রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদ্যসাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং তার স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের নামে থাকা অস্থাবর সম্পদ (বিও অ্যাকাউন্ট ও শেয়ার) অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার পরিচালক আবুল হাসনাত এসব অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের সময় পাওয়া রেকর্ডপত্র থেকে জানা যায়, ছিদ্দিকুর রহমান ও রেবেকা রওশনের নামীয় সর্বমোট ১৩টি বিও অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। তাদের নামীয় অস্থাবর সম্পদ থেকে টাকা তুলে বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। তারা অর্থ বিদেশে পাচার করলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের অস্থাবর সম্পদসমূহ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
গত ১৭ এপ্রিল তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত।
স্ত্রীসহ বিজিবির সাবেক ডিজির ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের নামে থাকা আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার মহানগর জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। তাদের নামে কয়েকটি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।
অনুসন্ধানের সময় দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাদের নামীয় ব্যাংক স্থিতি নগদায়ন করে অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। এসব হিসাবের অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। সে কারণে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা দরকার।
গত ১৩ মার্চ সাফিনুল ইসলাম, স্ত্রী সোমা ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন একই আদালত। এছাড়াও, গত ২৩ এপ্রিল সাফিনুল ইসলাম, সোমা ইসলাম ও তাদের ছেলে সামিন ইসলামের নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। এসব হিসাবে তাদের ১০ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৩ টাকা রয়েছে।