেদ খান কাসুরি নিহত হন।
ওই ঘটনার পর রাজা কাসুরি ভুট্টোর বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগে তিনি বলেছিলেন, ওই হত্যাচেষ্টায় যে গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ব্যবহার করত ভুট্টোর নিয়ন্ত্রাণাধীন আধাসামরিক বাহিনী ফেডারেল সিকিউরিটি ফোর্স।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভুট্টো হন পাকিস্তানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট। ১৯৭৩ সালের আগস্টে সংবিধান পরিবর্তন করে হন দেশের নবম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৭ সালে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
কিন্তু ওই বছরের জুলাইয়ে জেনারেল জিয়াউল হক সামরিক অভ্যুত্থান করে ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই মাস পর ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিয়াউল হক সরকার তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা সচল করেন। এর একটি ছিল কাসুরির করা মামলা। অভিযোগ তোলা হয়, ভুট্টো ছিলেন নবাব মোহাম্মদ আহমেদ খানকে খুন করার ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী।
তার সঙ্গে আরও চার ব্যক্তিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের মার্চে ভুট্টোসহ পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার রায় ঘোষণার সময় ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি মৌলভী মুশতাক হোসেন রায় ঘোষণা করেন। ভুট্টো রায় বয়কট করেছিলেন।
এরপর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল। অবশ্য এনিয়ে দ্বিমত আছে। ঘটনার দিন নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভুট্টোকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
কিন্তু তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া মামলাটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। অনেক পর্যবেক্ষক ও আইন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিচারটি ন্যায্য ছিল না। তড়িঘড়ি করেই তার বিচার করা হয়েছিল।
বর্তমান প্রেক্ষাপট
বিতর্কিত ওই মামলার রায় নিয়ে প্রায় পাঁচ দশক পর বুধবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক মতামত দিয়েছে। সর্বসম্মত এক আদেশে আদালত বলেছে, ভুট্টোর বিচার স্বচ্ছ ও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হয়নি।
প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বে নয় বিচারপতির একটি বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। প্রশ্ন উঠেছিল, পিপিপি ও আইনজীবীরা যে রায়কে ঐতিহাসিক ভুল বলে মনে করেন, সেই রায় পুনর্বিবেচনা করা সম্ভব কি না?
প্রধান বিচারপতি ঈসার নেতৃত্বে বৃহত্তর বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সরদার তারিক মাসুদ, বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলী শাহ, বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, বিচারপতি আমিন-উদ-দীন খান, বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার, বিচারপতি সৈয়দ হাসান আজহার রিজভী ও বিচারপতি মো. মুসাররাত হিলালী।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে মামলার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
২০১১ সালের এপ্রিল তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেখানে পিপিপির প্রতিষ্ঠাতাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক কর্তৃপক্ষের অধীনে একটি মতামত চাওয়া হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি ঈসা বলেন, “লাহোর হাইকোর্টের বিচার ও পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে আপিলের কার্যক্রম সংবিধানের ৪ ও ৯ অনুচ্ছেদে প্রতিষ্ঠিত ন্যায্য বিচার এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মৌলিক অধিকারের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে না। পরে সংবিধানের ১০এ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি পৃথক এবং মৌলিক অধিকার হিসাবে নিশ্চিত করা হয়।”
এবিষয়ে পরে একটি বিস্তারিত মতামত সুপ্রিম কোর্ট জারি করবে বলে জানিয়েছে ডন।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “আমাদের বিচার বিভাগের ইতিহাসে কিছু মামলা ছিল, সেগুলো জনমনে এমন ধারণা তৈরি করেছিল যে আইনের আওতায় ন্যায়বিচার দেওয়ার কর্তব্য পালনে ভয় বা অনুগ্রহ বাধা সৃষ্টি করেছে।”
বিচারপতি ঈসা বলেন, “আমাদের অতীতের ভুল পদক্ষেপ ও ত্রুটিগুলোকে নম্রতার সঙ্গে, আত্ম জবাবদিহিতার মাধ্যমে দেখতে হবে। আইনের প্রতি অবিচল সততা ও আনুগত্যের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর দিতে হবে।
“আমরা যতক্ষণ না আমাদের অতীতের ভুলগুলো স্বীকার করব, ততক্ষণ নিজেদের সংশোধন করতে এবং সঠিক দিকে এগিয়ে যেতে পারব না।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, আবেদনটি পিপিপি সরকারের আমলে করা হয়েছিল। অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলের পরবর্তী সরকারগুলো এই তদন্ত এগিয়ে নিয়েছিল এবং আবেদনটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়নি, এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও অন্তর্ভুক্ত ছিল।”
প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, আবেদনে পাঁচটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে।
এর মধ্যে একটির উত্তর তিনি পাঠ করেন, “ভুট্টোকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডিত করা হয়েছিল সেই রায়কে বাদ দেওয়ার জন্য সংবিধান ও আইন কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।”
আইনের নীতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “প্রশ্নগুলো জুলফিকার আলী ভুট্টো মামলায় এই আদালতের ঘোষিত আইনের নীতি নির্দিষ্ট করে না, যা সম্পর্কে আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছে। অতএব, জুলফিকার আলী ভুট্টো মামলায় ঘোষিত কোনও আইনের নীতির বিরোধিতা করা হয়েছে কি না বা তা বাতিল করা হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।”
ভুট্টো পরিবার, আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া
প্রধান বিচারপতি যখন মতামত পাঠ করছিলেন, তখন প্রয়াত ভুট্টোর নাতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাঁড়িয়েছিলেন।
পরে তিনি সংবাদিকদের সামনে আদালতের মতামতকে `ঐতিহাসিক‘ বলে অভিহিত করে জানান, তারা বিস্তারিত মতামতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “৪৪ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের মতামত পাকিস্তানকে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে।
“এই রায়ের কলঙ্ক পাকিস্তানের জনগণের আদালতে প্রতি বিশ্বাস রাখা, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মতো কেউ যদি বিচার না পান, তাহলে এই আদালত থেকে বিচার পাওয়া কঠিন করে দিয়েছে।“
সোশাল মিডিয়া এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের অন্বেষণ ছিল প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও তার স্ত্রী শহীদ মোহতারমা বেনজির ভুট্টোর ভালোবাসার শ্রম। এই কথাগুলো শোনার জন্য আমাদের পরিবারের তিন প্রজন্ম অপেক্ষা করেছিল।”
তার বোন বখতাওয়ার বুট্টো-জারদারি বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত একমত হয়ে সিদ্ধান্তে এসেছে যে আমাদের নানা একটি অন্যায্য বিচারের শিকার ছিলেন।“ তিনি ইতিহাস সংশোধনে আবেদন করার জন্য তার বাবাকে ধন্যবাদ জানান।
বিলাওয়ালের আরেক বোন আসিফা ভুট্টো-জারদারি বলেন, তার নানার রক্ত সুপ্রিম কোর্টের সিঁড়ি রাঙিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পিপিপি নেতৃত্ব এবং কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মতামত ‘একটি নতুন ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্থাপন করেছে‘।
আইনজীবী তৈমুর মালিক, যিনি একজন পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে সাধারণ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের `স্বীকৃতিকে‘ স্বাগত জানিয়েছেন।
এক্সে এক পোস্টে মালিক বলেন, “আশা করি এখন অন্য রাজনৈতিক নেতাদের একটি ‘ন্যায্য বিচার’ নির্ধারণের জন্য দশকের পর দশক অপেক্ষা করতে হবে না। আইনের শাসন ও সময়মতো বিচার পাকিস্তানের অগ্রগতির জন্য মৌলিক।”
আইনজীবী হাসান এ. নিয়াজী মতামতটির প্রশংসা করেছেন।
তবে তিনি উল্লেখ করেন যে `এই ধরনের চরম অন্যায় ঘটতে দেওয়া কাঠামোগত সমস্যাগুলো পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও আইনি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রয়ে গেছে‘।
কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভুট্টোর মর্যাদা রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু আরেক রাজনৈতিক নেতা এখনও কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে অবৈধ নিকাহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া। সেখানে সব বিচার অন্যায়ভাবে পরিচালিত হয়েছিল।”
মামলার ইতিবৃত্ত
১৯৭৯ সালের মার্চে সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারকের একটি বেঞ্চ চার-তিন ভোটের রায়ে ভুট্টোকে দেওয়া হাইকোর্টের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে।
২০১১ সালের এপ্রিলে ভুট্টোর জামাতা, তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান জারদারি সংবিধানের ১৮৬(১ ও ২) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি আবেদন করেন। এই অনুচ্ছেদ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দেয় জনগুরুত্বপূর্ণ কোন প্রশ্নের উত্তরের জন্য সর্বোচ্চ আদালতের মতামত জানতে।
২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর ভুট্টোর নাতি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এই মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, জুলফিকার আলী ভুট্টোকে কলমের এক ঝটকায় নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
১০ পৃষ্ঠার এই আবেদনটি ফারুক এইচ নায়েক লিখেছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এই আবেদনটি গ্রহণ করে এবং মামলার নিষ্পত্তিতে দেরি হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করে।
জানুয়ারিতে পিপিপি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট ও ভিডিও রেকর্ডিংসহ অতিরিক্ত প্রমাণ জমা দিয়েছিল।
পরবর্তী শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ দেয়, যদি প্রমাণিত হয় যে সংবিধান থেকে বিচ্যুতি বা মামলা পরিচালনায় রাজনৈতিক উপাদানের কারণে ন্যায়বিচারের চরম অপব্যবহার ঘটেছে, তাহলে আদালত তার পূর্ববর্তী রায়গুলো পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
আদালতের নিযুক্ত জ্যেষ্ঠ কৌঁসুলি মখদুম আলী খান বলেছিলেন, বর্তমান মামলাটি সাধারণ আইন বিচারব্যবস্থায় একটি অনন্য মামলা, যেখানে একজন বিচারক, যিনি বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠের অংশ ছিলেন। অবসর গ্রহণের অনেক পরে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ঈসা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, মামলাটি পুনর্বিবেচনা করলে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি উন্নত হবে কি না এবং জাতির ক্ষত নিরাময় হবে কি না?
তখন বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেল মন্তব্য করেন, এটি বাইরে থেকে আদালতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার একটি সুযোগ হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট তৎকালীন লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মুশতাক হুসাইনের পদক্ষেপকে `অনুপযুক্ত’ বলে মনে করেছিল। তিনি তৎকালীন বিচারপতি ড. নাসিম হাসান শাহকে ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার তার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে বসতে বলেছিলেন।
ভুট্টোর বিরুদ্ধে মামলাকারী সেই আহমেদ রাজা কাসুরি বলেছেন, এই মামলাটি আদালতে বিবেচনা করা যাবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি ভয় পাচ্ছেন যে, আদালত যদি এই মামলা নিয়ে কোনও মতামত দেয়, তাহলে অনেক নতুন মামলা আদালতে আসবে। এই নতুন মামলাগুলো ঢেউয়ের মতো এসে আদালতকে ভাসিয়ে দিতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি ১৩ জানুয়ারি ইমরান খানের দল পিটিআইকে সদস্য সমাপ্ত নির্বাচনে ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীক না দেওয়ার মামলার কথা বলেন।
তথ্যসূত্র : ডন, বিবিসি, নিউ ইয়র্ক টাইমস