Beta
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪

কলাম

খেলাপি ঋণ কমাতে হলে কঠোর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে

ফারুক মঈনউদ্দীন। প্রতিকৃতি অঙ্কন: সব্যসাচী মজুমদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ এখন দেড় লাখ কোটি টাকার মতো। কিন্তু রাইট অফ বা অবলোপন করা ঋণ, মামলার কারণে আদালতে আটকে থাকা ঋণ এবং পুনঃতফসিল বা রিশিডিউল করা ঋণ যোগ করে হিসাব করলে নিট বা প্রকৃত খেলাপি ঋণের অংক চার লাখ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকবে। বিশাল অঙ্কের এই খেলাপি ঋণই এখন ব্যাংকিং খাতের জন্য প্রধান সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

শত চেষ্টা করে, বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও খেলাপি ঋণের হারকে কোনোভাবেই কমিয়ে আনা যাচ্ছে না। এটা আমাদের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। দেশে খেলাপি ঋণ ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। সময়মতো এর চিকিৎসা না নিলে তা দুরারোগ্য হয়ে যাবে।

আমাদের দেশে বেনামি ঋণের আলাদা হিসাব হয় না। বেনামি ঋণের পরিমাণ কত, তা বের করতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে, খেলাপি ঋণ প্রকৃত অর্থে কত। বেনামি ঋণের দায়ভার ব্যাংকারদের ওপর পড়ে না। কারণ, ব্যাংকারদের বাধ্য করা হয় এসব ঋণ দেওয়ার জন্য। এর সঙ্গে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা যুক্ত।

খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। এখন দেখা যাক কী হয়? তবে, একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, সত্যিকার অর্থেই যদি খেলাপি ঋণ কমাতে হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর হতে হবে। কোনো বাছ-বিচার না করে সবার বিরুদ্ধে সমানভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আমাদের দেশে বেনামি ঋণের আলাদা হিসাব হয় না। বেনামি ঋণের পরিমাণ কত, তা বের করতে হবে। তাহলে বোঝা যাবে, খেলাপি ঋণ প্রকৃত অর্থে কত। বেনামি ঋণের দায়ভার ব্যাংকারদের ওপর পড়ে না। কারণ, ব্যাংকারদের বাধ্য করা হয় এসব ঋণ দেওয়ার জন্য। এর সঙ্গে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা যুক্ত।

প্রতিবেশী ভারত ১৪ বছর আগে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ধরতে আইন করেছে। কিন্তু আমরা এতদিন এটা করতে পারিনি। কারণ, সুবিধাভোগী পক্ষ এটা চায়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি নীতিমালা করেছে। নীতিমালা জারির মধ্য দিয়ে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি গ্রাহক চিহ্নিত করে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাংকের ‘খেলাপি সংস্কৃতি’ কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘদিন ধরেই ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহক চিহ্নিত করার দাবি ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে সরকার এধরনের ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়ায়। তবে নীতিমালার অভাবে এ ধরনের খেলাপি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নীতিমালাটি জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালায় ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি গ্রাহকদের মধ্যে থেকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি গ্রাহককে আলাদা করতে পারবে। ব্যাংকের কাছ থেকে এই তথ্য নিয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিবে, যাতে তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে না পারেন, নতুন করে কোনও ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে না পারেন। এছাড়া কোনও ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননাও পাবেন না এসব ঋণখেলাপিরা। এই নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

দেশে এখন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার বেশি সব লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিৎ। এতে কর ফাঁকি বন্ধ হবে। অর্থনীতিতে নতুন সরকারের নানা চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলোকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করছে কি না, তা বড় বিষয়। সরকার শক্ত হাতে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না, অর্থনীতিতে স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি তার ওপর নির্ভর করবে।

ব্যাংকের কাছ থেকে এই তথ্য নিয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিবে, যাতে তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে না পারেন, নতুন করে কোনও ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিতে না পারেন। এছাড়া কোনও ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননাও পাবেন না এসব ঋণখেলাপিরা। এই নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

আমাদের অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের জন্য আরেকটি মাথাব্যথার কারণ হলো ডলার সংকট। এর ফলে আমদানির লাগাম টেনে ধরা হয়েছে অনেক দিন ধরে। অর্থনীতির জন্য যা মোটেও ভালো নয়। রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে এসেছে। জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিটেন্স তেমনভাবে বাড়ছে না। সে কারণেই বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ বাড়ছে না।

অর্থনীতির আরেকটি উদ্বেগজনক সূচক হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। এক বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে। সবশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের যে তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশ করেছে, তাতে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ হয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রায় ১০ শতাংশে (ডাবল ডিজিট, দুই অঙ্ক) উঠেছিল। নিকট অতীতে মূল্যস্ফীতির হার এত বাড়েনি। অবশ্য ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতি বাড়ার একটি কারণ। বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ে স্বস্তিতে ছিলাম। তবে এটাও বিবেচনায় নিতে হবে, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল; সবাই নামিয়ে এনেছে। আমরা পারছি না। কেন পারছি না, সেটাই এখন খুঁজে বের করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।

তবে এত কিছুর পরও আমাদের স্বস্তিতে রেখেছে কৃষি খাত। বেশ কয়েক বছর ধরে সব ধরনের ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। চালের দাম বেড়েছে ঠিক; কিন্তু খাদ্য নিয়ে ভাবতে হয়নি। দেড় বছর ধরে কোনও চাল আমদানির প্রয়োজনও হয়নি। ধান ছাড়া অন্যান্য শস্যের ফলনও ভালো হচ্ছে। আরেকটা দিক হচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে কিন্তু কিছু মানুষ সুবিধাভোগী হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ঘরে রেমিটেন্স যায়, তারা কিন্তু বেশি টাকা পেয়েছেন। আগে যেখানে ১ ডলারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা পেত এখন সেখানে ১০০ থেকে ১১০ বা ১২০ টাকা পাচ্ছেন। রেমিটেন্সের যারা গ্রহীতা তারা কিছুটা লাভবান হয়েছেন। রপ্তানিকারকরাও লাভবান হচ্ছেন।

আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, আমাদের অবকাঠামোগুলোয় খুব বড় ধরনের সংযোজন হয়েছে। যার মধ্যে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর কথা আমরা বলতে পারি। তারপর ঢাকার মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে’র এক অংশ— এ ধরনের বেশ কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প চালু হয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংযোজন। বিশেষ করে পদ্মা সেতু সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক প্রভাব আনবে আমাদের দক্ষিণবঙ্গের জনগণের জন্য। দক্ষিণবঙ্গের অর্থনীতি, কৃষি, শিল্প সবকিছুর ওপরই এটি একটি বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। যেমনটা প্রভাব ফেলেছিল আমাদের যমুনা সেতু। এক সময়কার উত্তরবঙ্গ প্রায়ই মঙ্গাকবলিত থাকত, কর্মসংস্থানের অভাব ছিল তাদের কৃষিপণ্যেও উদ্বৃত্ত থাকত যেহেতু তারা বড় বাজার পায়নি। যমুনা সেতু হওয়ায় উত্তরবঙ্গের অর্থনীতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসে। পদ্মা সেতু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গেও একই প্রভাব পড়ছে।

তবে এত কিছুর পরও আমাদের স্বস্তিতে রেখেছে কৃষি খাত। বেশ কয়েক বছর ধরে সব ধরনের ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। চালের দাম বেড়েছে ঠিক; কিন্তু খাদ্য নিয়ে ভাবতে হয়নি। দেড় বছর ধরে কোনও চাল আমদানির প্রয়োজনও হয়নি। ধান ছাড়া অন্যান্য শস্যের ফলনও ভালো হচ্ছে। আরেকটা দিক হচ্ছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে কিন্তু কিছু মানুষ সুবিধাভোগী হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ঘরে রেমিটেন্স যায়, তারা কিন্তু বেশি টাকা পেয়েছেন।

নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন বাজারে জিনিসপত্রের দামের লাগাম টেনে ধরা। সরকার চেষ্টা করছে; নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে কঠোর ও নির্মোহ হয়ে ব্যবসায়ী চক্রের প্রভাব থেকে বের হয়ে পলিসি নিতে হবে। পলিসি হবে দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে; কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগের মতো শিথিলভাবে চললে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।

এই যে এখন দুর্বল ব্যাংক সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হচ্ছে— যদি আমরা দেখেশুনে, বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যাংকের লাইসেন্স দিতাম, তাহলে কিন্তু এই কাজটির একেবারেই প্রয়োজন হতো না! ব্যাংকগুলোর যখন লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন আমাদের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব প্রকাশ্যে বলেছিলেন, যে এর প্রয়োজন নেই। এতে তার সায় না থাকলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় দিতে হয়েছিল। ব্যাংককে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কি নতুন ব্যাংক দরকার নাকি বিদ্যমান ব্যাংকগুলোর শাখা বৃদ্ধি করলেই যথেষ্ট ছিল; সেটা এখন উপলব্ধির সময় এসেছে।

তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে, মোবাইল ব্যাংকিং আমাদের অর্থনীতিতে বিপ্লব এনেছে। হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনে প্রতিদিন এখন সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। মোবাইল ফোনটি যে আর্থিক লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম হবে, তা এক যুগ আগে সম্ভবত কারও কল্পনায় ছিল না। আর এখন হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিই হয়ে উঠেছে সব ধরনের লেনদেনের অপরিহার্য মাধ্যম। এসব লেনদেনের হিসাব খুলতে কোথাও যেতে হচ্ছে না। গ্রাহক নিজেই অনায়াসে নিজের হিসাব খুলে লেনদেন করতে পারছেন। মোবাইল ফোনের সাহায্যে অন্যকে টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন পরিষেবা ও কেনাকাটার বিল পরিশোধ, টিকেট কেনাসহ কত সেবা যে মিলছে, তা এক দমে বলা খুবই কঠিন। সব মিলিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়ের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক স্বাধীনতা ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে।

আমার মনে হয় শাখাভিত্তিক ব্যাংকগুলো কমে যাবে। ব্যাংকগুলো শাখা খোলার যে অনুমতি এখন নিয়ে থাকে তা পরবর্তীকালে নেবে বলে মনে হয় না। এজেন্ট ব্যাংক, ব্যাংকের সাব-ব্রাঞ্চগুলো সামনের দিনগুলোয় আরও প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলেই মনে হয়। ব্যাংকে গ্রাহক পরবর্তী সময়ে নাও যেতে পারেন, দেখা যাবে এলসি খুলতেও কেউ ব্যাংকে যাচ্ছেন না এবং বাসায় বসেই তা করতে পারছেন। এখনও লোকজন ব্যাংক শাখায় খুব বেশি যান না।

আরেকটা জিনিস জরুরি, আমাদের ক্যাশের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। ধরা যাক, এ নির্ভরতা কমাতে নির্দেশনা জারি হলো, ৫ লাখ টাকার ওপরে কোনও ক্যাশ লেনদেন হবে না এবং লেনদেন হতে হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে। ফলে স্বচ্ছতা থাকবে, মুদ্রা পাচার কমবে, কর আদায় বাড়বে। এটা একটি বৈপ্লবিক ব্যাপার হতে পারে। তবে আইনপ্রণেতারা এমন আইন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আইনপ্রণেতারাও ব্যবসায়ী, তারা তা হতে দেবে বলে মনে হয় না।

ব্যাংকিং খাতে আরেকটি সংযোজন হচ্ছে ডিজিটাল ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের ধারণা এখনও অনেকের কাছে বিমূর্ত। পুরো বিষয়টি আসলে এতই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে যে পুরো ফিচার ব্যবহার করে সফল হতে কত দিন লাগবে তা বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। যেমন— ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স আমাদের দেশে সম্প্রতি চালু করা হয়েছে এবং তা আদৌ সফল হবে কিনা তা সময় বলবে। অবকাঠামো, ইন্টারনেট গেটওয়ের সক্ষমতা ইত্যাদির ওপর কাজগুলো নির্ভর করবে। এই ডিজিটাল ব্যাংকের সফলতা নিয়ে বলতে হলে আমাদের আরও কিছুদিন সময় দিতে হবে।

লেখক: ব্যাংকার ও লেখক। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে কাজ করছেন।

ad

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত