
কোন সংকটে ব্যাংক খাত, উত্তরণ কোন পথে
ব্যাংক খাতে ডজন খানেকের বেশি ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়টি জানত। কিন্তু এতদিন তারা ‘দেখছি-দেখব’ বলে কালক্ষেপণ করে গেছে।
ব্যাংক খাতে ডজন খানেকের বেশি ব্যাংক দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটা কিন্তু একদিনে হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়টি জানত। কিন্তু এতদিন তারা ‘দেখছি-দেখব’ বলে কালক্ষেপণ করে গেছে।
এগুলো কোনও সুদূরপ্রসারী নীতিমালা নয়। খেলাপি ঋণ কেন বাড়ে, সেই জায়গাতে দৃষ্টি নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। কেবল আদায়ের জন্য তোড়জোড় করলে কোনও লাভ হবে না।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংক বাড়তে বাড়তে ৬১টি হয়েছে, তবে এর কয়েকটি এখন খাবি খাচ্ছে। ব্যাংক খাতের সার্বিক দুরবস্থার মধ্যে দুর্বল এই ব্যাংকগুলো সংকট বাড়িয়ে দিতে পারে, এমন শঙ্কা
এই চার বছরে আমরা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছি, যার খেলাপির হার শূন্য। স্বল্প মেয়াদি এই ঋণগুলো অনেক গ্রাহক দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বারও গ্রহণ করেছে।
ব্যাংক খাতের জন্য এটা এমন একটি সমস্যা, যা অনেক বড় ক্ষতি বয়ে আনলেও তা সমাধান করা কঠিন। এখানে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে শুরু করে অর্থের দাপটসহ অনেক সমস্যা রয়েছে।
আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে শাস্তি হচ্ছে, বিচার বিভাগ ঠিকভাবে তার কাজ করতে পারছে। টাকা নিয়ে সেটা ফেরত দিতে হয়— এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
বাংলাদেশে সুদের হার বৃদ্ধি করে আন্তর্জাতিক বাজারের পণ্যমূল্য কমানো যায় না; বাড়ানো যায় না টাকার মান কিংবা বাজারে পণ্য সরবরাহ; নিয়ন্ত্রণ করা যায় না সিন্ডিকেট, অপ-রাজনীতি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা।
“ইসলামিক ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবের ঘাটতির কারণ, ইসলামিক ব্যাংকগুলো যে ধরনের ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমের মধ্যদিয়ে চলে, তাতে একটি কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে।”
ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধে টাকার অঙ্কেও খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সে অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। ডলারের জোগান না বাড়লে বৈদেশিক লেনদেনে বড় ঘাটতি তৈরি হবে।
ভবন মালিকরাও বেশি ভাড়ার আশায় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রত্যাশা করে ‘টু-লেট’ এ লিখে রাখে- ‘ব্যাংক-বিমার জন্য অফিস ভাড়া দেওয়া হবে’।
অর্থনীতিতে নতুন সরকারের নানা চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলোকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করছে কি না, তা বড় বিষয়। সরকার শক্ত হাতে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করবে।
পথনকশায় বছরের পর বছর ধরে চলা ব্যাংক খাতে যেসব সংস্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তা অনেকটাই স্থান পেয়েছে।