হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে সাত দিন নিজ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
গত বছরের জুলাই আগস্টে চলা আন্দোলনের সময় ঢাকার গুলশানে ভ্যান চালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহর আদালত তার রিমান্ডের অনুমতি দেয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম (আক্তার) রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, “আসামি একজন সুশীল মানুষের ভূমিকায় থেকে আন্দোলনের সময় রাস্তায় থেকে যা খুশি করেছে। মামলার ভিকটিম গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়েছিলো। তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। এছাড়া সে বিভিন্ন সময় খালেদা জিয়াকে নিয়েও কটূক্তি করে। তার দশ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।”
সিদ্দিকের পক্ষে তার আইনজীবী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (বিপু) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, “আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। ঘটনার সঙ্গে তিনি আদৌ জড়িত না। তিনি তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। ছেলেটা অসুস্থ, তিনি নিজেও অসুস্থ। তার রিমান্ড বাতিল করে জামিনের প্রার্থনা করছি।”
দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
গত ২৯ এপ্রিল বিকালে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। এরপর মারধর করে তাকে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন জব্বার আলী হাওলাদার।
অভিনেতা সিদ্দিক গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি।