Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে রেগে গেলেন বাটলার

Women team
[publishpress_authors_box]

“আপনি বড় দলের বিপক্ষে হাই লাইন ডিফেন্সে কেন খেলান?” “আপনি এত গোল কেন হজম করেন” নারী দলের কোচ পিটার বাটলারকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল অনুষ্ঠানে। এনএসসি কর্তৃক নারী দলের এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট কাটার পুরস্কার দেওয়ার দিনে এই প্রশ্ন শুনে রেগে গেলেন কোচ। বাটলার বললেন, “স্টুপিড প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন”।

সবশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে দুই ম্যাচে ৮ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৩-০ তে হেরে যাওয়া দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে ৫-১ গোলে। ওই হার হজম করে আসার পর এনএসসি থেকে অর্থ পুরস্কার নিতে বুধবার সকালে ভবনটিতে উপস্থিত হন নারী দলের অধিনায়ক ও কোচ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন বাটলার।

থাইল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাংকিংয়ে বেশ এগিয়ে। তাদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ডিপ ডিফেন্স রাখেননি বাটলার। ফলাফল বেশি গোল হজম। এনিয়ে জানতে চাইলে কোচ বলেছেন, “আপনি পছন্দ করুন আর না করুন, হাই লাইন ডিফেন্সেই আমরা খেলবো। আমি পরিবর্তন করি না, মডিফাই করি, পরিবর্তন না। আপনারা যে জিনিসটা মনে রাখেন না, মনে রাখতে চান না সেটা হলো থাইল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে আমরা খেলছি। আমরা প্রতিটা ম্যাচ বিদেশে খেলেছি, নিজেদের মাঠে ঢাকায় খেলতে পারছি না। বড় দলের বিপক্ষে খেলতে গেলে সময়ে সময়ে কঠিন কিছু হজম করতেই হবে। ১০ এর মধ্যে ৯বারই আপনি জয়ের তুলনায় হারলে কিছু বিষয় শিখবেন। তাই আমার পরামর্শ এরকম স্টুপিড প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন।”

প্রতি ম্যাচে গোল হজম করা নিয়ে কোচ বলেন, “আপনি প্রতি ম্যাচে গোল হজম করতেই পারেন। এটাই জীবনের অংশ। আমরা বাংলাদেশ। আমরা যখন ৫০ র‌্যাংকিংয়ের ওপর কোন দলের বিপক্ষে খেলতে যাব তখন এমনটা হবেই। আমরা বিপক্ষের মাঠে বেশি ম্যাচ খেলি, নিজেদের মাঠে না। আপনি যদি দূর্গ গড়তে চান তাহলে নিজেদের মাঠে গড়তে হয়, বিপক্ষের মাঠে না।”

গত জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। একই মাসে চীনের দাহজুতে অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপের নারী বিভাগে প্রথম অংশগ্রহণ করেই ব্রোঞ্জ জেতে নারী হকি দল। দুটি দলকেই আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। 

ফুটবল দলের ২৩ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কোচিং স্টাফ-কর্মকর্তাসহ ৩১ জনকে দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। আর ১৮ জন খেলোয়াড়, কোচ-ম্যানেজার, ফিজিওসহ ২১ জনের নারী হকি দলের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছে ১ লাখ টাকা করে।

আরও পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত